211:
মেয়েঃ মা, তুমি কি বিয়ের আগে ‘ড্রিল মাস্টার’ ছিলে?
মাঃ না তো, কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
মেয়েঃ দাদু, ফুপি সবাই বলে যে বাবা তোমার কথায় উঠ-বস করে।
212:
ঃ বোকার মতো অভিনয় করবে না।
ঃ আমি অভিনয় করছি না।
213:
গ্রামের শিক্ষিত এক ছেলেকে অশিক্ষিত লোক জিজ্ঞাসা করছে-
এই ছেলে, তুমি কত দূর পড়ালেখা করেছ? শিক্ষিত লোকঃ বিএ পাস করেছি।
অশিক্ষিত লোকঃ দুই অক্ষর পড়েছে, তা-ও আবার উল্টো।
214:
স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?
215:
বাবাঃ তোমাকে এবার পরীক্ষায় ৯৬ ভাগ নম্বর পেতেই হবে।
ছেলেঃ না বাবা, আমি ১০০ ভাগ নম্বরই পাব।
বাবাঃ আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারছ তুমি?
ছেলেঃ কে প্রথম শুরু করেছে বাবা?
216:
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা। অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
217:
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
218:
ঃ ভুল করে সবচেয়ে বেশি কী খোলা হয়, জানো?
ঃ মুখ।
219:
রহিমঃ
তুই নাকি টাকা ধার নিয়েছিস জহিরের কাছ থেকে।
করিমঃ হ্যাঁ, প্রয়োজন হয়েছিল তাই।
রহিমঃ তা এখন টাকা ফেরত দিচ্ছিস না কেন?
করিমঃ প্রয়োজন বোধ করছি না বলে।
220:
ঘটনাটা
আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন