201:
এক এলাকায় আগুন লেগেছে। বিশাল আগুন! সঙ্গে সঙ্গে গুলির বেগে ছুটে এল দমকল বাহিনী। এবং দ্রুত এসে ধুপধাপ তারা আগুন নিভিয়ে ফেলল। তাদের এই কাজ দেখে খুশি হয়ে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দিল। তারপর তারা জানতে চাইল, এই যে পাঁচ হাজার টাকা পেল; এ দিয়ে তারা কী করবে। উত্তরে দমকল বাহিনীর লোকেরা জানাল, তাদের কোনো গাড়িতেই ব্রেক নেই! ব্রেক লাগাবে!
202:
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন? বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
203:
আমার বন্ধু সদ্য ডাক্তারি পাস করেছে। সে বেচারা প্রেমে পড়ে হঠাৎ একদিন বিয়ে করে বসল। বাসাতেও জানাজানি হলো; কেউ খুব একটা আপত্তি করল না। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে বউ নিয়ে কোথায় উঠবে? একান্নবর্তী পরিবার, সে নিজেই থাকে ড্রইংরুমের সোফায়! গার্জেনরা বলল, ‘আলাদা বাসা নে।’ সেই সংগতি তার এই মুহূর্তে নেই! কী করা, অন্তত বাসর রাতটা তো করা চাই! শেষ পর্যন্ত সে নিজেই একটা বুদ্ধি বের করল! সে জন্ডিসের রোগী হিসেবে সাত দিনের জন্য এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেল! ওই হাসপাতালের ডাক্তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করল। সব ঠিক, বউ এসে থাকবে; জন্ডিস রোগীর সেবা তো দরকার!
তা অবশেষে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট কেবিনে বউও এসে হাজির। বেশ রোমান্টিক অবস্থা! হঠাৎ রাত ১০টায় তার মা আর দুই বোন এসে হাজির! তিনি কীভাবে কীভাবে খবর পেয়েছেন, তাঁর ছেলে সিরিয়াস জন্ডিস বাধিয়ে হসপিটালাইজড। এসেই হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন, ‘তোর এত খারাপ অবস্থা, আমাদের জানালি না···বউমা, তুমিও তো জানাতে পারতে। বিয়ে করেই ভুলে গেলি··· বউমা, তুমি বাড়ি যাও, নতুন বউয়ের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই, আমরা আছি···’ সে রাত মা আর বোনদের সেবা নিয়েই আমার ডাক্তার বন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে পরদিনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। জন্ডিস রোগের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এত দ্রুত কাউকে পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
204:
ঃ তা ভাবার কি আছে ? সবাইকে তো মরতে হবে।
ঃ না, ভাবছি, শেষে যে মরবে তাকে নিয়ে যাবে কে ?
204:
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন
-, আমার নাম মফিজ। -, আমি একটা
পাগল। -, আমার মতো পাগলের কোনো ওষুধ নেই। -, আমিই বলদ। -, আমাকে দেখে সবাই মজা পায় এবং হাসে। কিন্তু -, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
206:
স্বামী ও স্ত্রী বসে আছে। এমন সময় ছেলে এসে বলল, বাবা তুমি আম্মুকে বিয়ে করেছ কেন? স্বামী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললঃ দেখেছ, আমাদের ছেলেও এটাতে বি্নিত!
207:
আমাদের স্কুলের আজিজ স্যার এত কড়া যে তুই যদি পরীক্ষায় ফুলস্টপ উল্টো করে লিখিস, তবুও তোকে ফেল করিয়ে দেবে।
208:
রতন তার বন্ধুকে ডেকে বললেন, ওরে, তোর মেয়ে সুইটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এইমাত্র খবর এসেছে।
বন্ধুটি এক কথা শুনেই দুঃখের চোটে দশতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিল। যখন সে আটতলার কাছে এল, তখন তার মনে হলো, তার তো কোনো মেয়েই নেই! যখন ছয়তলায় এল তখন মনে পড়ল, তার তো বিয়েই হয়নি। আর যখন সে একতলার কাছাকাছি এল, তখন তার মাথায় এল, আরে, আমার নাম তো জসবিন্দর সিংহ!
209:
একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’
210:
শিক্ষক ছাত্রের খাতা দেখে মন্তব্য লিখেছেন, ‘হাতের লেখা ভালো করতে হবে।’
ছাত্রঃ স্যার, আপনি কী লিখেছেন পড়তে পারছি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন