191:
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’
192:
শাহেদঃ কিরে! ছুরিটা গরম জলে ফোটাচ্ছিস কেন?
পলাশঃ আমি আত্মহত্যা করব ওই ছুরি দিয়ে।
শাহেদঃ তার জন্য ওটাকে গরম করার কী দরকার?
পলাশঃ উফ! যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ওটাকে ফুটিয়ে নিচ্ছি।
193:
ভিখারি
বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
194:
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
195:
অফিসে
বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
196:
ঃ ডাক্তার সাহেব, চশমা নেওয়ার পর কি আমি এ বি সি ডি পড়তে পারব?ঃ অবশ্যই পারবেন।
ঃ এবার দেখব, কোন শালায় কয় আমি ইংরেজি পারি না।
197:
এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।
198:
নসু মামা নতুন লেমিনেশনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাই যা-ই পান, তাই লেমিনেশন করে ফেলেন। যেমন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সার্টিফিকেট, বাসার ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল-কোনো কিছু বাদ নেই লেমিনেশনের। আমরা তাঁকে নিয়ে আড়ালে হাসাহাসিও করতাম। যা-ই হোক, সেই নসু মামা প্রেমে পড়লেন এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বাসায় এনে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। এর কয় দিন পর আমি দুই বছরের জন্য বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসে শুনি, মামা ছ্যাঁক খেয়েছেন; লেমিনেশনের ব্যবসাও আর নেই। এর মধ্যে একদিন এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে গেছি। গিয়ে দেখি নতুন বউ আর কেউ নয়, সেই নসু মামার প্রেমিকা! এর কয় দিন পর একদিন বন্ধুর বাসায় গিয়ে নতুন ভাবিকে (মানে ভূতপূর্ব নসু মামি) সুযোগমতো পেয়ে জানতে চাইলাম, আমাদের নসু মামাকে কেন তিনি ত্যাগ করেছিলেন? উত্তরে তিনি একটু অপ্রস্তুত হলেন। তারপর সামলে নিয়ে বলেন, ‘দেখো, সে আমাকে প্রেমপত্র দিত লেমিনেশন করে···’ বাকিটা আমি আর শুনতে চাইনি। কোনোমতে হাসি চেপে বাসায় ফিরেছি।
199:
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
200:
এক ভদ্রলোকঃ আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাই।
আইনজীবীঃ কারণ কী?
ভদ্রলোকঃ আমার বউ আমার সঙ্গে গত ছয় মাস কোনো কথা বলেনি।
আইনজীবীঃ ব্যাপারটা ভালো করে ভেবে দেখুন। এ রকম নীরব স্ত্রী কিন্তু খুব একটা সহজে পাওয়া যায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন