clicksga

Nbux

রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১০

General Joke 161-170

161:

একটা লোককে কয়েকজন ধরে আচ্ছামতো মারছে। কিন্তু এত মার খেয়েও লোকটা হি হি করে হাসছে। মার শেষে লোকগুলো চলে গেলে এক পথচারী লোকটার হাসির কারণ জানতে এগিয়ে গেল, ‘এত মার খেয়ে আপনি হাসছেন কেন?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘হাসব না, লোকগুলো তো সব গাধা। ওরা ফজলু শেখ ভেবে আমাকে মারল। ফজলু শেখ তো আমার শত্রু, আমার নাম তো বজলু শেখ!’

162:

ফাঁসির আসামিকে আগের দিন জেলখানার একজন কর্মচারী কথায় কথায় বললেন, ‘কাল তোমাকে ফাঁসি দিতে সরকারের ৫০০ টাকা খরচ হবে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আসামি অবাক হয়ে বললেন, ‘এত টাকা কেন?’ কারা-কর্মচারী হিসাব দিলেন, জল্লাদ আর তার সহকারীরা পাবে ৩০০ টাকা, ফাঁসির পোশাক বাবদ ১০০ টাকা, দড়ি-ফাঁসির অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১০০ টাকা।
খরচের বর্ণনা শুনে আসামি ব্যবসায়ীটি খানিকক্ষণ কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘এত খরচের দরকার কী? কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ১০০ টাকা দিক, আর দুই টাকা দিয়ে একটা দড়ি কিনে দিক। আমি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে মরি। আমারও কিছু লাভ হবে, সরকারেরও সাশ্রয় হবে।’

163:

একদা সচ্ছল, এখন সর্বস্বান্ত এক মহাজনকে সন্ধ্যার অন্ধকারে দুজন ছিনতাইকারী পাকড়াও করল। মিনিট পনেরোর মতো মহাজন প্রাণপণে লড়ে গেলেন ছিনতাইকারী দুজনের সঙ্গে। অবশেষে কাবু হলেন। অনেক খুঁজে ছিনতাইকারী তাঁর শার্টের পকেট থেকে একটা আধুলি পেল মাত্র।
এক ছিনতাইকারী তখন অন্য ছিনতাইকারীকে বলল, ‘সর্বনাশ! এর কাছে যদি পুরো একটা টাকাও থাকত, তাহলে আমাদের আর প্রাণে বাঁচতে হতো না!’

164:

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দুই সৈনিক দুটি বোমা নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। একটি বোমা ছিল একজনের কোলে। সে চালক সৈনিককে বলল, ‘আস্তে চালাও, যেকোনো মুহূর্তে বিস্কোরণ ঘটতে পারে।’
চালক সৈনিক আশ্বস্ত করল, ‘চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা তো আছেই।’

165:

এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।

166:

বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
ঃ আ-আপনি?
ঃ বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।

167:

একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’

168;

ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’

169:

চীনারা বাচ্চাদের নামকরণ কীভাবে করে জানেন? বাচ্চা হলে নাকি তারা ঘরের হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র সব আকাশে ছুড়ে দেয়। তারপর ওগুলো একটা একটা করে পড়তে থাকে। কোনোটা ‘ট্যাং’ শব্দে পড়ে, কোনোটা ‘চ্যাং’ আর কোনোটা ‘প্যাং’ শব্দে···। ওই শব্দ থেকে তারা একটা নাম পছন্দ কের নেয়।

170:

মাঃ ডিনার খেতে অনেক গেস্ট আসবে এখন। যাও, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তৈরি হয়ে এসো।
ছেলেঃ গেস্টরা কি আমাকেই খাবে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন