221:
ফকিরঃ আব্বা দশটা টাকা দেন, চা খাব।
পথচারীঃ চা তো ৫ টাকা।
ফকিরঃ গালফ্রেন্ড নিয়ে খাব।
পথচারীঃ ফকির হয়ে গালফ্রেন্ড বানাইছো।
ফকিরঃ না গালফ্রেন্ড আমাকে ফকির বানাইছে।
টিনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
222:
পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, 'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!'
টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়?
পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, 'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!'
টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো।
তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, 'অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!'
এবার টিনা মহা চটে দোকানের ম্যানেজারকে হুমকি দিলো, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাপ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না।
তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, 'অ্যাই আপু!'
টিনা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, 'কী?'
পাখিটা বললো, 'বুঝতেই তো পারছেন।'
223:
স্বামীঃ আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিলো?
স্ত্রীঃ একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিলো, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলবো।
স্বামীঃ তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?
স্ত্রীঃ দেখতেই পাচ্ছো, আমি এখনও বেঁচে আছি।
224:
ডাক্তার: সব ঠিক আছে, চিন্তার কিছু নেই। এখন থেকে রোজ বেশি করে ফল খাবেন। তবে বিশেষ করে ফলের খোসাতেই বেশি ভিটামিন, জানেন তো? তা আপনার কোন ফল বেশি প্রিয়? রোগী: আজ্ঞে, নারকেল।
225:
এক ইংরেজ ভদ্রলোক বাজারে গিয়েছেন। এক মাছওয়ালা তাঁকে ডেকে বললেন, এই বড় মাছটা লইয়া যান সাব।
ইংরেজ ভদ্রলোক: How much? মানে দাম কত?
মাছওয়ালা তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, না না স্যার, এইটা হাউ মাছ না, এইটা অইল রুই মাছ।
226:
এক ধার্মিক ব্যক্তি আর এক নাস্তিক পাশাপাশি হাটছিল। ধার্মিক ব্যক্তি স্বভাবসুলভ পাশের ব্যক্তিটিকে নামাজ-রোজা এসবের ফজিলত বর্ননা শুরু করতেই নাস্তিক ব্যক্তির প্রশ্ন: আপনি আল্লাহরে বিশ্বাস করেন?
ধার্মিক ব্যক্তি একটু থতমত খেয়ে জবাব দেয়: হ্যা।
নাস্তিক: কেন?
ধার্মিক: বাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তাকে বিশ্বাস করবো না?
নাস্তিক মহাশয় এবার একটা ব্যঙ্গ হাসি হেসে বললো: আপনি দেখেছেন কখনো আল্লাহকে? আর, আল্লাহকে মানতে গেলে তো ভাগ্যকেও মানতে হয়- ভালো আর মন্দ তাহলে তো সবই আল্লাহরই কাজ- তাতে আমাদের কি কোন হাত আছে?
নাস্তিকের প্রশ্ন দুটি শুনে ধার্মিক ব্যক্তি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর, হঠাৎ করেই একটা ইট তুলে- নাস্তিকের মাথায় মেরে বসলো।
থানা-পুলিশ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। বিচারক ধার্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনাকে ঐ ব্যক্তি দুটো প্রশ্ন করলো- আর আপনি তাকে এভাবে আঘাত করলেন? বেচারি কত ব্যথা পেলো!
ধার্মিক ব্যক্তি: আমি তার দুটি প্রশ্নের জবাব এক ইট দিয়ে দিয়েছি।
বিচারক: সেটা কিভাবে?
ধার্মিক ব্যক্তি: সে বলেছে যা দেখা যায় না,তা বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা তো আপনি আমি কেউ দেখছিনা। সে শুধু অনুভব করছে।
বিচারক: আর, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর?
ধার্মিক ব্যক্তি: ওটা তার কপালে লেখা ছিল।
227:
এক মুসলমান অন্ধ ব্যক্তি ধর্ম-কর্মের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। এমনকি জুম্মার নামাজটাও সে পড়তে যায় না। সুরা-দোয়া-দরুদ কিছু তার মুখস্ত নেই। পাড়ায় সবাই খুব নিন্দে করে। নিন্দে শুনে তার বউ এর খুব মন খারাপ হয় এবং এসে স্বামির সাথে খুব হাম্বিতাম্বি করে। কিন্তু অন্ধ লোকটি যেমন তেমনই থাকে; খালি হাই তুলে বলে: অন্ধ মানুষ- আল্লাহ নিশ্চয়ই সব ভুল-চুক মাফ করে দিবেন।
পাড়ার মসজিদের ইমামের কাছে অনেকেই নালিশ তুলেন। ইমাম নিজে খোড়া, তাই অন্ধলোকটির প্রতি কিছুটা সহানুভূতি ছিল। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রাখতে পারলেন না- অন্ধলোকের বাড়িতে গিয়ে ফতোয়া দিয়ে আসলনে- পরের জুম্মায় তাকে যদি মসজিদে না দেখা যায়- তবে তাদেরকে একঘরে করা হবে। শুনে অন্ধলোকের বউ তো কেদেকেটে একাকার, সেও জানিয়ে দিলো- এবারের জুম্মায় তার স্বামি না গেলে- সে আত্মহত্যা করবে। উপায়ন্তর না দেখে জুম্মাবারে নামাজ পড়তে অন্ধলোকটি মসজিদে গিয়ে হাজির।
জামাতে অনেকের সাথে দাড়িয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। ইমাম আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করেছে। সুরা পাঠ শুরু হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ…। অন্ধলোকটি শুনছে আর ভাবছে- এগুলো কি বলছে, এসবের মানে কি? কিছুই বুঝতে পারছে না - বুঝার চেস্টা করছে- বুঝা যাচ্ছে না: এমন সময় দেখে ইমামের একটি বাক্যের আংশিক সে বুঝতে পারছে: ইয়া কানা বুদুয়া ইয়া কানাস্তাইন…। কিন্তু শুনেই তো অন্ধলোকের পুরা মাথা গরম। সে কানা বলে তাকে নিয়ে মশকরা! ল্যাংড়া ইমামের মনে তাহলে এটাই ছিল! তাকে ডেকে সকলের মধ্যে এমন অপমান!
অন্ধলোকটি দমার পাত্র না, সে কোনমতেই ছাড় দিতে রাজী হলো না। সেও চিৎকার করে উঠলো: ইয়া ল্যাংড়া বুদুয়া ইয়া ল্যাংড়াস্তাইন….
229:
মসজিদের ইমাম মসজিদেই এলাকার বাচ্চা - কাচ্চাদের কায়দা-আমপাড়া শেখান। তো, একদিন শহর থেকে মাদ্রাসার বড় হুজুর আসাতে ইমাম সাহেব ভাবলেন, বাচ্চাদের সাথে বড় হুজুরের সাক্ষাৎ হলে মন্দ হয় না। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
বড় হুজুর এসে বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে ধর্ম-কর্ম নিয়ে কিছুক্ষণ ওয়াজ নসিহত করলেন। তারপরে চলে যাওয়ার আগে কি মনে করে যেন- বাচ্চাদের কাছে এক এক করে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন- বড় হয়ে কে কি হতে চায়।
: বল তো বাবা, বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?
: আমি বাবার মতো কৃষক হবো।
: বাহ বেশ ভালো, বেশ ভালো। মানুষের ক্ষুদা নিবারনে কাজ করা খুবই সোয়াবের কাজ।
আরেকজনের দিকে তাকিয়ে: তো তুমি বলতো বাবা- কি হতে চাও?
: আমি বড় হয়ে শিক্ষক হবো।
: মা’শাল্লাহ। এটা আরো ভালো। মানুষের আত্মার ক্ষুদা নিবারণ হবে তাতে। এটাতে অনেক সোয়াব হবে।
আরেকজনকে: তুমি কি হতে চাও?
: আমি হুজুর হবো।
: মা’শাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! এটা তো সবচেয়ে ভালো কাজ। মানুষের ইহজগত-পরলোক সমস্ত ক্ষুদা নিবারণে তুমি কাজ করবে। আল্লাহ অনেক খুশি হবেন- অনেক সোয়াব দিবেন। …
উচ্ছাস একটু কমলে বাচ্চাটিকে আবার প্রশ্ন করেন: আচ্ছা বাবা, তোমার কেন এমন হুজুর হতে ইচ্ছা?
: আমরা খুব গরীব, ঠিক মত খাবার পাই না। তারপরেও যখন বাসায় হুজুর আসেন- মা বাসার মুরগী জবাই করে ওনাকে খুব যত্ন করে খাওয়ান।
230:
দুই বন্ধু, একজন আস্তিক আরেকজন নাস্তিক।
একদিন দুই বন্ধু মিলে পাখি শিকারে গেল। তো, প্রতিবার গুলি করে পাখি মরছিল না- আর নাস্তিক বন্ধু বিরক্তির স্বরে বলে উঠে: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
শুনে আস্তিক বন্ধু কানে হাত দিয়ে সংশোধন করে দেয়: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন…
নাস্তিক বন্ধু সরি-টরি করে আবার পাখি শিকারে ব্যস্ত হলো।
আবার কিছুক্ষণ পরে টার্গেট করে গুলি ছুড়লো- কিন্তু পাখি মরলো না। বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো: ধুর! বালটা আবার মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (একটু রাগত স্বরে ও উচ্চস্বরে)
: সরি সরি…
আবার একই ঘটনা….
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (আরো রেগে আরো চিৎকার করে)
: সরি সরি সরি…. (প্রায় হাত-পা ধরা অবস্থা)
কিছুক্ষণ পর। একটা পাখির দিকে টার্গেট করেছে নাস্তিক বন্ধু, গুলি ছুড়লো- কিন্তু আবারো মিস…
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (এবারে চরম ক্ষেপে গিয়ে সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে চিৎকার করে)
: স……..
নাস্তিক বন্ধুটি কথা শেষ করতে পারলো না…….
তার আগেই প্রচণ্ড আওয়াজ হয়ে একটি বাজ নেমে আসলো….
দেখা গেল- সেই বাজে আস্তিক বন্ধুটি মরে পড়ে আছে…..
এবং….
আকাশ থেকে একটি গায়েবী আওয়াজ শোনা গেল
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০
রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১০
General Joke 211-220
211:
মেয়েঃ মা, তুমি কি বিয়ের আগে ‘ড্রিল মাস্টার’ ছিলে?
মাঃ না তো, কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
মেয়েঃ দাদু, ফুপি সবাই বলে যে বাবা তোমার কথায় উঠ-বস করে।
212:
ঃ বোকার মতো অভিনয় করবে না।
ঃ আমি অভিনয় করছি না।
213:
গ্রামের শিক্ষিত এক ছেলেকে অশিক্ষিত লোক জিজ্ঞাসা করছে-
এই ছেলে, তুমি কত দূর পড়ালেখা করেছ? শিক্ষিত লোকঃ বিএ পাস করেছি।
অশিক্ষিত লোকঃ দুই অক্ষর পড়েছে, তা-ও আবার উল্টো।
214:
স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?
215:
বাবাঃ তোমাকে এবার পরীক্ষায় ৯৬ ভাগ নম্বর পেতেই হবে।
ছেলেঃ না বাবা, আমি ১০০ ভাগ নম্বরই পাব।
বাবাঃ আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারছ তুমি?
ছেলেঃ কে প্রথম শুরু করেছে বাবা?
216:
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা। অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
217:
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
218:
ঃ ভুল করে সবচেয়ে বেশি কী খোলা হয়, জানো?
ঃ মুখ।
219:
রহিমঃ
তুই নাকি টাকা ধার নিয়েছিস জহিরের কাছ থেকে।
করিমঃ হ্যাঁ, প্রয়োজন হয়েছিল তাই।
রহিমঃ তা এখন টাকা ফেরত দিচ্ছিস না কেন?
করিমঃ প্রয়োজন বোধ করছি না বলে।
220:
ঘটনাটা
আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
মেয়েঃ মা, তুমি কি বিয়ের আগে ‘ড্রিল মাস্টার’ ছিলে?
মাঃ না তো, কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
মেয়েঃ দাদু, ফুপি সবাই বলে যে বাবা তোমার কথায় উঠ-বস করে।
212:
ঃ বোকার মতো অভিনয় করবে না।
ঃ আমি অভিনয় করছি না।
213:
গ্রামের শিক্ষিত এক ছেলেকে অশিক্ষিত লোক জিজ্ঞাসা করছে-
এই ছেলে, তুমি কত দূর পড়ালেখা করেছ? শিক্ষিত লোকঃ বিএ পাস করেছি।
অশিক্ষিত লোকঃ দুই অক্ষর পড়েছে, তা-ও আবার উল্টো।
214:
স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?
215:
বাবাঃ তোমাকে এবার পরীক্ষায় ৯৬ ভাগ নম্বর পেতেই হবে।
ছেলেঃ না বাবা, আমি ১০০ ভাগ নম্বরই পাব।
বাবাঃ আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারছ তুমি?
ছেলেঃ কে প্রথম শুরু করেছে বাবা?
216:
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা। অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
217:
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
218:
ঃ ভুল করে সবচেয়ে বেশি কী খোলা হয়, জানো?
ঃ মুখ।
219:
রহিমঃ
তুই নাকি টাকা ধার নিয়েছিস জহিরের কাছ থেকে।
করিমঃ হ্যাঁ, প্রয়োজন হয়েছিল তাই।
রহিমঃ তা এখন টাকা ফেরত দিচ্ছিস না কেন?
করিমঃ প্রয়োজন বোধ করছি না বলে।
220:
ঘটনাটা
আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
General Joke 201-210
201:
এক এলাকায় আগুন লেগেছে। বিশাল আগুন! সঙ্গে সঙ্গে গুলির বেগে ছুটে এল দমকল বাহিনী। এবং দ্রুত এসে ধুপধাপ তারা আগুন নিভিয়ে ফেলল। তাদের এই কাজ দেখে খুশি হয়ে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দিল। তারপর তারা জানতে চাইল, এই যে পাঁচ হাজার টাকা পেল; এ দিয়ে তারা কী করবে। উত্তরে দমকল বাহিনীর লোকেরা জানাল, তাদের কোনো গাড়িতেই ব্রেক নেই! ব্রেক লাগাবে!
202:
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন? বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
203:
আমার বন্ধু সদ্য ডাক্তারি পাস করেছে। সে বেচারা প্রেমে পড়ে হঠাৎ একদিন বিয়ে করে বসল। বাসাতেও জানাজানি হলো; কেউ খুব একটা আপত্তি করল না। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে বউ নিয়ে কোথায় উঠবে? একান্নবর্তী পরিবার, সে নিজেই থাকে ড্রইংরুমের সোফায়! গার্জেনরা বলল, ‘আলাদা বাসা নে।’ সেই সংগতি তার এই মুহূর্তে নেই! কী করা, অন্তত বাসর রাতটা তো করা চাই! শেষ পর্যন্ত সে নিজেই একটা বুদ্ধি বের করল! সে জন্ডিসের রোগী হিসেবে সাত দিনের জন্য এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেল! ওই হাসপাতালের ডাক্তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করল। সব ঠিক, বউ এসে থাকবে; জন্ডিস রোগীর সেবা তো দরকার!
তা অবশেষে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট কেবিনে বউও এসে হাজির। বেশ রোমান্টিক অবস্থা! হঠাৎ রাত ১০টায় তার মা আর দুই বোন এসে হাজির! তিনি কীভাবে কীভাবে খবর পেয়েছেন, তাঁর ছেলে সিরিয়াস জন্ডিস বাধিয়ে হসপিটালাইজড। এসেই হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন, ‘তোর এত খারাপ অবস্থা, আমাদের জানালি না···বউমা, তুমিও তো জানাতে পারতে। বিয়ে করেই ভুলে গেলি··· বউমা, তুমি বাড়ি যাও, নতুন বউয়ের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই, আমরা আছি···’ সে রাত মা আর বোনদের সেবা নিয়েই আমার ডাক্তার বন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে পরদিনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। জন্ডিস রোগের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এত দ্রুত কাউকে পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
204:
ঃ তা ভাবার কি আছে ? সবাইকে তো মরতে হবে।
ঃ না, ভাবছি, শেষে যে মরবে তাকে নিয়ে যাবে কে ?
204:
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন
-, আমার নাম মফিজ। -, আমি একটা
পাগল। -, আমার মতো পাগলের কোনো ওষুধ নেই। -, আমিই বলদ। -, আমাকে দেখে সবাই মজা পায় এবং হাসে। কিন্তু -, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
206:
স্বামী ও স্ত্রী বসে আছে। এমন সময় ছেলে এসে বলল, বাবা তুমি আম্মুকে বিয়ে করেছ কেন? স্বামী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললঃ দেখেছ, আমাদের ছেলেও এটাতে বি্নিত!
207:
আমাদের স্কুলের আজিজ স্যার এত কড়া যে তুই যদি পরীক্ষায় ফুলস্টপ উল্টো করে লিখিস, তবুও তোকে ফেল করিয়ে দেবে।
208:
রতন তার বন্ধুকে ডেকে বললেন, ওরে, তোর মেয়ে সুইটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এইমাত্র খবর এসেছে।
বন্ধুটি এক কথা শুনেই দুঃখের চোটে দশতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিল। যখন সে আটতলার কাছে এল, তখন তার মনে হলো, তার তো কোনো মেয়েই নেই! যখন ছয়তলায় এল তখন মনে পড়ল, তার তো বিয়েই হয়নি। আর যখন সে একতলার কাছাকাছি এল, তখন তার মাথায় এল, আরে, আমার নাম তো জসবিন্দর সিংহ!
209:
একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’
210:
শিক্ষক ছাত্রের খাতা দেখে মন্তব্য লিখেছেন, ‘হাতের লেখা ভালো করতে হবে।’
ছাত্রঃ স্যার, আপনি কী লিখেছেন পড়তে পারছি না।
এক এলাকায় আগুন লেগেছে। বিশাল আগুন! সঙ্গে সঙ্গে গুলির বেগে ছুটে এল দমকল বাহিনী। এবং দ্রুত এসে ধুপধাপ তারা আগুন নিভিয়ে ফেলল। তাদের এই কাজ দেখে খুশি হয়ে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দিল। তারপর তারা জানতে চাইল, এই যে পাঁচ হাজার টাকা পেল; এ দিয়ে তারা কী করবে। উত্তরে দমকল বাহিনীর লোকেরা জানাল, তাদের কোনো গাড়িতেই ব্রেক নেই! ব্রেক লাগাবে!
202:
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন? বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
203:
আমার বন্ধু সদ্য ডাক্তারি পাস করেছে। সে বেচারা প্রেমে পড়ে হঠাৎ একদিন বিয়ে করে বসল। বাসাতেও জানাজানি হলো; কেউ খুব একটা আপত্তি করল না। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে বউ নিয়ে কোথায় উঠবে? একান্নবর্তী পরিবার, সে নিজেই থাকে ড্রইংরুমের সোফায়! গার্জেনরা বলল, ‘আলাদা বাসা নে।’ সেই সংগতি তার এই মুহূর্তে নেই! কী করা, অন্তত বাসর রাতটা তো করা চাই! শেষ পর্যন্ত সে নিজেই একটা বুদ্ধি বের করল! সে জন্ডিসের রোগী হিসেবে সাত দিনের জন্য এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেল! ওই হাসপাতালের ডাক্তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করল। সব ঠিক, বউ এসে থাকবে; জন্ডিস রোগীর সেবা তো দরকার!
তা অবশেষে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট কেবিনে বউও এসে হাজির। বেশ রোমান্টিক অবস্থা! হঠাৎ রাত ১০টায় তার মা আর দুই বোন এসে হাজির! তিনি কীভাবে কীভাবে খবর পেয়েছেন, তাঁর ছেলে সিরিয়াস জন্ডিস বাধিয়ে হসপিটালাইজড। এসেই হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন, ‘তোর এত খারাপ অবস্থা, আমাদের জানালি না···বউমা, তুমিও তো জানাতে পারতে। বিয়ে করেই ভুলে গেলি··· বউমা, তুমি বাড়ি যাও, নতুন বউয়ের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই, আমরা আছি···’ সে রাত মা আর বোনদের সেবা নিয়েই আমার ডাক্তার বন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে পরদিনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। জন্ডিস রোগের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এত দ্রুত কাউকে পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
204:
ঃ তা ভাবার কি আছে ? সবাইকে তো মরতে হবে।
ঃ না, ভাবছি, শেষে যে মরবে তাকে নিয়ে যাবে কে ?
204:
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন
-, আমার নাম মফিজ। -, আমি একটা
পাগল। -, আমার মতো পাগলের কোনো ওষুধ নেই। -, আমিই বলদ। -, আমাকে দেখে সবাই মজা পায় এবং হাসে। কিন্তু -, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
206:
স্বামী ও স্ত্রী বসে আছে। এমন সময় ছেলে এসে বলল, বাবা তুমি আম্মুকে বিয়ে করেছ কেন? স্বামী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললঃ দেখেছ, আমাদের ছেলেও এটাতে বি্নিত!
207:
আমাদের স্কুলের আজিজ স্যার এত কড়া যে তুই যদি পরীক্ষায় ফুলস্টপ উল্টো করে লিখিস, তবুও তোকে ফেল করিয়ে দেবে।
208:
রতন তার বন্ধুকে ডেকে বললেন, ওরে, তোর মেয়ে সুইটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এইমাত্র খবর এসেছে।
বন্ধুটি এক কথা শুনেই দুঃখের চোটে দশতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিল। যখন সে আটতলার কাছে এল, তখন তার মনে হলো, তার তো কোনো মেয়েই নেই! যখন ছয়তলায় এল তখন মনে পড়ল, তার তো বিয়েই হয়নি। আর যখন সে একতলার কাছাকাছি এল, তখন তার মাথায় এল, আরে, আমার নাম তো জসবিন্দর সিংহ!
209:
একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’
210:
শিক্ষক ছাত্রের খাতা দেখে মন্তব্য লিখেছেন, ‘হাতের লেখা ভালো করতে হবে।’
ছাত্রঃ স্যার, আপনি কী লিখেছেন পড়তে পারছি না।
General Joke 191-200
191:
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’
192:
শাহেদঃ কিরে! ছুরিটা গরম জলে ফোটাচ্ছিস কেন?
পলাশঃ আমি আত্মহত্যা করব ওই ছুরি দিয়ে।
শাহেদঃ তার জন্য ওটাকে গরম করার কী দরকার?
পলাশঃ উফ! যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ওটাকে ফুটিয়ে নিচ্ছি।
193:
ভিখারি
বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
194:
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
195:
অফিসে
বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
196:
ঃ ডাক্তার সাহেব, চশমা নেওয়ার পর কি আমি এ বি সি ডি পড়তে পারব?ঃ অবশ্যই পারবেন।
ঃ এবার দেখব, কোন শালায় কয় আমি ইংরেজি পারি না।
197:
এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।
198:
নসু মামা নতুন লেমিনেশনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাই যা-ই পান, তাই লেমিনেশন করে ফেলেন। যেমন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সার্টিফিকেট, বাসার ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল-কোনো কিছু বাদ নেই লেমিনেশনের। আমরা তাঁকে নিয়ে আড়ালে হাসাহাসিও করতাম। যা-ই হোক, সেই নসু মামা প্রেমে পড়লেন এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বাসায় এনে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। এর কয় দিন পর আমি দুই বছরের জন্য বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসে শুনি, মামা ছ্যাঁক খেয়েছেন; লেমিনেশনের ব্যবসাও আর নেই। এর মধ্যে একদিন এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে গেছি। গিয়ে দেখি নতুন বউ আর কেউ নয়, সেই নসু মামার প্রেমিকা! এর কয় দিন পর একদিন বন্ধুর বাসায় গিয়ে নতুন ভাবিকে (মানে ভূতপূর্ব নসু মামি) সুযোগমতো পেয়ে জানতে চাইলাম, আমাদের নসু মামাকে কেন তিনি ত্যাগ করেছিলেন? উত্তরে তিনি একটু অপ্রস্তুত হলেন। তারপর সামলে নিয়ে বলেন, ‘দেখো, সে আমাকে প্রেমপত্র দিত লেমিনেশন করে···’ বাকিটা আমি আর শুনতে চাইনি। কোনোমতে হাসি চেপে বাসায় ফিরেছি।
199:
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
200:
এক ভদ্রলোকঃ আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাই।
আইনজীবীঃ কারণ কী?
ভদ্রলোকঃ আমার বউ আমার সঙ্গে গত ছয় মাস কোনো কথা বলেনি।
আইনজীবীঃ ব্যাপারটা ভালো করে ভেবে দেখুন। এ রকম নীরব স্ত্রী কিন্তু খুব একটা সহজে পাওয়া যায় না।
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’
192:
শাহেদঃ কিরে! ছুরিটা গরম জলে ফোটাচ্ছিস কেন?
পলাশঃ আমি আত্মহত্যা করব ওই ছুরি দিয়ে।
শাহেদঃ তার জন্য ওটাকে গরম করার কী দরকার?
পলাশঃ উফ! যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ওটাকে ফুটিয়ে নিচ্ছি।
193:
ভিখারি
বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
194:
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
195:
অফিসে
বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
196:
ঃ ডাক্তার সাহেব, চশমা নেওয়ার পর কি আমি এ বি সি ডি পড়তে পারব?ঃ অবশ্যই পারবেন।
ঃ এবার দেখব, কোন শালায় কয় আমি ইংরেজি পারি না।
197:
এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।
198:
নসু মামা নতুন লেমিনেশনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাই যা-ই পান, তাই লেমিনেশন করে ফেলেন। যেমন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সার্টিফিকেট, বাসার ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল-কোনো কিছু বাদ নেই লেমিনেশনের। আমরা তাঁকে নিয়ে আড়ালে হাসাহাসিও করতাম। যা-ই হোক, সেই নসু মামা প্রেমে পড়লেন এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বাসায় এনে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। এর কয় দিন পর আমি দুই বছরের জন্য বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসে শুনি, মামা ছ্যাঁক খেয়েছেন; লেমিনেশনের ব্যবসাও আর নেই। এর মধ্যে একদিন এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে গেছি। গিয়ে দেখি নতুন বউ আর কেউ নয়, সেই নসু মামার প্রেমিকা! এর কয় দিন পর একদিন বন্ধুর বাসায় গিয়ে নতুন ভাবিকে (মানে ভূতপূর্ব নসু মামি) সুযোগমতো পেয়ে জানতে চাইলাম, আমাদের নসু মামাকে কেন তিনি ত্যাগ করেছিলেন? উত্তরে তিনি একটু অপ্রস্তুত হলেন। তারপর সামলে নিয়ে বলেন, ‘দেখো, সে আমাকে প্রেমপত্র দিত লেমিনেশন করে···’ বাকিটা আমি আর শুনতে চাইনি। কোনোমতে হাসি চেপে বাসায় ফিরেছি।
199:
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
200:
এক ভদ্রলোকঃ আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাই।
আইনজীবীঃ কারণ কী?
ভদ্রলোকঃ আমার বউ আমার সঙ্গে গত ছয় মাস কোনো কথা বলেনি।
আইনজীবীঃ ব্যাপারটা ভালো করে ভেবে দেখুন। এ রকম নীরব স্ত্রী কিন্তু খুব একটা সহজে পাওয়া যায় না।
General Joke 181-190
181:
শিক্ষক
ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষকঃ ‘বৃষ্টি পড়ছে’-এর Translation করো।
ছাত্রঃ Rain is reading.
182:
একদিন
এক স্ত্রী তার স্বামীর জন্য খুব যত্ন নিয়ে চটপটি তৈরি করল। স্বামী এক চামচ মুখে দিয়েই ওয়াক করে ফেলে দিল আর বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? খেতে গরুর গোবরের মতো!’ স্ত্রী আঁচল দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে বলল, ‘ও মা! কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে!’
183:
ভদ্রমহিলাঃ
আজ একটা জরুরি কাজ আছে। সব রান্না একটার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
বুয়াঃ বাড়িতে কোনো বড় পাতিল নেই তো! তাহলে রান্না একটার মধ্যে শেষ করব কীভাবে?
184:
তাঁর সামনে কখনো আমি মুখ খোলার সুযোগ পাই না, একমাত্র হাই তোলা ছাড়া।
বাবুলঃ আসলাম, তোর বাড়িতে দেখলাম তোর বউ তোর এক বন্ধুর হাত ধরে বসে আছে!
আসলাম রেগেমেগে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সে ফিরে এসে বাবুলকে জোরে এক থাপড় মেরে বলল, ‘ওটা আমার বন্ধু নয়, কেন আমাকে শুধু শুধু বাড়ি পাঠালি?’
185:
শাশুড়িঃ
ঈশ্বর দুটো চোখ দিয়েছে কী করতে? চাল থেকে দুটো কাঁকর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে এক জিনিস- দাঁতে কাঁকর।
বউমাঃ ঈশ্বর বত্রিশটা দাঁত দিয়েছে কী করতে? দুটো কাঁকর চিবোতে পারেন না?
186:
বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’
187:
শিক্ষকঃ বলতে পার, ধূমপান কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ছাত্রঃ স্যার, ধূমপান ক্ষতিকারকে পকেটশূন্য বিভক্তি।
188:
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?
189:
পম্পিঃ
বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলুঃ কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
পম্পিঃ তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলুঃ তখন এসি অন করি।
190:
টিটুঃ জানিস, আমি একদিন রাস্তায় খেলা করছিলাম, তখন একটা গাড়ি এসে আমাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
তিন্নিঃ এ বাবা! তারপর কী হলো? তুই কি বেঁচে গিয়েছিলি?
টিটুঃ ঠিক মনে নেই রে। তখন আমার মাত্র তিন বছর বয়স ছিল।
শিক্ষক
ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষকঃ ‘বৃষ্টি পড়ছে’-এর Translation করো।
ছাত্রঃ Rain is reading.
182:
একদিন
এক স্ত্রী তার স্বামীর জন্য খুব যত্ন নিয়ে চটপটি তৈরি করল। স্বামী এক চামচ মুখে দিয়েই ওয়াক করে ফেলে দিল আর বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? খেতে গরুর গোবরের মতো!’ স্ত্রী আঁচল দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে বলল, ‘ও মা! কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে!’
183:
ভদ্রমহিলাঃ
আজ একটা জরুরি কাজ আছে। সব রান্না একটার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
বুয়াঃ বাড়িতে কোনো বড় পাতিল নেই তো! তাহলে রান্না একটার মধ্যে শেষ করব কীভাবে?
184:
তাঁর সামনে কখনো আমি মুখ খোলার সুযোগ পাই না, একমাত্র হাই তোলা ছাড়া।
বাবুলঃ আসলাম, তোর বাড়িতে দেখলাম তোর বউ তোর এক বন্ধুর হাত ধরে বসে আছে!
আসলাম রেগেমেগে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সে ফিরে এসে বাবুলকে জোরে এক থাপড় মেরে বলল, ‘ওটা আমার বন্ধু নয়, কেন আমাকে শুধু শুধু বাড়ি পাঠালি?’
185:
শাশুড়িঃ
ঈশ্বর দুটো চোখ দিয়েছে কী করতে? চাল থেকে দুটো কাঁকর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে এক জিনিস- দাঁতে কাঁকর।
বউমাঃ ঈশ্বর বত্রিশটা দাঁত দিয়েছে কী করতে? দুটো কাঁকর চিবোতে পারেন না?
186:
বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’
187:
শিক্ষকঃ বলতে পার, ধূমপান কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ছাত্রঃ স্যার, ধূমপান ক্ষতিকারকে পকেটশূন্য বিভক্তি।
188:
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?
189:
পম্পিঃ
বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলুঃ কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
পম্পিঃ তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলুঃ তখন এসি অন করি।
190:
টিটুঃ জানিস, আমি একদিন রাস্তায় খেলা করছিলাম, তখন একটা গাড়ি এসে আমাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
তিন্নিঃ এ বাবা! তারপর কী হলো? তুই কি বেঁচে গিয়েছিলি?
টিটুঃ ঠিক মনে নেই রে। তখন আমার মাত্র তিন বছর বয়স ছিল।
General Joke 171-180
171:
এক ইংরেজ ভদ্রলোক বাংলাদেশের কাঁঠালবাজারে কাঁঠাল দেখছেন-
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আহেন স্যার, ভালা কাঁডাল আছে।
ভদ্রলোকঃ আই সি।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আইছেন যহন, বহেন (পিঁড়ি এগিয়ে দেয়)।
ভদ্রলোকঃ ওকে, ওকে।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ ও আমার ভাতিজা, স্যার। নেন, স্যার, কাঁডাল মিষ্টি বেশি।
ভদ্রলোকঃ মিটসুবিশি? ইজ ইট এ কার?
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ বিশ্বাস করেন, স্যার, এগুলো আমার!
172:
কাস্টমারঃ আমাকে একটা পান দেন তো।
দোকানদারঃ আপনি কি খয়ার খান?
কাস্টমারঃ নাহ্! আমার নাম ইমরান খান।
173:
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমি না একটা চীনা রেডিও কিনেছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তুই কী বোকা, তুই তো চীনা ভাষাই জানিস না।
174;
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধুঃ আচ্ছা, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে বাচাল কে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কে?
প্রথম বন্ধুঃ ঘড়ি! সব সময় টক টক···।
175:
ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।
176:
স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আরম্ভ হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে।
শিক্ষকঃ তুমি কাঁদছ কেন?
ছাত্রীঃ আমার রচনা কমন পড়েনি।
শিক্ষকঃ কেন? কী এসেছে?
ছাত্রীঃ এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখব কীভাবে।
177:
ঃ সবাই বলে আমার বুদ্ধি নাকি নামতে নামতে অনেক নিচে নেমে এসেছে। এখন কী করি ?
ঃ কী আর করবি, মাথা ব্যথা হলে জুতার ভেতরে আøাসপিরিন ট্যাবলেট ভরে রাখিস।
178:
একজন ছাত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখল, সে কোনো উত্তর পারে না। তখন ছাত্রটি খাতায় লিখল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, নম্বর দেওয়া স্যারের কাম।’
পরীক্ষার কাগজ পেয়ে শিক্ষকও খাতায় লিখে দিলেন, ‘হরে হরে হরে, নম্বর কি গাছে ধরে?’
179:
প্রথম দিন
একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, দ্বিতীয় দিন ওই ছেলেটিই অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও ওই ছেলেটির সঙ্গে অন্য দুটি নতুন মেয়েকে দেখা গেল।
নীতিবাক্যঃ মেয়েরা পালটে যায়। ছেলেরা পাল্টায় না।
180:
আসাদঃ
আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?
এক ইংরেজ ভদ্রলোক বাংলাদেশের কাঁঠালবাজারে কাঁঠাল দেখছেন-
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আহেন স্যার, ভালা কাঁডাল আছে।
ভদ্রলোকঃ আই সি।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আইছেন যহন, বহেন (পিঁড়ি এগিয়ে দেয়)।
ভদ্রলোকঃ ওকে, ওকে।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ ও আমার ভাতিজা, স্যার। নেন, স্যার, কাঁডাল মিষ্টি বেশি।
ভদ্রলোকঃ মিটসুবিশি? ইজ ইট এ কার?
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ বিশ্বাস করেন, স্যার, এগুলো আমার!
172:
কাস্টমারঃ আমাকে একটা পান দেন তো।
দোকানদারঃ আপনি কি খয়ার খান?
কাস্টমারঃ নাহ্! আমার নাম ইমরান খান।
173:
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমি না একটা চীনা রেডিও কিনেছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তুই কী বোকা, তুই তো চীনা ভাষাই জানিস না।
174;
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধুঃ আচ্ছা, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে বাচাল কে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কে?
প্রথম বন্ধুঃ ঘড়ি! সব সময় টক টক···।
175:
ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।
176:
স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আরম্ভ হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে।
শিক্ষকঃ তুমি কাঁদছ কেন?
ছাত্রীঃ আমার রচনা কমন পড়েনি।
শিক্ষকঃ কেন? কী এসেছে?
ছাত্রীঃ এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখব কীভাবে।
177:
ঃ সবাই বলে আমার বুদ্ধি নাকি নামতে নামতে অনেক নিচে নেমে এসেছে। এখন কী করি ?
ঃ কী আর করবি, মাথা ব্যথা হলে জুতার ভেতরে আøাসপিরিন ট্যাবলেট ভরে রাখিস।
178:
একজন ছাত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখল, সে কোনো উত্তর পারে না। তখন ছাত্রটি খাতায় লিখল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, নম্বর দেওয়া স্যারের কাম।’
পরীক্ষার কাগজ পেয়ে শিক্ষকও খাতায় লিখে দিলেন, ‘হরে হরে হরে, নম্বর কি গাছে ধরে?’
179:
প্রথম দিন
একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, দ্বিতীয় দিন ওই ছেলেটিই অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও ওই ছেলেটির সঙ্গে অন্য দুটি নতুন মেয়েকে দেখা গেল।
নীতিবাক্যঃ মেয়েরা পালটে যায়। ছেলেরা পাল্টায় না।
180:
আসাদঃ
আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?
General Joke 161-170
161:
একটা লোককে কয়েকজন ধরে আচ্ছামতো মারছে। কিন্তু এত মার খেয়েও লোকটা হি হি করে হাসছে। মার শেষে লোকগুলো চলে গেলে এক পথচারী লোকটার হাসির কারণ জানতে এগিয়ে গেল, ‘এত মার খেয়ে আপনি হাসছেন কেন?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘হাসব না, লোকগুলো তো সব গাধা। ওরা ফজলু শেখ ভেবে আমাকে মারল। ফজলু শেখ তো আমার শত্রু, আমার নাম তো বজলু শেখ!’
162:
ফাঁসির আসামিকে আগের দিন জেলখানার একজন কর্মচারী কথায় কথায় বললেন, ‘কাল তোমাকে ফাঁসি দিতে সরকারের ৫০০ টাকা খরচ হবে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আসামি অবাক হয়ে বললেন, ‘এত টাকা কেন?’ কারা-কর্মচারী হিসাব দিলেন, জল্লাদ আর তার সহকারীরা পাবে ৩০০ টাকা, ফাঁসির পোশাক বাবদ ১০০ টাকা, দড়ি-ফাঁসির অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১০০ টাকা।
খরচের বর্ণনা শুনে আসামি ব্যবসায়ীটি খানিকক্ষণ কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘এত খরচের দরকার কী? কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ১০০ টাকা দিক, আর দুই টাকা দিয়ে একটা দড়ি কিনে দিক। আমি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে মরি। আমারও কিছু লাভ হবে, সরকারেরও সাশ্রয় হবে।’
163:
একদা সচ্ছল, এখন সর্বস্বান্ত এক মহাজনকে সন্ধ্যার অন্ধকারে দুজন ছিনতাইকারী পাকড়াও করল। মিনিট পনেরোর মতো মহাজন প্রাণপণে লড়ে গেলেন ছিনতাইকারী দুজনের সঙ্গে। অবশেষে কাবু হলেন। অনেক খুঁজে ছিনতাইকারী তাঁর শার্টের পকেট থেকে একটা আধুলি পেল মাত্র।
এক ছিনতাইকারী তখন অন্য ছিনতাইকারীকে বলল, ‘সর্বনাশ! এর কাছে যদি পুরো একটা টাকাও থাকত, তাহলে আমাদের আর প্রাণে বাঁচতে হতো না!’
164:
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দুই সৈনিক দুটি বোমা নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। একটি বোমা ছিল একজনের কোলে। সে চালক সৈনিককে বলল, ‘আস্তে চালাও, যেকোনো মুহূর্তে বিস্কোরণ ঘটতে পারে।’
চালক সৈনিক আশ্বস্ত করল, ‘চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা তো আছেই।’
165:
এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।
166:
বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
ঃ আ-আপনি?
ঃ বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।
167:
একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’
168;
ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’
169:
চীনারা বাচ্চাদের নামকরণ কীভাবে করে জানেন? বাচ্চা হলে নাকি তারা ঘরের হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র সব আকাশে ছুড়ে দেয়। তারপর ওগুলো একটা একটা করে পড়তে থাকে। কোনোটা ‘ট্যাং’ শব্দে পড়ে, কোনোটা ‘চ্যাং’ আর কোনোটা ‘প্যাং’ শব্দে···। ওই শব্দ থেকে তারা একটা নাম পছন্দ কের নেয়।
170:
মাঃ ডিনার খেতে অনেক গেস্ট আসবে এখন। যাও, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তৈরি হয়ে এসো।
ছেলেঃ গেস্টরা কি আমাকেই খাবে!
একটা লোককে কয়েকজন ধরে আচ্ছামতো মারছে। কিন্তু এত মার খেয়েও লোকটা হি হি করে হাসছে। মার শেষে লোকগুলো চলে গেলে এক পথচারী লোকটার হাসির কারণ জানতে এগিয়ে গেল, ‘এত মার খেয়ে আপনি হাসছেন কেন?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘হাসব না, লোকগুলো তো সব গাধা। ওরা ফজলু শেখ ভেবে আমাকে মারল। ফজলু শেখ তো আমার শত্রু, আমার নাম তো বজলু শেখ!’
162:
ফাঁসির আসামিকে আগের দিন জেলখানার একজন কর্মচারী কথায় কথায় বললেন, ‘কাল তোমাকে ফাঁসি দিতে সরকারের ৫০০ টাকা খরচ হবে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আসামি অবাক হয়ে বললেন, ‘এত টাকা কেন?’ কারা-কর্মচারী হিসাব দিলেন, জল্লাদ আর তার সহকারীরা পাবে ৩০০ টাকা, ফাঁসির পোশাক বাবদ ১০০ টাকা, দড়ি-ফাঁসির অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১০০ টাকা।
খরচের বর্ণনা শুনে আসামি ব্যবসায়ীটি খানিকক্ষণ কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘এত খরচের দরকার কী? কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ১০০ টাকা দিক, আর দুই টাকা দিয়ে একটা দড়ি কিনে দিক। আমি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে মরি। আমারও কিছু লাভ হবে, সরকারেরও সাশ্রয় হবে।’
163:
একদা সচ্ছল, এখন সর্বস্বান্ত এক মহাজনকে সন্ধ্যার অন্ধকারে দুজন ছিনতাইকারী পাকড়াও করল। মিনিট পনেরোর মতো মহাজন প্রাণপণে লড়ে গেলেন ছিনতাইকারী দুজনের সঙ্গে। অবশেষে কাবু হলেন। অনেক খুঁজে ছিনতাইকারী তাঁর শার্টের পকেট থেকে একটা আধুলি পেল মাত্র।
এক ছিনতাইকারী তখন অন্য ছিনতাইকারীকে বলল, ‘সর্বনাশ! এর কাছে যদি পুরো একটা টাকাও থাকত, তাহলে আমাদের আর প্রাণে বাঁচতে হতো না!’
164:
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দুই সৈনিক দুটি বোমা নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। একটি বোমা ছিল একজনের কোলে। সে চালক সৈনিককে বলল, ‘আস্তে চালাও, যেকোনো মুহূর্তে বিস্কোরণ ঘটতে পারে।’
চালক সৈনিক আশ্বস্ত করল, ‘চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা তো আছেই।’
165:
এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।
166:
বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
ঃ আ-আপনি?
ঃ বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।
167:
একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’
168;
ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’
169:
চীনারা বাচ্চাদের নামকরণ কীভাবে করে জানেন? বাচ্চা হলে নাকি তারা ঘরের হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র সব আকাশে ছুড়ে দেয়। তারপর ওগুলো একটা একটা করে পড়তে থাকে। কোনোটা ‘ট্যাং’ শব্দে পড়ে, কোনোটা ‘চ্যাং’ আর কোনোটা ‘প্যাং’ শব্দে···। ওই শব্দ থেকে তারা একটা নাম পছন্দ কের নেয়।
170:
মাঃ ডিনার খেতে অনেক গেস্ট আসবে এখন। যাও, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তৈরি হয়ে এসো।
ছেলেঃ গেস্টরা কি আমাকেই খাবে!
General Joke 151-160
151:
আমি বড়লোকের এক ত্যাঁদড় ছেলেকে পড়াই। মহা ফাজিল ছাত্র! একদিন তাকে ট্রান্সলেশন পড়াচ্ছি। সে উল্টো আমাকে ট্রান্সলেশন ধরে বসল, ‘স্যার, বলেন তো, আমি হই কিন্তু দুই, এর ইংরেজি কী হবে?’
ঃ এটা আবার কী হলো?
ঃ বলেন না, স্যার।
ঃ আই অ্যাম বাট টু···
আমার ফাজিল ছাত্র দেখি হি হি হাসিতে ভেঙে পড়ছে। তখনই আমার খেয়াল হলো, আরে, সে তো আমাকে বোকা বানানোর জন্য কাজটা করেছে! বলাই বাহুল্য, আমি একটু খাটোই!
152:
এক বুড়ো গাছ থেকে পড়ে হাত ভেঙে ডাক্তারের কাছে গেলেন-
ডাক্তারঃ গাছ থেকে পড়লেন কীভাবে?
রোগীঃ তোরা কে আছিস, আমাকে ধরে গাছে তুলে দে। আমি স্যারকে বুঝিয়ে দিই কী করে পড়লাম।
153:
বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী করে বলব?
154:
প্রথম বন্ধুঃ আমি কখনো পুলিশের মার খাইনি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আমি প্রায় রোজই খাই।
প্রথম বন্ধুঃ বলিস কিরে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন, জানিস না, আমার আব্বু একজন পুলিশ অফিসার?
155:
বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
156:
একজন ক্রেতাঃ সর্দারজি, লসসিতে মাছি!
সর্দারজিঃ এত ছোট মন তোমার? একটা মাছির জন্য চেঁচাচ্ছ? ওই একটা ছোট্ট মাছি তোমার কতটা লসসিই বা খাবে।
157:
বাবলু একদিন টিভি কিনতে দোকানে গেল। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল, এখানে কালার টিভি পাওয়া যায়?
দোকানদারঃ হ্যাঁ, আপনি নেবেন?
সর্দারজিঃ নেব বলেই তো এসেছি। আমাকে একটা সবুজ রঙের টিভি দাও তো?
158:
দীপ্রঃ জানিস মিশু, আমার বাবা না ভীষণ ভীতু।
মিশুঃ তুই কী করে বুঝলি?
দীপ্রঃ যখনই রাস্তা পার হয়, তখনই আমার হাত শক্ত করে ধরে, আর বলে, হাত ছেড়ো না।
159:
একদিন তুমুল ঝগড়ার পর গিন্নি তাঁর কর্তাকে বললেন, আমি মনে হয় পাগল ছিলাম যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।
কর্তা বললেনঃ আর আমিও তোমার প্রেমে তখন এত হাবুডুবু খেয়েছিলাম যে খেয়াল করিনি তুমি পাগল।
160:
ঃ শুনেছিস, সেই
লেখক ভদ্রলোক গাড়িচাপা পড়ে মারা গেছেন।
ঃ কোন লেখক?
ঃ ওই যে, যিনি ‘পায়ে হেঁটে নিরাপদে রাস্তায় চলার নিয়মাবলি’ বইটা লিখেছিলেন।
আমি বড়লোকের এক ত্যাঁদড় ছেলেকে পড়াই। মহা ফাজিল ছাত্র! একদিন তাকে ট্রান্সলেশন পড়াচ্ছি। সে উল্টো আমাকে ট্রান্সলেশন ধরে বসল, ‘স্যার, বলেন তো, আমি হই কিন্তু দুই, এর ইংরেজি কী হবে?’
ঃ এটা আবার কী হলো?
ঃ বলেন না, স্যার।
ঃ আই অ্যাম বাট টু···
আমার ফাজিল ছাত্র দেখি হি হি হাসিতে ভেঙে পড়ছে। তখনই আমার খেয়াল হলো, আরে, সে তো আমাকে বোকা বানানোর জন্য কাজটা করেছে! বলাই বাহুল্য, আমি একটু খাটোই!
152:
এক বুড়ো গাছ থেকে পড়ে হাত ভেঙে ডাক্তারের কাছে গেলেন-
ডাক্তারঃ গাছ থেকে পড়লেন কীভাবে?
রোগীঃ তোরা কে আছিস, আমাকে ধরে গাছে তুলে দে। আমি স্যারকে বুঝিয়ে দিই কী করে পড়লাম।
153:
বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী করে বলব?
154:
প্রথম বন্ধুঃ আমি কখনো পুলিশের মার খাইনি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আমি প্রায় রোজই খাই।
প্রথম বন্ধুঃ বলিস কিরে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন, জানিস না, আমার আব্বু একজন পুলিশ অফিসার?
155:
বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
156:
একজন ক্রেতাঃ সর্দারজি, লসসিতে মাছি!
সর্দারজিঃ এত ছোট মন তোমার? একটা মাছির জন্য চেঁচাচ্ছ? ওই একটা ছোট্ট মাছি তোমার কতটা লসসিই বা খাবে।
157:
বাবলু একদিন টিভি কিনতে দোকানে গেল। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল, এখানে কালার টিভি পাওয়া যায়?
দোকানদারঃ হ্যাঁ, আপনি নেবেন?
সর্দারজিঃ নেব বলেই তো এসেছি। আমাকে একটা সবুজ রঙের টিভি দাও তো?
158:
দীপ্রঃ জানিস মিশু, আমার বাবা না ভীষণ ভীতু।
মিশুঃ তুই কী করে বুঝলি?
দীপ্রঃ যখনই রাস্তা পার হয়, তখনই আমার হাত শক্ত করে ধরে, আর বলে, হাত ছেড়ো না।
159:
একদিন তুমুল ঝগড়ার পর গিন্নি তাঁর কর্তাকে বললেন, আমি মনে হয় পাগল ছিলাম যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।
কর্তা বললেনঃ আর আমিও তোমার প্রেমে তখন এত হাবুডুবু খেয়েছিলাম যে খেয়াল করিনি তুমি পাগল।
160:
ঃ শুনেছিস, সেই
লেখক ভদ্রলোক গাড়িচাপা পড়ে মারা গেছেন।
ঃ কোন লেখক?
ঃ ওই যে, যিনি ‘পায়ে হেঁটে নিরাপদে রাস্তায় চলার নিয়মাবলি’ বইটা লিখেছিলেন।
General Joke 141-150
141:আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
142:নেপোলিয়ান
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান সম্রাট হয়েছিলেন!
143:গরম চা
১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চাপাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!
144:ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
145:কুমীর
টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।
146:ড্রাইভিং লাইসেন্স
ট্রাফিকঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি।
চালকঃ কিন্তু স্যার, আমিতো খুব সাবধানে চালাচ্ছি,বেআইনি কোন কিছু করিনি।
ট্রফিকঃ সেজন্যইতো সন্দেহ হচ্ছে।
147:শত্রু নাই
প্রথম ভদ্রলোকঃ আমার বয়স পঁচাশি বছর হলো, পৃথিবীতে আমার কোন শত্রু নাই।
দ্বিতীয় ভদ্রলোকঃ আবাক কান্ড,এতো বছরেও পৃথিবীতে আপনার কোন শত্রু হয়নি!
প্রথম ভদ্রলোকঃ যারা হয়েছিল,তারা অনেক আগে মারা গেছে।
একটা বাচাল বাচ্চা বাসে উঠে ড্রাইভারের পাশে বসলো। বসেই এত্তো কথা বলা শুরু করলো যে ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে গেল। বাচ্চার কথা গুলো এরকমের ‘
আমার আব্বা যদি মোরগ হোতো আর আমার আম্মা যদি মুরগী হোতো আমি একটা বাচ্চা ………….. মুরগী হোতাম‘
একটু পর ছেলেটি আবার বলতেছে
‘আমার আব্বা যদি একটা ছেলে হাতি হোতো আর আমার আম্মা যদি মেয়ে হাতি হোতো আমি একটা বাচ্চা হাতি হোতাম‘
আবার একটু পর
‘আমার আব্বা যদি একটা ষাঁড় হোতো আর আমার আম্মা যদি গরু হোতো আমি একটা বাচ্চা গরু হোতাম‘
এভাবে বলতে বলতে ড্রাইভারকে সহ্যের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেল।
ড্রাইভার শেষে থাকতে না পেরে ছেলেটিকে বললো
‘তোমার আব্বা যদি একটা মাতাল হতো আর তোমার আম্মা যদি পতিতা হতো তাহলে তুমি কি হুতে?’
ছেলেটি কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো
‘তাহলে আমি হোতাম বাস ড্রাইভার‘।
148:ডিম
১ম পাগলঃ জানিস, আজ আমি বাজার থেকে একটা আণ্ডাওয়ালা মোরগ নিয়ে এলাম।
২য় পাগলঃ ধুর বোকা, মোরগ কী ঘোড়া যে ডিম পাড়বে
149:
রোগীঃ ডাক্তার, আমার না ভুলে যাওয়ার ব্যামোয় ধরেছে।
ডাক্তারঃ কবে থেকে এই রোগের শিকার হয়েছেন?
রোগীঃ অ্যাই ডাক্তার, কোন রোগের কথা বলছিস? আমি দিব্যি সুস্থ। খালি পয়সা বের করার ধান্দা, না।
150:
দুই বন্ধু গেছি পদ্মাপারের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে। পূর্ণিমার রাত। দুজনে চলে গেলাম পদ্মাপাড়ে। পা ঝুলিয়ে বসলাম। বন্ধুর কাব্য রোগ আছে, সে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠল। না উঠেই বা উপায় কী? ওপরে ফিনিক ফোটা জ্যোৎস্মা···, নিচে জলের কল্লোল··· কবি বন্ধু বলে উঠল, ‘ইচ্ছে করে এই গহিন রহস্যময় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাই···’ বলামাত্রই ‘ঝুপ’ করে একটা শব্দ! দেখি আমার পাশে কেউ নেই! নদীর পাড় ভেঙে সে আক্ষরিক অর্থেই নিচে হারিয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
142:নেপোলিয়ান
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান সম্রাট হয়েছিলেন!
143:গরম চা
১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চাপাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!
144:ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
145:কুমীর
টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।
146:ড্রাইভিং লাইসেন্স
ট্রাফিকঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি।
চালকঃ কিন্তু স্যার, আমিতো খুব সাবধানে চালাচ্ছি,বেআইনি কোন কিছু করিনি।
ট্রফিকঃ সেজন্যইতো সন্দেহ হচ্ছে।
147:শত্রু নাই
প্রথম ভদ্রলোকঃ আমার বয়স পঁচাশি বছর হলো, পৃথিবীতে আমার কোন শত্রু নাই।
দ্বিতীয় ভদ্রলোকঃ আবাক কান্ড,এতো বছরেও পৃথিবীতে আপনার কোন শত্রু হয়নি!
প্রথম ভদ্রলোকঃ যারা হয়েছিল,তারা অনেক আগে মারা গেছে।
একটা বাচাল বাচ্চা বাসে উঠে ড্রাইভারের পাশে বসলো। বসেই এত্তো কথা বলা শুরু করলো যে ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে গেল। বাচ্চার কথা গুলো এরকমের ‘
আমার আব্বা যদি মোরগ হোতো আর আমার আম্মা যদি মুরগী হোতো আমি একটা বাচ্চা ………….. মুরগী হোতাম‘
একটু পর ছেলেটি আবার বলতেছে
‘আমার আব্বা যদি একটা ছেলে হাতি হোতো আর আমার আম্মা যদি মেয়ে হাতি হোতো আমি একটা বাচ্চা হাতি হোতাম‘
আবার একটু পর
‘আমার আব্বা যদি একটা ষাঁড় হোতো আর আমার আম্মা যদি গরু হোতো আমি একটা বাচ্চা গরু হোতাম‘
এভাবে বলতে বলতে ড্রাইভারকে সহ্যের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেল।
ড্রাইভার শেষে থাকতে না পেরে ছেলেটিকে বললো
‘তোমার আব্বা যদি একটা মাতাল হতো আর তোমার আম্মা যদি পতিতা হতো তাহলে তুমি কি হুতে?’
ছেলেটি কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো
‘তাহলে আমি হোতাম বাস ড্রাইভার‘।
148:ডিম
১ম পাগলঃ জানিস, আজ আমি বাজার থেকে একটা আণ্ডাওয়ালা মোরগ নিয়ে এলাম।
২য় পাগলঃ ধুর বোকা, মোরগ কী ঘোড়া যে ডিম পাড়বে
149:
রোগীঃ ডাক্তার, আমার না ভুলে যাওয়ার ব্যামোয় ধরেছে।
ডাক্তারঃ কবে থেকে এই রোগের শিকার হয়েছেন?
রোগীঃ অ্যাই ডাক্তার, কোন রোগের কথা বলছিস? আমি দিব্যি সুস্থ। খালি পয়সা বের করার ধান্দা, না।
150:
দুই বন্ধু গেছি পদ্মাপারের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে। পূর্ণিমার রাত। দুজনে চলে গেলাম পদ্মাপাড়ে। পা ঝুলিয়ে বসলাম। বন্ধুর কাব্য রোগ আছে, সে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠল। না উঠেই বা উপায় কী? ওপরে ফিনিক ফোটা জ্যোৎস্মা···, নিচে জলের কল্লোল··· কবি বন্ধু বলে উঠল, ‘ইচ্ছে করে এই গহিন রহস্যময় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাই···’ বলামাত্রই ‘ঝুপ’ করে একটা শব্দ! দেখি আমার পাশে কেউ নেই! নদীর পাড় ভেঙে সে আক্ষরিক অর্থেই নিচে হারিয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
General Joke 131-140
131:প্রতিশ্রুতি
চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব
জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?
চেয়ারম্যান: …প্রথমে খাল করব তারপর ব্রিজ করব!
132:গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
133:স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
134:বাবার ‘পা’
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার ‘পা’ ছিল!
135:ধার
প্রশ্নঃ কাউকে এড়িয়ে চলার সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ টাকা ধার দেয়া।
136:ইচ্ছে
ভদ্রমহিলাঃ তোমার নাম কি।
খুকিঃ অনিতা।
ভদ্রমহিলাঃ কি সুন্দর দেখতে তুমি। তোমার মতো মেয়ের মা হতে আমার খুব ইচ্ছে।
খুকিঃ কিন্তু আমার বাবা যে মারা গিয়েছেন।
137:কান্না
- জমিদার হাতিটা মরে যাওয়ায় কাঁদবে তো মাহুত আর জমিদারের লোকজন তুমি কাঁদছ কেন?
- আমি কাঁদছি শোকে না ভাই। ওটাকে যে কবর দেয়ার ভার পরেছে আমার উপর।
138:ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
139:চার মাস পর
বাড়ীর কর্তা(নতুন কাজের লোক কে): ঠিক আছে তুমি আজ থেকে কাজে লেগে যাও। প্রতিদিন ২০ টাকা করে পাবে । চার মাস পর থেকে ৪০ টাকা করে পাবে।
কাজের লোক: আমি তাহলে চার মাস পরেই আসবো।
140:আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব
জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?
চেয়ারম্যান: …প্রথমে খাল করব তারপর ব্রিজ করব!
132:গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
133:স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
134:বাবার ‘পা’
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার ‘পা’ ছিল!
135:ধার
প্রশ্নঃ কাউকে এড়িয়ে চলার সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ টাকা ধার দেয়া।
136:ইচ্ছে
ভদ্রমহিলাঃ তোমার নাম কি।
খুকিঃ অনিতা।
ভদ্রমহিলাঃ কি সুন্দর দেখতে তুমি। তোমার মতো মেয়ের মা হতে আমার খুব ইচ্ছে।
খুকিঃ কিন্তু আমার বাবা যে মারা গিয়েছেন।
137:কান্না
- জমিদার হাতিটা মরে যাওয়ায় কাঁদবে তো মাহুত আর জমিদারের লোকজন তুমি কাঁদছ কেন?
- আমি কাঁদছি শোকে না ভাই। ওটাকে যে কবর দেয়ার ভার পরেছে আমার উপর।
138:ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
139:চার মাস পর
বাড়ীর কর্তা(নতুন কাজের লোক কে): ঠিক আছে তুমি আজ থেকে কাজে লেগে যাও। প্রতিদিন ২০ টাকা করে পাবে । চার মাস পর থেকে ৪০ টাকা করে পাবে।
কাজের লোক: আমি তাহলে চার মাস পরেই আসবো।
140:আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
General Joke 121-130
121:গান
মেয়ের বাবাঃ এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
ছেলের বাবাঃ হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়েছে।
122:স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
123:পরিবর্তন
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
124:যৌতুক
১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষ করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
125:দান
সাহায্য দাতাঃ দশ টাকা দিচ্ছি দোকান থেকে কিছু কিনে খেও। ঠিক আছে, কিন্তু তোমার এ দশার কারণ কি?
সাহায্য প্রার্থীঃ আমিও আপনার মত ছিলাম কিনা। যে চাইত তাকেই দিয়ে দিতাম।
126:ভিক্ষুক
ভিক্ষুকঃ স্যার, দয়া করে আমাকে একটা টাকা দেন।
পথচারীঃ নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে আট আনা পয়সা দিন।
পথচারীঃ বললাম তো নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে স্যার আমার সাথে নাইমা পড়েন
127:পাগল প্রেসিডেন্ট
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি……
যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!
পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি–চিনি, প্রথম – প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !
128:প্রশংসা
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই প্রশংসা করতে পারি
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
129:ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
130:বয়স
সাংবাদিকঃ সেকি! আপনার মা যে বললেন আপনার বয়স ত্রিশ।
নায়িকাঃ মা মিথ্যে বলেননি। তবে আমি গুনতে শিখেছিলাম ছয় বছর বয়সে।
মেয়ের বাবাঃ এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
ছেলের বাবাঃ হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়েছে।
122:স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
123:পরিবর্তন
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
124:যৌতুক
১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষ করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
125:দান
সাহায্য দাতাঃ দশ টাকা দিচ্ছি দোকান থেকে কিছু কিনে খেও। ঠিক আছে, কিন্তু তোমার এ দশার কারণ কি?
সাহায্য প্রার্থীঃ আমিও আপনার মত ছিলাম কিনা। যে চাইত তাকেই দিয়ে দিতাম।
126:ভিক্ষুক
ভিক্ষুকঃ স্যার, দয়া করে আমাকে একটা টাকা দেন।
পথচারীঃ নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে আট আনা পয়সা দিন।
পথচারীঃ বললাম তো নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে স্যার আমার সাথে নাইমা পড়েন
127:পাগল প্রেসিডেন্ট
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি……
যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!
পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি–চিনি, প্রথম – প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !
128:প্রশংসা
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই প্রশংসা করতে পারি
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
129:ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
130:বয়স
সাংবাদিকঃ সেকি! আপনার মা যে বললেন আপনার বয়স ত্রিশ।
নায়িকাঃ মা মিথ্যে বলেননি। তবে আমি গুনতে শিখেছিলাম ছয় বছর বয়সে।
General Joke 111-120
111:ক্ষতি
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
112:দৌড়
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ….
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস্ , তুই- ই দৌড়ে পালা !!
113:ইনকামট্যাক্স
তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
114:মশা ও জোনাকী
এক লোক মশার যন্ত্রনায় অস্থির, মশারী খাটিয়ে ও নিজেকে বাচাতে পারছেনা, কারন, যে কোনভাবে মশারীর ভিতর মশা ঢুকে যায়। তারপর, একদিন লোকটা একটা লেপ দিয়ে পুরো শরীরটা ঢেকে শুয়ে আছে যাতে করে আর তাকে মশা কামরাতে না পারে । লেপের ভিতর হঠাত্ করে একটা জোনাকি পোকাকে দেখে লোকটা চিত্কার করে বলে উঠলো— বাবারে! বাবা, মশা তো আমাকে টচ্ লাইট দিয়া খুজতাছে!!!!!!
115:দুধ থেকে দই
শিক্ষকঃ আচ্ছা দুধ থেকে দই তৈরির একটি সহজ উপায় বল।
ছাত্রঃ ভীষন সহজ স্যার। গাভীকে তেঁতুল খাওয়ালেই হবে।
116:চেহারা দর্শণ
হালিমঃ কিরে মালাই, আয়নার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
মালাইঃ ঘুমিয়ে থাকলে চেহারাটা কেমন দেখায় একটু দেখছি, এই যা!
কথা সত্যি।
117:ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
118:উপন্যাস
চাকর: স্যার, আপনি রাত জেগে কি করেন?
সাহিত্যিক: গল্প-উপন্যাস লিখি।
চাকর: এত কষ্ট করে রাতজেগে লেখার দরকার কি? কয়টা টাকা খরচ করলেইতো বাজার থেকে ওগুলো কিনতে পাওয়া যায়।
119:তিরিশ দিন
জজঃ কী ব্যাপার, বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
আসামিঃ আমি তো হুজুর বছরে এক-দুইবার আসিঃ আপনি তো মাশআল্লাহ মাসের তিরিশ দিনই।
120:তালা এক্সপার্ট
বিচারকঃ আপনার পেশা কী?
আসামিঃ জি, আমি তালা এক্সপার্ট।
বিচারকঃ তালা এক্সপার্ট! আপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেন?
আসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
112:দৌড়
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ….
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস্ , তুই- ই দৌড়ে পালা !!
113:ইনকামট্যাক্স
তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
114:মশা ও জোনাকী
এক লোক মশার যন্ত্রনায় অস্থির, মশারী খাটিয়ে ও নিজেকে বাচাতে পারছেনা, কারন, যে কোনভাবে মশারীর ভিতর মশা ঢুকে যায়। তারপর, একদিন লোকটা একটা লেপ দিয়ে পুরো শরীরটা ঢেকে শুয়ে আছে যাতে করে আর তাকে মশা কামরাতে না পারে । লেপের ভিতর হঠাত্ করে একটা জোনাকি পোকাকে দেখে লোকটা চিত্কার করে বলে উঠলো— বাবারে! বাবা, মশা তো আমাকে টচ্ লাইট দিয়া খুজতাছে!!!!!!
115:দুধ থেকে দই
শিক্ষকঃ আচ্ছা দুধ থেকে দই তৈরির একটি সহজ উপায় বল।
ছাত্রঃ ভীষন সহজ স্যার। গাভীকে তেঁতুল খাওয়ালেই হবে।
116:চেহারা দর্শণ
হালিমঃ কিরে মালাই, আয়নার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
মালাইঃ ঘুমিয়ে থাকলে চেহারাটা কেমন দেখায় একটু দেখছি, এই যা!
কথা সত্যি।
117:ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
118:উপন্যাস
চাকর: স্যার, আপনি রাত জেগে কি করেন?
সাহিত্যিক: গল্প-উপন্যাস লিখি।
চাকর: এত কষ্ট করে রাতজেগে লেখার দরকার কি? কয়টা টাকা খরচ করলেইতো বাজার থেকে ওগুলো কিনতে পাওয়া যায়।
119:তিরিশ দিন
জজঃ কী ব্যাপার, বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
আসামিঃ আমি তো হুজুর বছরে এক-দুইবার আসিঃ আপনি তো মাশআল্লাহ মাসের তিরিশ দিনই।
120:তালা এক্সপার্ট
বিচারকঃ আপনার পেশা কী?
আসামিঃ জি, আমি তালা এক্সপার্ট।
বিচারকঃ তালা এক্সপার্ট! আপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেন?
আসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!
শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১০
General Joke 101-110
101:পোড়া আলু
ছেলেঃ বাবা, পোড়া আলু খেতে তোমার কেমন লাগে?
বাবাঃ কেন, ভালই তো!
ছেলেঃ একটু আগে ম্যানেজার ফোন করেছিল তোমার আলুর গুদামে আগুন লেগে সব আলু পুড়ে গেছে!
102:স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না
ছেলে : আমি আর স্কুলে যাব না বাবা।
বাবা : কেনরে খোকা, লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
ছেলে : তা নয়, স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না। সবসময় আমাকেই পড়া জিজ্ঞেস করে।
103:ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি
পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবা : কী কাজ?
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।
বাবা : তাই নাকি! কী করে?
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।
104:শুধু একটা ভুল
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতে লিখতেই পারিনি।
105:অংকের ভুল
বাবা : কিরে, আমি যে তোর অংকের হোমওয়ার্কগুলো করে দিয়েছিলাম, সেটা স্যারকে দেখানোর পর তিনি কী বললেন?
ছেলে : স্যার বললেন, ‘তোর বাবার অংকের ভুলের জন্য তো আর তোকে শাস্তি দিতে পারি না!’
106;গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
107:ওজোন স্তর
প্রেমিকাঃ তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো ?
প্রেমিকঃ ওই বিশাল নিঃচ্ছিদ্র নিঃসীম আকাশের মতো।
প্রেমিকাঃ কিন্তু আকাশের ওজোন স্তরের ফুটোর ব্যাপারটা জানো তো?
108:ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন
বাড়ি থেকে পালাচ্ছে এক তরুণী। গেটের কাছে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক। উভয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রেমিক : তোমার বাবা টের পাননি তো?
প্রেমিকা : উনি বাসায় নেই।
প্রেমিক : বল কী? এত রাতে বাসার বাইরে?
প্রেমিকা : আমাদের জন্য ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন।
109:পরী
- মা পরীরা কি উড়তে পারে ?
- পারে।
- কাল সন্ধ্যায় বাবা খালামনিকে বলছিল- তুমি একটা পরী। খালামনি তা হলে ওড়ে না কেন?
- উড়বে, আজই, এখনি!
110:বিশ্বসুন্দরী
ছোট বোন : আচ্ছা আপু আমি কি খুব সুন্দরী?
বড় বোন : কেন?
ছোট বোন : সাজলে নাকি আমাকে খুব সুইট লাগে।
বড় বোন : এই মিথ্যা কথা তোকে কে বলেছে?
ছোট বোন : দুলাভাই তো বলল আমি নাকি তার চোখে বিশ্বসুন্দরী।
ছেলেঃ বাবা, পোড়া আলু খেতে তোমার কেমন লাগে?
বাবাঃ কেন, ভালই তো!
ছেলেঃ একটু আগে ম্যানেজার ফোন করেছিল তোমার আলুর গুদামে আগুন লেগে সব আলু পুড়ে গেছে!
102:স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না
ছেলে : আমি আর স্কুলে যাব না বাবা।
বাবা : কেনরে খোকা, লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
ছেলে : তা নয়, স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না। সবসময় আমাকেই পড়া জিজ্ঞেস করে।
103:ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি
পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবা : কী কাজ?
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।
বাবা : তাই নাকি! কী করে?
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।
104:শুধু একটা ভুল
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতে লিখতেই পারিনি।
105:অংকের ভুল
বাবা : কিরে, আমি যে তোর অংকের হোমওয়ার্কগুলো করে দিয়েছিলাম, সেটা স্যারকে দেখানোর পর তিনি কী বললেন?
ছেলে : স্যার বললেন, ‘তোর বাবার অংকের ভুলের জন্য তো আর তোকে শাস্তি দিতে পারি না!’
106;গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
107:ওজোন স্তর
প্রেমিকাঃ তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো ?
প্রেমিকঃ ওই বিশাল নিঃচ্ছিদ্র নিঃসীম আকাশের মতো।
প্রেমিকাঃ কিন্তু আকাশের ওজোন স্তরের ফুটোর ব্যাপারটা জানো তো?
108:ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন
বাড়ি থেকে পালাচ্ছে এক তরুণী। গেটের কাছে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক। উভয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রেমিক : তোমার বাবা টের পাননি তো?
প্রেমিকা : উনি বাসায় নেই।
প্রেমিক : বল কী? এত রাতে বাসার বাইরে?
প্রেমিকা : আমাদের জন্য ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন।
109:পরী
- মা পরীরা কি উড়তে পারে ?
- পারে।
- কাল সন্ধ্যায় বাবা খালামনিকে বলছিল- তুমি একটা পরী। খালামনি তা হলে ওড়ে না কেন?
- উড়বে, আজই, এখনি!
110:বিশ্বসুন্দরী
ছোট বোন : আচ্ছা আপু আমি কি খুব সুন্দরী?
বড় বোন : কেন?
ছোট বোন : সাজলে নাকি আমাকে খুব সুইট লাগে।
বড় বোন : এই মিথ্যা কথা তোকে কে বলেছে?
ছোট বোন : দুলাভাই তো বলল আমি নাকি তার চোখে বিশ্বসুন্দরী।
ALL
পোড়া আলু
ছেলেঃ বাবা, পোড়া আলু খেতে তোমার কেমন লাগে?
বাবাঃ কেন, ভালই তো!
ছেলেঃ একটু আগে ম্যানেজার ফোন করেছিল তোমার আলুর গুদামে আগুন লেগে সব আলু পুড়ে গেছে!
স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না
ছেলে : আমি আর স্কুলে যাব না বাবা।
বাবা : কেনরে খোকা, লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
ছেলে : তা নয়, স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না। সবসময় আমাকেই পড়া জিজ্ঞেস করে।
ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি
পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবা : কী কাজ?
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।
বাবা : তাই নাকি! কী করে?
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।
শুধু একটা ভুল
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতে লিখতেই পারিনি।
অংকের ভুল
বাবা : কিরে, আমি যে তোর অংকের হোমওয়ার্কগুলো করে দিয়েছিলাম, সেটা স্যারকে দেখানোর পর তিনি কী বললেন?
ছেলে : স্যার বললেন, ‘তোর বাবার অংকের ভুলের জন্য তো আর তোকে শাস্তি দিতে পারি না!’
গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
ওজোন স্তর
প্রেমিকাঃ তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো ?
প্রেমিকঃ ওই বিশাল নিঃচ্ছিদ্র নিঃসীম আকাশের মতো।
প্রেমিকাঃ কিন্তু আকাশের ওজোন স্তরের ফুটোর ব্যাপারটা জানো তো?
ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন
বাড়ি থেকে পালাচ্ছে এক তরুণী। গেটের কাছে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক। উভয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রেমিক : তোমার বাবা টের পাননি তো?
প্রেমিকা : উনি বাসায় নেই।
প্রেমিক : বল কী? এত রাতে বাসার বাইরে?
প্রেমিকা : আমাদের জন্য ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন।
পরী
- মা পরীরা কি উড়তে পারে ?
- পারে।
- কাল সন্ধ্যায় বাবা খালামনিকে বলছিল- তুমি একটা পরী। খালামনি তা হলে ওড়ে না কেন?
- উড়বে, আজই, এখনি!
বিশ্বসুন্দরী
ছোট বোন : আচ্ছা আপু আমি কি খুব সুন্দরী?
বড় বোন : কেন?
ছোট বোন : সাজলে নাকি আমাকে খুব সুইট লাগে।
বড় বোন : এই মিথ্যা কথা তোকে কে বলেছে?
ছোট বোন : দুলাভাই তো বলল আমি নাকি তার চোখে বিশ্বসুন্দরী।
ক্ষতি
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
দৌড়
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ….
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস্ , তুই- ই দৌড়ে পালা !!
ইনকামট্যাক্স
তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
মশা ও জোনাকী
এক লোক মশার যন্ত্রনায় অস্থির, মশারী খাটিয়ে ও নিজেকে বাচাতে পারছেনা, কারন, যে কোনভাবে মশারীর ভিতর মশা ঢুকে যায়। তারপর, একদিন লোকটা একটা লেপ দিয়ে পুরো শরীরটা ঢেকে শুয়ে আছে যাতে করে আর তাকে মশা কামরাতে না পারে । লেপের ভিতর হঠাত্ করে একটা জোনাকি পোকাকে দেখে লোকটা চিত্কার করে বলে উঠলো— বাবারে! বাবা, মশা তো আমাকে টচ্ লাইট দিয়া খুজতাছে!!!!!!
দুধ থেকে দই
শিক্ষকঃ আচ্ছা দুধ থেকে দই তৈরির একটি সহজ উপায় বল।
ছাত্রঃ ভীষন সহজ স্যার। গাভীকে তেঁতুল খাওয়ালেই হবে।
চেহারা দর্শণ
হালিমঃ কিরে মালাই, আয়নার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
মালাইঃ ঘুমিয়ে থাকলে চেহারাটা কেমন দেখায় একটু দেখছি, এই যা!
কথা সত্যি।
ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
উপন্যাস
চাকর: স্যার, আপনি রাত জেগে কি করেন?
সাহিত্যিক: গল্প-উপন্যাস লিখি।
চাকর: এত কষ্ট করে রাতজেগে লেখার দরকার কি? কয়টা টাকা খরচ করলেইতো বাজার থেকে ওগুলো কিনতে পাওয়া যায়।
তিরিশ দিন
জজঃ কী ব্যাপার, বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
আসামিঃ আমি তো হুজুর বছরে এক-দুইবার আসিঃ আপনি তো মাশআল্লাহ মাসের তিরিশ দিনই।
তালা এক্সপার্ট
বিচারকঃ আপনার পেশা কী?
আসামিঃ জি, আমি তালা এক্সপার্ট।
বিচারকঃ তালা এক্সপার্ট! আপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেন?
আসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!
গান
মেয়ের বাবাঃ এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
ছেলের বাবাঃ হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়েছে।
স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
পরিবর্তন
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
যৌতুক
১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষ করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
দান
সাহায্য দাতাঃ দশ টাকা দিচ্ছি দোকান থেকে কিছু কিনে খেও। ঠিক আছে, কিন্তু তোমার এ দশার কারণ কি?
সাহায্য প্রার্থীঃ আমিও আপনার মত ছিলাম কিনা। যে চাইত তাকেই দিয়ে দিতাম।
ভিক্ষুক
ভিক্ষুকঃ স্যার, দয়া করে আমাকে একটা টাকা দেন।
পথচারীঃ নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে আট আনা পয়সা দিন।
পথচারীঃ বললাম তো নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে স্যার আমার সাথে নাইমা পড়েন
পাগল প্রেসিডেন্ট
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি……
যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!
পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি–চিনি, প্রথম – প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !
প্রশংসা
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই প্রশংসা করতে পারি
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
বয়স
সাংবাদিকঃ সেকি! আপনার মা যে বললেন আপনার বয়স ত্রিশ।
নায়িকাঃ মা মিথ্যে বলেননি। তবে আমি গুনতে শিখেছিলাম ছয় বছর বয়সে।
প্রতিশ্রুতি
চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব
জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?
চেয়ারম্যান: …প্রথমে খাল করব তারপর ব্রিজ করব!
গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
বাবার ‘পা’
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার ‘পা’ ছিল!
ধার
প্রশ্নঃ কাউকে এড়িয়ে চলার সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ টাকা ধার দেয়া।
ইচ্ছে
ভদ্রমহিলাঃ তোমার নাম কি।
খুকিঃ অনিতা।
ভদ্রমহিলাঃ কি সুন্দর দেখতে তুমি। তোমার মতো মেয়ের মা হতে আমার খুব ইচ্ছে।
খুকিঃ কিন্তু আমার বাবা যে মারা গিয়েছেন।
কান্না
- জমিদার হাতিটা মরে যাওয়ায় কাঁদবে তো মাহুত আর জমিদারের লোকজন তুমি কাঁদছ কেন?
- আমি কাঁদছি শোকে না ভাই। ওটাকে যে কবর দেয়ার ভার পরেছে আমার উপর।
ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
চার মাস পর
বাড়ীর কর্তা(নতুন কাজের লোক কে): ঠিক আছে তুমি আজ থেকে কাজে লেগে যাও। প্রতিদিন ২০ টাকা করে পাবে । চার মাস পর থেকে ৪০ টাকা করে পাবে।
কাজের লোক: আমি তাহলে চার মাস পরেই আসবো।
আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
নেপোলিয়ান
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান সম্রাট হয়েছিলেন!
গরম চা
১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চাপাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!
ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
কুমীর
টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স
ট্রাফিকঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি।
চালকঃ কিন্তু স্যার, আমিতো খুব সাবধানে চালাচ্ছি,বেআইনি কোন কিছু করিনি।
ট্রফিকঃ সেজন্যইতো সন্দেহ হচ্ছে।
শত্রু নাই
প্রথম ভদ্রলোকঃ আমার বয়স পঁচাশি বছর হলো, পৃথিবীতে আমার কোন শত্রু নাই।
দ্বিতীয় ভদ্রলোকঃ আবাক কান্ড,এতো বছরেও পৃথিবীতে আপনার কোন শত্রু হয়নি!
প্রথম ভদ্রলোকঃ যারা হয়েছিল,তারা অনেক আগে মারা গেছে।
একটা বাচাল বাচ্চা বাসে উঠে ড্রাইভারের পাশে বসলো। বসেই এত্তো কথা বলা শুরু করলো যে ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে গেল। বাচ্চার কথা গুলো এরকমের ‘
আমার আব্বা যদি মোরগ হোতো আর আমার আম্মা যদি মুরগী হোতো আমি একটা বাচ্চা ………….. মুরগী হোতাম‘
একটু পর ছেলেটি আবার বলতেছে
‘আমার আব্বা যদি একটা ছেলে হাতি হোতো আর আমার আম্মা যদি মেয়ে হাতি হোতো আমি একটা বাচ্চা হাতি হোতাম‘
আবার একটু পর
‘আমার আব্বা যদি একটা ষাঁড় হোতো আর আমার আম্মা যদি গরু হোতো আমি একটা বাচ্চা গরু হোতাম‘
এভাবে বলতে বলতে ড্রাইভারকে সহ্যের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেল।
ড্রাইভার শেষে থাকতে না পেরে ছেলেটিকে বললো
‘তোমার আব্বা যদি একটা মাতাল হতো আর তোমার আম্মা যদি পতিতা হতো তাহলে তুমি কি হুতে?’
ছেলেটি কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো
‘তাহলে আমি হোতাম বাস ড্রাইভার‘।
ডিম
১ম পাগলঃ জানিস, আজ আমি বাজার থেকে একটা আণ্ডাওয়ালা মোরগ নিয়ে এলাম।
২য় পাগলঃ ধুর বোকা, মোরগ কী ঘোড়া যে ডিম পাড়বে
কৌতুক সংগ্রহ-০৭
রোগীঃ ডাক্তার, আমার না ভুলে যাওয়ার ব্যামোয় ধরেছে।
ডাক্তারঃ কবে থেকে এই রোগের শিকার হয়েছেন?
রোগীঃ অ্যাই ডাক্তার, কোন রোগের কথা বলছিস? আমি দিব্যি সুস্থ। খালি পয়সা বের করার ধান্দা, না।
দুই বন্ধু গেছি পদ্মাপারের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে। পূর্ণিমার রাত। দুজনে চলে গেলাম পদ্মাপাড়ে। পা ঝুলিয়ে বসলাম। বন্ধুর কাব্য রোগ আছে, সে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠল। না উঠেই বা উপায় কী? ওপরে ফিনিক ফোটা জ্যোৎস্মা···, নিচে জলের কল্লোল··· কবি বন্ধু বলে উঠল, ‘ইচ্ছে করে এই গহিন রহস্যময় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাই···’ বলামাত্রই ‘ঝুপ’ করে একটা শব্দ! দেখি আমার পাশে কেউ নেই! নদীর পাড় ভেঙে সে আক্ষরিক অর্থেই নিচে হারিয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
আমি বড়লোকের এক ত্যাঁদড় ছেলেকে পড়াই। মহা ফাজিল ছাত্র! একদিন তাকে ট্রান্সলেশন পড়াচ্ছি। সে উল্টো আমাকে ট্রান্সলেশন ধরে বসল, ‘স্যার, বলেন তো, আমি হই কিন্তু দুই, এর ইংরেজি কী হবে?’
ঃ এটা আবার কী হলো?
ঃ বলেন না, স্যার।
ঃ আই অ্যাম বাট টু···
আমার ফাজিল ছাত্র দেখি হি হি হাসিতে ভেঙে পড়ছে। তখনই আমার খেয়াল হলো, আরে, সে তো আমাকে বোকা বানানোর জন্য কাজটা করেছে! বলাই বাহুল্য, আমি একটু খাটোই!
এক বুড়ো গাছ থেকে পড়ে হাত ভেঙে ডাক্তারের কাছে গেলেন-
ডাক্তারঃ গাছ থেকে পড়লেন কীভাবে?
রোগীঃ তোরা কে আছিস, আমাকে ধরে গাছে তুলে দে। আমি স্যারকে বুঝিয়ে দিই কী করে পড়লাম।
বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী করে বলব?
প্রথম বন্ধুঃ আমি কখনো পুলিশের মার খাইনি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আমি প্রায় রোজই খাই।
প্রথম বন্ধুঃ বলিস কিরে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন, জানিস না, আমার আব্বু একজন পুলিশ অফিসার?
বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
একজন ক্রেতাঃ সর্দারজি, লসসিতে মাছি!
সর্দারজিঃ এত ছোট মন তোমার? একটা মাছির জন্য চেঁচাচ্ছ? ওই একটা ছোট্ট মাছি তোমার কতটা লসসিই বা খাবে।
বাবলু একদিন টিভি কিনতে দোকানে গেল। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল, এখানে কালার টিভি পাওয়া যায়?
দোকানদারঃ হ্যাঁ, আপনি নেবেন?
সর্দারজিঃ নেব বলেই তো এসেছি। আমাকে একটা সবুজ রঙের টিভি দাও তো?
দীপ্রঃ জানিস মিশু, আমার বাবা না ভীষণ ভীতু।
মিশুঃ তুই কী করে বুঝলি?
দীপ্রঃ যখনই রাস্তা পার হয়, তখনই আমার হাত শক্ত করে ধরে, আর বলে, হাত ছেড়ো না।
একদিন তুমুল ঝগড়ার পর গিন্নি তাঁর কর্তাকে বললেন, আমি মনে হয় পাগল ছিলাম যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।
কর্তা বললেনঃ আর আমিও তোমার প্রেমে তখন এত হাবুডুবু খেয়েছিলাম যে খেয়াল করিনি তুমি পাগল।
ঃ শুনেছিস, সেই
লেখক ভদ্রলোক গাড়িচাপা পড়ে মারা গেছেন।
ঃ কোন লেখক?
ঃ ওই যে, যিনি ‘পায়ে হেঁটে নিরাপদে রাস্তায় চলার নিয়মাবলি’ বইটা লিখেছিলেন।
একটা লোককে কয়েকজন ধরে আচ্ছামতো মারছে। কিন্তু এত মার খেয়েও লোকটা হি হি করে হাসছে। মার শেষে লোকগুলো চলে গেলে এক পথচারী লোকটার হাসির কারণ জানতে এগিয়ে গেল, ‘এত মার খেয়ে আপনি হাসছেন কেন?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘হাসব না, লোকগুলো তো সব গাধা। ওরা ফজলু শেখ ভেবে আমাকে মারল। ফজলু শেখ তো আমার শত্রু, আমার নাম তো বজলু শেখ!’
ফাঁসির আসামিকে আগের দিন জেলখানার একজন কর্মচারী কথায় কথায় বললেন, ‘কাল তোমাকে ফাঁসি দিতে সরকারের ৫০০ টাকা খরচ হবে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আসামি অবাক হয়ে বললেন, ‘এত টাকা কেন?’ কারা-কর্মচারী হিসাব দিলেন, জল্লাদ আর তার সহকারীরা পাবে ৩০০ টাকা, ফাঁসির পোশাক বাবদ ১০০ টাকা, দড়ি-ফাঁসির অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১০০ টাকা।
খরচের বর্ণনা শুনে আসামি ব্যবসায়ীটি খানিকক্ষণ কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘এত খরচের দরকার কী? কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ১০০ টাকা দিক, আর দুই টাকা দিয়ে একটা দড়ি কিনে দিক। আমি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে মরি। আমারও কিছু লাভ হবে, সরকারেরও সাশ্রয় হবে।’
একদা সচ্ছল, এখন সর্বস্বান্ত এক মহাজনকে সন্ধ্যার অন্ধকারে দুজন ছিনতাইকারী পাকড়াও করল। মিনিট পনেরোর মতো মহাজন প্রাণপণে লড়ে গেলেন ছিনতাইকারী দুজনের সঙ্গে। অবশেষে কাবু হলেন। অনেক খুঁজে ছিনতাইকারী তাঁর শার্টের পকেট থেকে একটা আধুলি পেল মাত্র।
এক ছিনতাইকারী তখন অন্য ছিনতাইকারীকে বলল, ‘সর্বনাশ! এর কাছে যদি পুরো একটা টাকাও থাকত, তাহলে আমাদের আর প্রাণে বাঁচতে হতো না!’
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দুই সৈনিক দুটি বোমা নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। একটি বোমা ছিল একজনের কোলে। সে চালক সৈনিককে বলল, ‘আস্তে চালাও, যেকোনো মুহূর্তে বিস্কোরণ ঘটতে পারে।’
চালক সৈনিক আশ্বস্ত করল, ‘চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা তো আছেই।’
এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।
বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
ঃ আ-আপনি?
ঃ বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।
একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’
ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’
চীনারা বাচ্চাদের নামকরণ কীভাবে করে জানেন? বাচ্চা হলে নাকি তারা ঘরের হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র সব আকাশে ছুড়ে দেয়। তারপর ওগুলো একটা একটা করে পড়তে থাকে। কোনোটা ‘ট্যাং’ শব্দে পড়ে, কোনোটা ‘চ্যাং’ আর কোনোটা ‘প্যাং’ শব্দে···। ওই শব্দ থেকে তারা একটা নাম পছন্দ কের নেয়।
মাঃ ডিনার খেতে অনেক গেস্ট আসবে এখন। যাও, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তৈরি হয়ে এসো।
ছেলেঃ গেস্টরা কি আমাকেই খাবে!
এক ইংরেজ ভদ্রলোক বাংলাদেশের কাঁঠালবাজারে কাঁঠাল দেখছেন-
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আহেন স্যার, ভালা কাঁডাল আছে।
ভদ্রলোকঃ আই সি।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আইছেন যহন, বহেন (পিঁড়ি এগিয়ে দেয়)।
ভদ্রলোকঃ ওকে, ওকে।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ ও আমার ভাতিজা, স্যার। নেন, স্যার, কাঁডাল মিষ্টি বেশি।
ভদ্রলোকঃ মিটসুবিশি? ইজ ইট এ কার?
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ বিশ্বাস করেন, স্যার, এগুলো আমার!
কাস্টমারঃ আমাকে একটা পান দেন তো।
দোকানদারঃ আপনি কি খয়ার খান?
কাস্টমারঃ নাহ্! আমার নাম ইমরান খান।
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমি না একটা চীনা রেডিও কিনেছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তুই কী বোকা, তুই তো চীনা ভাষাই জানিস না।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধুঃ আচ্ছা, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে বাচাল কে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কে?
প্রথম বন্ধুঃ ঘড়ি! সব সময় টক টক···।
ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।
স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আরম্ভ হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে।
শিক্ষকঃ তুমি কাঁদছ কেন?
ছাত্রীঃ আমার রচনা কমন পড়েনি।
শিক্ষকঃ কেন? কী এসেছে?
ছাত্রীঃ এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখব কীভাবে।
ঃ সবাই বলে আমার বুদ্ধি নাকি নামতে নামতে অনেক নিচে নেমে এসেছে। এখন কী করি ?
ঃ কী আর করবি, মাথা ব্যথা হলে জুতার ভেতরে আøাসপিরিন ট্যাবলেট ভরে রাখিস।
একজন ছাত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখল, সে কোনো উত্তর পারে না। তখন ছাত্রটি খাতায় লিখল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, নম্বর দেওয়া স্যারের কাম।’
পরীক্ষার কাগজ পেয়ে শিক্ষকও খাতায় লিখে দিলেন, ‘হরে হরে হরে, নম্বর কি গাছে ধরে?’
প্রথম দিন
একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, দ্বিতীয় দিন ওই ছেলেটিই অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও ওই ছেলেটির সঙ্গে অন্য দুটি নতুন মেয়েকে দেখা গেল।
নীতিবাক্যঃ মেয়েরা পালটে যায়। ছেলেরা পাল্টায় না।
আসাদঃ
আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?
শিক্ষক
ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষকঃ ‘বৃষ্টি পড়ছে’-এর Translation করো।
ছাত্রঃ Rain is reading.
একদিন
এক স্ত্রী তার স্বামীর জন্য খুব যত্ন নিয়ে চটপটি তৈরি করল। স্বামী এক চামচ মুখে দিয়েই ওয়াক করে ফেলে দিল আর বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? খেতে গরুর গোবরের মতো!’ স্ত্রী আঁচল দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে বলল, ‘ও মা! কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে!’
ভদ্রমহিলাঃ
আজ একটা জরুরি কাজ আছে। সব রান্না একটার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
বুয়াঃ বাড়িতে কোনো বড় পাতিল নেই তো! তাহলে রান্না একটার মধ্যে শেষ করব কীভাবে?
তাসদিক হোসেন, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম
তাঁর সামনে কখনো আমি মুখ খোলার সুযোগ পাই না, একমাত্র হাই তোলা ছাড়া।
বাবুলঃ আসলাম, তোর বাড়িতে দেখলাম তোর বউ তোর এক বন্ধুর হাত ধরে বসে আছে!
আসলাম রেগেমেগে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সে ফিরে এসে বাবুলকে জোরে এক থাপড় মেরে বলল, ‘ওটা আমার বন্ধু নয়, কেন আমাকে শুধু শুধু বাড়ি পাঠালি?’ দীপান্বিতা, সূত্রাপুর, ঢাকা
শাশুড়িঃ
ঈশ্বর দুটো চোখ দিয়েছে কী করতে? চাল থেকে দুটো কাঁকর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে এক জিনিস- দাঁতে কাঁকর।
বউমাঃ ঈশ্বর বত্রিশটা দাঁত দিয়েছে কী করতে? দুটো কাঁকর চিবোতে পারেন না?
বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’
শিক্ষকঃ বলতে পার, ধূমপান কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ছাত্রঃ স্যার, ধূমপান ক্ষতিকারকে পকেটশূন্য বিভক্তি।
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?
পম্পিঃ
বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলুঃ কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
পম্পিঃ তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলুঃ তখন এসি অন করি।
টিটুঃ জানিস, আমি একদিন রাস্তায় খেলা করছিলাম, তখন একটা গাড়ি এসে আমাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
তিন্নিঃ এ বাবা! তারপর কী হলো? তুই কি বেঁচে গিয়েছিলি?
টিটুঃ ঠিক মনে নেই রে। তখন আমার মাত্র তিন বছর বয়স ছিল।
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’
শাহেদঃ কিরে! ছুরিটা গরম জলে ফোটাচ্ছিস কেন?
পলাশঃ আমি আত্মহত্যা করব ওই ছুরি দিয়ে।
শাহেদঃ তার জন্য ওটাকে গরম করার কী দরকার?
পলাশঃ উফ! যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ওটাকে ফুটিয়ে নিচ্ছি।
ভিখারি
বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
অফিসে
বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
ঃ ডাক্তার সাহেব, চশমা নেওয়ার পর কি আমি এ বি সি ডি পড়তে পারব?ঃ অবশ্যই পারবেন।
ঃ এবার দেখব, কোন শালায় কয় আমি ইংরেজি পারি না।
এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।
নসু মামা নতুন লেমিনেশনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাই যা-ই পান, তাই লেমিনেশন করে ফেলেন। যেমন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সার্টিফিকেট, বাসার ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল-কোনো কিছু বাদ নেই লেমিনেশনের। আমরা তাঁকে নিয়ে আড়ালে হাসাহাসিও করতাম। যা-ই হোক, সেই নসু মামা প্রেমে পড়লেন এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বাসায় এনে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। এর কয় দিন পর আমি দুই বছরের জন্য বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসে শুনি, মামা ছ্যাঁক খেয়েছেন; লেমিনেশনের ব্যবসাও আর নেই। এর মধ্যে একদিন এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে গেছি। গিয়ে দেখি নতুন বউ আর কেউ নয়, সেই নসু মামার প্রেমিকা! এর কয় দিন পর একদিন বন্ধুর বাসায় গিয়ে নতুন ভাবিকে (মানে ভূতপূর্ব নসু মামি) সুযোগমতো পেয়ে জানতে চাইলাম, আমাদের নসু মামাকে কেন তিনি ত্যাগ করেছিলেন? উত্তরে তিনি একটু অপ্রস্তুত হলেন। তারপর সামলে নিয়ে বলেন, ‘দেখো, সে আমাকে প্রেমপত্র দিত লেমিনেশন করে···’ বাকিটা আমি আর শুনতে চাইনি। কোনোমতে হাসি চেপে বাসায় ফিরেছি।
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
এক ভদ্রলোকঃ আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাই।
আইনজীবীঃ কারণ কী?
ভদ্রলোকঃ আমার বউ আমার সঙ্গে গত ছয় মাস কোনো কথা বলেনি।
আইনজীবীঃ ব্যাপারটা ভালো করে ভেবে দেখুন। এ রকম নীরব স্ত্রী কিন্তু খুব একটা সহজে পাওয়া যায় না।
এক এলাকায় আগুন লেগেছে। বিশাল আগুন! সঙ্গে সঙ্গে গুলির বেগে ছুটে এল দমকল বাহিনী। এবং দ্রুত এসে ধুপধাপ তারা আগুন নিভিয়ে ফেলল। তাদের এই কাজ দেখে খুশি হয়ে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দিল। তারপর তারা জানতে চাইল, এই যে পাঁচ হাজার টাকা পেল; এ দিয়ে তারা কী করবে। উত্তরে দমকল বাহিনীর লোকেরা জানাল, তাদের কোনো গাড়িতেই ব্রেক নেই! ব্রেক লাগাবে!
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন? বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
আমার বন্ধু সদ্য ডাক্তারি পাস করেছে। সে বেচারা প্রেমে পড়ে হঠাৎ একদিন বিয়ে করে বসল। বাসাতেও জানাজানি হলো; কেউ খুব একটা আপত্তি করল না। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে বউ নিয়ে কোথায় উঠবে? একান্নবর্তী পরিবার, সে নিজেই থাকে ড্রইংরুমের সোফায়! গার্জেনরা বলল, ‘আলাদা বাসা নে।’ সেই সংগতি তার এই মুহূর্তে নেই! কী করা, অন্তত বাসর রাতটা তো করা চাই! শেষ পর্যন্ত সে নিজেই একটা বুদ্ধি বের করল! সে জন্ডিসের রোগী হিসেবে সাত দিনের জন্য এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেল! ওই হাসপাতালের ডাক্তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করল। সব ঠিক, বউ এসে থাকবে; জন্ডিস রোগীর সেবা তো দরকার!
তা অবশেষে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট কেবিনে বউও এসে হাজির। বেশ রোমান্টিক অবস্থা! হঠাৎ রাত ১০টায় তার মা আর দুই বোন এসে হাজির! তিনি কীভাবে কীভাবে খবর পেয়েছেন, তাঁর ছেলে সিরিয়াস জন্ডিস বাধিয়ে হসপিটালাইজড। এসেই হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন, ‘তোর এত খারাপ অবস্থা, আমাদের জানালি না···বউমা, তুমিও তো জানাতে পারতে। বিয়ে করেই ভুলে গেলি··· বউমা, তুমি বাড়ি যাও, নতুন বউয়ের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই, আমরা আছি···’ সে রাত মা আর বোনদের সেবা নিয়েই আমার ডাক্তার বন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে পরদিনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। জন্ডিস রোগের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এত দ্রুত কাউকে পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
ঃ তা ভাবার কি আছে ? সবাইকে তো মরতে হবে।
ঃ না, ভাবছি, শেষে যে মরবে তাকে নিয়ে যাবে কে ?
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন
-, আমার নাম মফিজ। -, আমি একটা
পাগল। -, আমার মতো পাগলের কোনো ওষুধ নেই। -, আমিই বলদ। -, আমাকে দেখে সবাই মজা পায় এবং হাসে। কিন্তু -, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
স্বামী ও স্ত্রী বসে আছে। এমন সময় ছেলে এসে বলল, বাবা তুমি আম্মুকে বিয়ে করেছ কেন? স্বামী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললঃ দেখেছ, আমাদের ছেলেও এটাতে বি্নিত!
আমাদের স্কুলের আজিজ স্যার এত কড়া যে তুই যদি পরীক্ষায় ফুলস্টপ উল্টো করে লিখিস, তবুও তোকে ফেল করিয়ে দেবে।
রতন তার বন্ধুকে ডেকে বললেন, ওরে, তোর মেয়ে সুইটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এইমাত্র খবর এসেছে।
বন্ধুটি এক কথা শুনেই দুঃখের চোটে দশতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিল। যখন সে আটতলার কাছে এল, তখন তার মনে হলো, তার তো কোনো মেয়েই নেই! যখন ছয়তলায় এল তখন মনে পড়ল, তার তো বিয়েই হয়নি। আর যখন সে একতলার কাছাকাছি এল, তখন তার মাথায় এল, আরে, আমার নাম তো জসবিন্দর সিংহ!
একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’
শিক্ষক ছাত্রের খাতা দেখে মন্তব্য লিখেছেন, ‘হাতের লেখা ভালো করতে হবে।’
ছাত্রঃ স্যার, আপনি কী লিখেছেন পড়তে পারছি না।
মেয়েঃ মা, তুমি কি বিয়ের আগে ‘ড্রিল মাস্টার’ ছিলে?
মাঃ না তো, কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
মেয়েঃ দাদু, ফুপি সবাই বলে যে বাবা তোমার কথায় উঠ-বস করে।
ঃ বোকার মতো অভিনয় করবে না।
ঃ আমি অভিনয় করছি না।
গ্রামের শিক্ষিত এক ছেলেকে অশিক্ষিত লোক জিজ্ঞাসা করছে-
এই ছেলে, তুমি কত দূর পড়ালেখা করেছ? শিক্ষিত লোকঃ বিএ পাস করেছি।
অশিক্ষিত লোকঃ দুই অক্ষর পড়েছে, তা-ও আবার উল্টো।
স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?
বাবাঃ তোমাকে এবার পরীক্ষায় ৯৬ ভাগ নম্বর পেতেই হবে।
ছেলেঃ না বাবা, আমি ১০০ ভাগ নম্বরই পাব।
বাবাঃ আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারছ তুমি?
ছেলেঃ কে প্রথম শুরু করেছে বাবা?
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা। অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
ঃ ভুল করে সবচেয়ে বেশি কী খোলা হয়, জানো?
ঃ মুখ।
রহিমঃ
তুই নাকি টাকা ধার নিয়েছিস জহিরের কাছ থেকে।
করিমঃ হ্যাঁ, প্রয়োজন হয়েছিল তাই।
রহিমঃ তা এখন টাকা ফেরত দিচ্ছিস না কেন?
করিমঃ প্রয়োজন বোধ করছি না বলে।
ঘটনাটা
আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
ডেন্টিস্ট
দাঁত দেখে বললেন-
‘আপনার দাঁতের যে অবস্থা, তাতে মোট খরচ পড়বে পাঁচ হাজার পাউন্ড।’
‘কী বলছেন? এ টাকায় তো একটা পুরোনো জাহাজ কিনে ফেলা যাবে!’
‘হ্যাঁ, আমার বেশ কয়েকটি জাহাজ আছে।’
আমার
পাঁচ বছরের ভাগ্নি তিথি ক্রমেই যেন ইঁচড়ে পাকা হয়ে উঠছে। আর হবে না-ই বা কেন? তার সখ্য বাড়ির কিশোরী বুয়ার সঙ্গে। আর কিশোরী বুয়ার কাজ হচ্ছে ফাঁক পেলেই টিভি চ্যানেলে প্রেমের যাবতীয় ‘হাম তোম’ মার্কা ছবি দেখা। যা-ই হোক, একদিন তাকে স্কুল থেকে আনতে গেলাম। তার টিচার আমাকে ডেকে বললেন, ‘সে সব দিক থেকেই চৌকস। শুধু একটা সমস্যা, সে অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সংগীত গাইতে চায় না, বাসায় নিয়ে বলে দেখবেন তো সমস্যাটা কোথায়।’ বাসায় এসে আমি তাকে চেপে ধরলাম। ‘কি, সমস্যা কী? তুমি স্কুলে জাতীয় সংগীত গাও না কেন?’ সে কিছু বলে না, মুখ গোঁজ করে থাকে। অনেক চাপাচাপি করে জানা গেল, যেহেতু জাতীয় সংগীতে ‘আমি তোমায় ভালেবাসি···’ কথাটা আছে, তাই তার বলতে লজ্জা লাগে!
প্রেমিকঃ
কী ব্যাপার? অত দূরে দাঁড়িয়ে গল্প করছ কেন?
প্রেমিকাঃ মা আমাকে ছেলেদের থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
হাবলুঃ
তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।
বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!
ট্রেনে
করে যাচ্ছিলাম মোহনগঞ্জ। যা-তা অবস্থা ট্রেনের। রাতের জার্নি। অন্ধকারে বসে আছি। হঠাৎ হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। কী ব্যাপার? ব্যাপার দেখি, জানালা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে লেগে গেছে! একজন জানালা খোলা রাখতে চাইছে, একজন বন্ধ রাখতে চাইছে; একজন হুট করে লাগাচ্ছে, আরেকজন হুট করে খুলে ফেলছে। মহা গ্যাঞ্জাম! গোলমাল দেখে টিটি এলেন। নির্বিকার মুখে টর্চ জ্বালিয়ে জানালায় ধরলেন। সবাই হতবাক হয়ে দেখল, যে জানালা নিয়ে এত কাণ্ড, সেটাতে কোনো কাচই নেই!
এক
বিখ্যাত বক্তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, মৃত্যুর আগে তাঁর কিছু বলার আছে কি না। তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আমি এখানে মরতে এসেছি, ভাষণ দিতে নয়!’
ফায়ারিং
স্কোয়াডে নেওয়া হলো এক কুখ্যাত খুনিকে। গুলি করে মারার আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো তার শেষ ইচ্ছা কিছু আছে কি না। সে বলল-আছে।
‘কী সেটা?’
‘আমাকে একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হোক।’
বিন্তির
পোষা কাকাতুয়া রাত-দিন বলে, ‘আমার জীবনে সঙ্গী চাই। একটু স্পাইস চাই!’ কাকাতুয়ার এমন দাবির মুখে জেরবার হয়ে বিন্তি তার কাকাতুয়াকে একদিন এক কাউন্সেলরের কাছে নিয়ে বলল, এই কাকাতুয়াটা হরদম নিজের পুরুষ সঙ্গী খোঁজে। একে একটু ভদ্র-সভ্য করা যায় না? বিন্তির কথায় কাউন্সেলর বললেন, ‘চিন্তা করবেন না, আমার পোষা কাকাতুয়াটা খুব ধার্মিক। সারাক্ষণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখে, শ্লোক আওড়ায়। ওর সঙ্গে থাকলে আপনার কাকাতুয়া শুধরে যাবে।’ কাউন্সেলর ভদ্রলোক নিজের পোষা কাকাতুয়া নিয়ে এলেন এবং দ্বিতীয় কাকাতুয়াটি দেখেই বিন্তির পোষ্য যথারীতি বলে উঠল, ‘আমার জীবনে একটু স্পাইস চাই!’
এ কথা শোনামাত্র দ্বিতীয় কাকাতুয়া ওপরের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ঈশ্বর, তুমি আছ। এদ্দিনে আমার আকুতি শুনলে।’
মেয়েরা পরশ্রীকাতর, আর ছেলেরা পরস্ত্রীকাতর।
প্রথম পুলিশঃ স্টেডিয়ামে দর্শকেরা যেন দাঙ্গা না বাধায় তা দেখার জন্য কনস্টেবল মালেক সাদা পোশাকে ছিল।
দ্বিতীয় পুলিশঃ তারপর?
প্রথম পুলিশঃ দাঙ্গা পুলিশের মার খেয়ে এখন সে হাসপাতালে।
এক মহিলা স্বামীকে নিয়ে সাইকিয়াটিস্টের কাছে গিয়েছে।
মহিলাঃ আমার স্বামী রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে খাবারের সঙ্গে কাগজের ন্যাপকিনগুলোও খেয়ে ফেলে।
সাইকিয়াটিস্টঃ সেকি! কাগজের ন্যাপকিনের চাইতে কাপড়েরটাই তো টেস্ট বেশি।
ঃ স্যার, পিসিতে ২০ বছর আগের প্রচুর ডাটা আছে, ওগুলো ডিলিট করে দিই?
ঃ অবশ্যই, তবে কপি রেখে ডিলিট কোরো কিন্তু।
এক
মাতাল রাতে বাড়ি ফিরে ঘরের তালা খোলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই চাবি তালার ভেতর ঢোকাতে পারছিল না। পাশের বাসার ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন, ‘চাবিটা আমাকে দিন, আমি খুলে দিচ্ছি।’
মাতাল বলল, ‘না না, আমিই পারব। আপনি বাড়িটা শুধু একটু শক্ত করে ধরুন।’
হিমেলঃ
সব সময় মনে রাখবি, বুদ্ধিমানদের মনে সর্বদা সন্দেহ থাকে। বোকারাই শুধু সব ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে।
তুষারঃ ঠিক বলেছিস?
হিমেলঃ হ্যাঁ।
তুষারঃ একদম?
হিমেলঃ হ্যাঁ, একদম ঠিক।
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন(বাকি অংশ)
কুচকাওয়াজ
পরিদর্শনে এসেছেন কমান্ডার। সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ছোট করে চুল ছাঁটা এবং ক্লিন শেভড। হঠাৎ এক সৈনিকের সামনে গিয়ে থেমে গেলেন কমান্ডার। সৈনিকটি ছোট করে গোঁফ রেখেছে। কমান্ডার বললেন, তোমার নাকে এমন কী বিশেষত্ব আছে যে এটাকে আন্ডার লাইন করে রাখতে হবে?
কৌতুক সংগ্রহ-০৮
ব্যাঙ
নিয়ে গবেষণা করছিলেন এক অধ্যাপক। টেবিলের ওপর ব্যাঙটা রেখে প্রথমে তিনি ব্যাঙের পেছনের ডান পা-টা কাটলেন। পা কেটে একটা তালি দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙটা লাফিয়ে উঠল। এরপর পেছনের বাঁ পা কেটে একটা তালি দিলেন। ব্যাঙটা আবার লাফিয়ে উঠল। এরপর সামনের ডান পা কাটলেন এবং তালি দিলেন। ব্যাঙটা এবারও লাফিয়ে উঠল। সবশেষে নিপুণ হাতে কাটলেন সামনের বাঁ পা। কাটা শেষে যথারীতি তালি দিলেন, কিন্তু এবার ব্যাঙ আর লাফাল না।
কাটাছেঁড়া শেষ করে অধ্যাপক তাঁর থিসিসে লিখলেন, চার পা কেটে দিলে ব্যাঙ কানে শোনে না।
গোপাল
ভাঁড় একবার তার ছেলেকে নিয়ে মেলায় বেড়াতে গিয়ে ছেলেকে হারিয়ে ফেলে। ছেলে তখন একটুও না ঘাবড়ে ‘গোপাল, গোপাল’ বলে চেঁচাতে থাকে। ছেলের চিৎকার শুনে গোপাল ছুটে এসে ধমক দেয় ছেলেকে, ‘ছিঃ ছিঃ, আমার নাম ধরে ডাকছিস, বাবা বলে ডাকতে পারিস না?’
ছেলে তখন বলল, ‘হুঁ, বাবা বলে ডাকি আর মেলার সব লোক ছুটে আসুক!’
গোপালের
ভাইপো আর তার স্ত্রীর মধ্যে ভীষণ ঝগড়া হচ্ছে দেখে গোপাল তাদের থামাতে গেল। গোপালকে দেখে তার ভাইপো বলতে লাগল, ‘দেখুন তো কাকা, আমি আগামী বছর একটা দুধেল গাই কিনব আর তাই শুনে আমার বউ বলছে, সে নাকি গাইয়ের দুধ দিয়ে পায়েস বানিয়ে তার বাপের বাড়ির গুষ্টিকে খাওয়াবে···।’ গোপাল হাত তুলে তাদের থামাল। ‘আস্তে···’ ভাইপো থামল। এবার গোপাল ভাঁড় খেঁকিয়ে উঠল, ‘বদমাশ, তোর বউয়ের পায়েস তো পরে···বাড়ির পিছে আমি যে শাক-সবজির বাগান করেছি, সেগুলো যে তোর গরু খাবে, সে খেয়াল আছে?’
প্রেমিক
তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। শুনে প্রেমিকা বলল, তাই নাকি! তাহলে আগের সাতজন কে কে শুনি।
গোপাল
একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’
এটাকে
কি বলব, রিয়েল লাইফ জোক? ঘটনাটা আমাদের জীবনেরই। আজ থেকে ১০-১২ বছর আগের কথা। আমরা কয়েক বন্ধু আরেক বড়লোক বন্ধুর বাসায় আড্ডা মারতাম। সেই বন্ধুর একটা বোন ছিল অপরূপ সুন্দরী। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ্নার্ট বন্ধুটি তার প্রেমে পড়ে গেল। সবাই ব্যাপারটা জেনেও গেল। এর মধ্যে হঠাৎ জানা গেল, সেই অপরূপ সুন্দরী বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। খবর পেয়ে আমাদের ্নার্ট বন্ধুটি তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল। মেয়েটি ছিল অসম্ভব অহংকারী। সে বলল, ‘দেখো মাহমুদ, (পাত্র-পাত্রীর ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে) তুমি আমার যোগ্য নও··· তবে তোমার যোগ্য একজন পাত্রী আমি ঠিক করে রেখেছি।’ বলে সে তাদের কাজের বুয়াকে ডাকল। ‘এই তোমার পাত্রী।’
অসম্ভব অপমানিত হয়ে ফিরে এল মাহমুদ। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিলাম। সে কোনো মন্তব্য করল না। তারপর যথারীতি সেই রূপসী মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল একজন ডাক্তারের সঙ্গে। মাহমুদের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা কেউ পিয়ার বিয়েতে গেলাম না। চমকটা ঘটল তার পরই, হঠাৎ শুনি মাহমুদের বিয়ে! পাত্রী কে? পাত্রী আর কেউ না, সেই পিয়াদের বাসার কাজের বুয়া আছিয়া!
বহুদিন পর আমি মাহমুদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুই এটা কী করলি? নিজের জীবনটা···।’ সে বলেছিল, ‘তোরা আসলে ভুল বুঝেছিস আমাকে, আমি পিয়ার ওপর প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটাইনি··· সেদিন আমি যতটা অপমানিত হয়েছিলাম, এর থেকে বেশি অপমানিত হয়েছিল আছিয়া মেয়েটি! সেই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছিল, এ মেয়েটিকে তার সম্মান আমার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত···। আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছি।’ এখনো মাঝেমধ্যে যখন মাহমুদের কথা ভাবি, বুকটা ভরে যায়। এটা কি রিয়েল লাইফ জোক হলো? না ট্র্যাজেডি?
গোপাল
যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না।
ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে। হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করতে পারি···।’ আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বগত বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?
সম্প্রতি রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকা বিশ্বের কয়েকটি দেশের সেরা কৌতুক প্রকাশ করেছে। তার ভেতর বেশির ভাগই আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে তেমন জুতসই কৌতুক নয়। যে কয়েকটি মোটামুটি চলনসই সে কয়েকটি এখানে দেওয়া হলো।
আর্জেন্টিনা
একজন বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী একদিন একটি ফাস্টফুডের দোকানে গেলেন। তাঁরা একটি বার্গারের অর্ডার দিলেন এবং বার্গারটি সমান দুই ভাগ করে সামনে রাখলেন। পাশের টেবিলের লোকটির এটি দেখে খুব মায়া হলো ও তার নিজের বার্গারটি মহিলাকে খেতে দিলেন।
তখন বৃদ্ধ বললেন, ‘ধন্যবাদ, কিন্তু আমরা সবকিছু ভাগাভাগি করেই করি।’
কিছুক্ষণ পর লোকটি দেখল বৃদ্ধা একটি কামড়ও দেননি। অর্ধেক বার্গার সামনে নিয়ে বসে আছেন। তখন লোকটি আবার বলল, ‘আমি সত্যি খুশি হব, যদি আপনি আমার বার্গারটা নেন।’
বৃদ্ধ তখন বলে উঠলেন, ‘ও খাবে, চিন্তা করবেন না। আমরা সব ভাগাভাগি করে করি।’ তখন লোকটি অবাক হয়ে বৃদ্ধার কাছে জানতে চাইল, ‘তাহলে আপনি খাচ্ছেন না কেন!’
বৃদ্ধা আস্তে করে বললেন, ‘আমি দাঁতের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সুইজারল্যান্ড
স্ত্রীঃ ওগো, তুমি কি দেখেছ? আমাদের বাথরুমের জন্য নতুন টয়লেট ব্রাশ এনেছি।
স্বামীঃ হ্যাঁ, কিন্তু টয়লেট পেপারটাই আমার বেশি পছন্দ।
ক্রোয়েশিয়া
একটি বাচ্চা মন খারাপ করে একটি ভিডিও দোকানের সামনে বসে আছে। এক পুলিশ সেটা দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে? মন খারাপ কেন?’
বাচ্চাটি কাঁদো কাঁদোভাবে বলল, ‘সুপারম্যান এখনো বের হয়নি।’
‘দাঁড়াও, আমি দেখছি ব্যাপারটা’, সঙ্গে সঙ্গে বলল পুলিশ। তারপর চিৎকার করে বলতে থাকল, ‘এই যে সুপারম্যান! তাড়াতাড়ি বের হয়ে এসো, তোমার বাচ্চা কান্না করছে।’
চেক প্রজাতন্ত্র
একজন লোক রেডিওর একটি অনুষ্ঠানে ফোন করে জঔ-কে বলল, ‘আমি একটি মানিব্যাগ পেয়েছি, যাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিল এবং একটি কার্ড ছিল, যাতে লেখা আব্দুস সুবাহান, ভূতের গলি, ঢাকা।’
জঔ বলল, ‘তো, আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’
‘আমি ওনাকে একটি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ গান ডেডিকেট করতে চাচ্ছি।’ লোকটি বলল।
জার্মানি
এক লোক মেলায় ঘোরাঘুরি করে এক জায়গায় এসে দেখল ভাগ্য গণনা করা হচ্ছে। মজা করার জন্য সেও সেখানে গেল। জ্যোতিষী লোকটিকে দেখেই বেশ বিজ্ঞের মতো বললেন, ‘আপনি দুই সন্তানের বাবা।’
‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা? আমার তিনজন সন্তান।’ লোকটি বলল।
জ্যোতিষী তখন হেসে বললেন, ‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা?’
থাইল্যান্ড
‘তাড়াতাড়ি করো সবাই, দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের তাড়া দিয়ে বললেন।
‘এত তাড়া কেন, স্যার!’ একজন ছাত্র জিজ্ঞেস করল।
স্যার বললেন, ‘আমরা দেরি করলে পরের ক্লাস মিস করব।’
এক ছাত্র বলে উঠল, ‘স্যার, আপনার তাড়া থাকলে আপনি আমাদের ছাড়াই চলে যান।’
বাবরঃ এই আয়নার কোনো গ্যারান্টি আছে?
দোকানদারঃ এটা আপনি ১০০ তলা বাড়ির ছাদ
থেকে ফেলে দিন, একতলা পর্যন্ত আয়নাটা
আস্ত থাকবে।
এক মেয়েকে কেন্দ্র করে দুজন যুবক প্রতিদ্বন্দ্বী হলো। তারা ঠিক করল, উভয়ে পিস্তল দিয়ে যুদ্ধ করবে। তারপর যে বেঁচে থাকবে, সেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারবে। যুবক দুজনের একজন ছিল ভীষণ মোটা এবং অন্যজন বেশ চিকন। মোটা যুবকটি বলল, ‘আমি তো আয়তনে তোমার ডাবল, আমার দিকে তাক করতে তোমার খুবই সুবিধে হবে। সুতরাং পিস্তলের যুদ্ধে আমারই হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা।’
‘ঠিক আছে, একটি উপায় বের করছি।’ পাতলা লোকটি পকেট থেকে চক বের করে মোটা লোকটির শরীরে দাগ দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করল এবং বলল, ‘তোমার শরীরের ডান পাশের দাগের বাইরে গুলি লাগলে তা ধরা হবে না।’
একবার এক পরিদর্শক পাগলাগারদ পরিদর্শনে গেলেন।
পরিদর্শকঃ আপনারা কীভাবে বোঝেন যে একজন রোগী সুস্থ হয়েছে?
ডাক্তারঃ প্রথমে আমরা রোগীদের বাথরুমে বাথটাবের কাছে নিয়ে যাই। বাথটাবটা পানি দিয়ে পূর্ণ করি। তাদের আমরা একটি চামচ, একটি মগ ও একটি কাপ দিই। তারপর তাদের বাথটাবটি পানিশূন্য করতে বলি। তাদের পানিশূন্য করার নিয়ম দেখেই আমরা বুঝি কে সুস্থ হয়েছে।
পরিদর্শকঃ যদি তারা মগ দিয়ে পানি ফেলে দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা তাকে সুস্থ বলেন?
ডাক্তারঃ না, যদি তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়, তবে বাথটাবের পানি বের করার প্লাগ তুলে ফেলবে, তবেই আমরা ধরে নেই, সেই রোগী এখন সুস্থ হয়েছে। তা, আপনার জন্য কী এখানকার একটা রুম বুক করব?
আমার বন্ধু জাকির পত্রমিতালি করত এক মেয়ের সঙ্গে। মঝেমধ্যে তাদের মধ্যে উপহার লেনদেনও হতো। তবে সব লেনদেনই হতো বাই পোস্টে। যেমন, একবার বন্ধু পাঠাল পারফিউম, মেয়ে পাঠাল কোলাপুরি স্যান্ডেল! এই করতে করতে তাদের মধ্যে একটু প্রেম প্রেম ভাব চলে এসেছিল। তারা ঠিক করল, এবার দেখা হওয়া দরকার। ঠিক হলো, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তারা দেখা করবে। মেয়ে পরে আসবে নীল শাড়ি আর জাকির পরে আসবে হলুদ শার্ট। নির্দিষ্ট দিনে মেয়ে ঠিকই নীল শাড়ি পরে এল, কিন্তু জাকির পরে গেল অন্য শার্ট (তার ধান্দা মেয়ে বেশি সুন্দরী না হলে খোদা হাফেজ···)। মেয়েকে দেখে জাকির হতাশ! সে কেটে পড়ার তাল করছে। এমন সময় দেখে মেয়ে গটগট করে তার দিকেই আসছে। এসেই চার্জ করল? ‘অন্য শার্ট পরে এসেছ কেন?’ বন্ধু তখন তোতলাতে শুরু করেছে, ‘তু-তুমি বুঝলে কী করে?’ মেয়ে জাকিরের পায়ের দিকে দেখাল। জাকির তাকিয়ে দেখে মেয়ের দেওয়া স্যান্ডেলটাই পরে এসেছে! (বলাই বাহুল্য, তারা এখন সুখী দম্পতি)।
বুবাই পিৎজা অর্ডার করল।
দোকানদারঃ স্যার, পিৎজাটা কটা টুকরো করব? চারটে, না আটটা?
বুবাইঃ চারটেই করে দাও, আটটা খেতে পারব না, বেশি হয়ে যাবে।
থানায় গিয়ে এক ভদ্রমহিলা ইন্সপেক্টরকে বললেন, ‘আমার স্বামী গতকাল আলু কিনতে বাজারে গেছে, এখনো ফেরেনি।’
ইন্সপেক্টরঃ আলুই রান্না করতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই, অন্য সবজি রান্না করুন।
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমার মামার বাড়িতে এত বড় আম হয় যে দুটিতেই এক কেজি হয়ে যায়!
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আরে তুই জানিস, আমার মামাবাড়িতে এত বড় বড় আম হয় যে চারটিতেই এক ডজন হয়ে যায়!
এক লোক কিছু কাগজ ফটোকপি করে খুব মন দিয়ে অরিজিনাল কাগজগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে লাগল। আরেকজন প্রশ্ন করল, ‘এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন?’ লোকটি বলল, ‘দেখছি, ফটোকপিতে কোনো ভুল হয়েছে কি না ?’
প্রথম ভেড়াঃ আশ্চর্য, আজ আমরা মাত্র দুজন যে?
দ্বিতীয় ভেড়াঃ আর বলো না, সবাই গেছে পাশের গ্রামে।
প্রথম ভেড়াঃ কেন?
দ্বিতীয় ভেড়াঃ পাশের গ্রামের লোকের ঘুম আসে না বলে ভেড়া গুনতে হয় যে!
ছোট মামুর ভুঁড়ি হয়ে গেছে। কে তাঁকে বুদ্ধি দিল পেটে ভুঁড়ি কমার বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করলে ভুঁড়ি কমবে। মামু তা-ই শুরু করলেন; পেটে চওড়া বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করেন। একদিন ওই অবস্থায় কাঁচাবাজারে গেলেন। কিছু কেনাকাটা করছেন হয়তো··· হঠাৎ খেয়াল করলেন, সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না। বিষয় কী? হঠাৎ খেয়াল করলেন, তাঁর লুঙ্গিটা গোল হয়ে মাটিতে পড়ে আছে! তিনি বুঝতেই পারেননি। পেটে বেল্ট বাঁধা আছে বলে তিনি ভেবেছেন, লুঙ্গি বাঁধা আছে। ভাগ্য ভালো বলতে হবে, নিচে একটা হাফপ্যান্ট পরা ছিল!
জাহাজডুবি হয়ে এক লোক এক নির্জন দ্বীপে এসে উঠল। অনেক বছর কেটে গেল, কেউ তাকে উদ্ধার করতে এল না। লোকটির দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে প্রায় জঙ্গল হয়ে গেল। হঠাৎ একদিন লোকটি দেখল, অনেক দূর দিয়ে একটি জাহাজ যাচ্ছে। অনেক হাত-পা নেড়ে কাছের ডালপালা দুলিয়ে অবশেষে সে সক্ষম হলো জাহাজটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। জাহাজটি থেকে একটি ছোট নৌকা নামানো হলো। নৌকাটি দ্বীপের পাশে এসে থামল। নৌকা থেকে একজন নাবিক গত কয়েক বছরের দৈনিক সংবাদপত্র নিয়ে নামাল দ্বীপে।
‘এত সব খবরের কাগজ কেন?’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল লোকটি।
নাবিক বলল, ‘ক্যাপ্টেন আপনাকে অনুরোধ করেছেন গত কয়েক বছরের এ সংবাদপত্রগুলো পড়তে। তার পরও যদি আপনার লোকালয়ে ফেরার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।’
প্রেমিকঃ তুমি আমার জীবনে বাঁচার রসদ, আমার প্রেরণা, আমার সবকিছু।
প্রেমিকাঃ তুমিও আমার প্রাণ গো।
প্রেমিকঃ আমি খুব একটা বড়লোক নই। রোহিতের মতো আমার বড় বাড়ি, বড় গাড়ি কিছুই নেই। কিন্তু একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার মতো তোমায় কেউ ভালোবাসবে না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
প্রেমিকাঃ সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু রোহিত সম্বন্ধে আরও কিছু কথা বলো তো শুনি।
আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মুহসীন হলে থাকি। তখনকার মুহসীন হলের ঘটনা। এক ছাত্র ডাইনিংয়ে খেতে গেছে। আরেকজন ছাত্রের পাশে খেতে বসেছে। হঠাৎ দেখে ঘিয়ের ডিব্বা। সে তো মহা খুশি! ‘বাহ, আজকাল ডাইনিংয়ে ঘিও দিতে শুরু করেছে? বাহ, ভালো তো!’ বলে সে দিব্যি বোতল উপুড় করে ঘি ঢালতে লাগল তার প্লেটে। খাওয়া প্রায় শেষ, হঠাৎ সে খেয়াল করে দেখে তার পাশের ছাত্রটি মিনমিন করে বলছে, ‘বোতলটা নিতে পারি?’ তখন পরিষ্কার হলো, ওই ঘিয়ের বোতলটা আসলে পাশের ছাত্রের ব্যক্তিগত! তবে বোতল তখন মোটামুটি ফকফকা!
এক লোক তার বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছে।
গতকাল বাড়ির পেছনের জঙ্গলে ঢুকতেই দেখি, বিশাল এক বাঘ। আমি সঙ্গে সঙ্গে পেছন ফিরে দিলাম এক দৌড়। বাঘও আমার পেছন পেছন দৌড়াতে শুরু করল। কিন্তু বাঘ আমাকে ছুঁই ছুঁই করেও ছুঁতে পারছিল না। বারবার পিছলে পড়ে যাচ্ছিল। আর সেই সুযোগে আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এমনি করে শেষমেশ দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরেই ঢুকে গেলাম।
শুনে বন্ধু মন্তব্য করল-
‘তোমার তো দারুণ সাহস! আমি হলে তো ভয়ে হিসু করে দিতাম।’
প্রথম বন্ধু তখন বলল-
‘আরে, বাঘ তো বারবার পিছলে পড়ছিল সে কারণেই।’
ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো এক লোকের। লোকটা তার বন্ধুকে চিনতে পারছিল না। বন্ধুটি বলল, আমাকে চিনতে পারছিস না? আরে আমি তোর সঙ্গে ক্লাস ফোরে পড়েছি। লোকটা কঠিন গলায় বলল, অসম্ভব। ক্লাস ফোরে আমার কোনো দাঁড়িওয়ালা বন্ধু ছিল না।
ঃ একজন চুলওয়ালা ভদ্র্রলোক আপনাকে ডাকছেন।
ঃ বলে দাও যে, আমার এখন চুলের দরকার নেই।
এক
স্কুল শিক্ষক স্কুলের বাইরে বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর সামনে কাঁচুমাচু হয়ে একটি ছেলে এসে জানাল, সে নদীতে কুলি ফেলেছে এবং এর জন্য সে ক্ষমা করতে চায়। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘এ আর এমন কী, নদীর পানি সামান্য ময়লা হতে পারে হয়তো, কিন্তু এর জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরি নয়।’
কিন্তু ছেলেটি নাছোড়বান্দা। অবশেষে স্কুল শিক্ষক তাকে দুটো উপদেশ দিয়ে বিদায় করলেন। কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছেলে এসে নদীতে কুলি ফেলার কারণে তওবা করে গেল। তারপর আরেকজন। স্কুল শিক্ষক বেশ অবাক হলেন। এমন সময় চতুর্থ জন প্রবেশ করল। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘তুমিও কি নদীতে কুলি ফেলে এসেছ?’ চতুর্থজন রাগে চিৎকার করে উঠল, ‘রাখেন আপনার জ্ঞানের কথা। আমিই কুলি। পাশের স্টেশনে কাজ করি। তিন বদমাশ ছেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে। তাদের এদিকে আসতে দেখলাম মনে হয়।’
সাদেক
সাহেব অসুস্থ হয়ে কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ সময়টুকু একজন হাসপাতালকর্মী তাঁকে খুব সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে রিলিজ হওয়ার দিন সাদেক সাহেব তাঁকে বেশ ভালো বকশিশ দিলেন। এত বকশিশ পেয়ে ওই কর্মচারী আনন্দে কেঁদে ফেলে বলল, ‘আবার আসবেন, স্যার।’
আম
চুরি করতে একটি ছেলে গাছে উঠেছে। গাছের মালিক হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলল।
‘ওই বদমাশ, আমার আমগাছে কী করছিস?’ ‘ইয়ে··· আঙ্কেল··· মানে কয়েকটি আম মাটিতে পড়েছিল, ওগুলো গাছে তুলে রাখছি।’
পাগলা
গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরীক্ষায় পাস করলে তিনজনকে পাগলাগারদ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু ফেল করলেই পাঁচ বছরের জন্য তাদের আটকে দেওয়া হবে। ডাক্তার তিন পাগলকে একটা ফাঁকা, জলবিহীন সুইমিং পুলের সামনে নিয়ে গিয়ে ঝাঁপাতে বললেন। প্রথম পাগলটি তৎক্ষণাৎ তাতে ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙে ফেলল। দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের নির্দেশমতো পুলে ঝাঁপ দিল এবং হাত ভেঙে ফেলল। তৃতীয় পাগলটি কিন্তু কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হলো না। ডাক্তারটি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আরে, তুমি তো কামাল করে দিয়েছ! যাও, তুমি মুক্ত। তবে একটা কথা বলো, তুমি পুলে ঝাঁপ দিলে না কেন?’
নির্দ্বিধায় পাগলটি জবাব দিল, ‘দেখুন ডাক্তারবাবু, আমি সাঁতারটা একেবারে জানি না!’
দুই
বন্ধু কথা বলছে-
‘শোন, কিপটেমিরও একটা সীমা আছে। এই একটা শার্ট তুই তিন বছর ধরে পরছিস!’
‘অসম্ভব! মাত্র দুই বছর ১১ মাস হয়েছে!’
রিডার্স ডাইজেস্টের কৌতুক(বাকি অংশ)
দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।
এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!
ঘটনাটা আমাদের গ্রামের। যাকে নিয়ে এই ঘটনা, তার নাম রিয়াজউদ্দীন মুনশি। পৈতৃক সূত্রে প্রচুর পয়সার মালিক। কিন্তু মাথায় বুদ্ধি নেই এক ফোঁটা। তো, তার একবার শখ হলো বন্দুক কেনার। গ্রামের লোকও তাল দিল ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমার একটা বন্দুক না থাকলে চলে?’ যা-ই হোক, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সে একটি বন্দুক কিনল। লাইসেন্স করল। কয়দিন গ্রামে বন্দুক নিয়ে ঘুরল। গ্রামবাসী জানল, মুনশি বন্দুক কিনেছে। শুধু গ্রামবাসী নয়, ডাকাতেরাও জানল এই ঘটনা! এবং যা হয় তা-ই হলো, এক রাতে ডাকাতেরা এসে তাকে আচ্ছামতো প্যাঁদিয়ে বন্দুকটা ছিনিয়ে নিয়ে গেল। পাকিস্তান আমলের ঘটনা; সে সময় বন্দুক চুরি হওয়া মানে ভয়ংকর ব্যাপার, তার ওপর বন্দুক চলে গেছে ডাকাতদের হাতে! কী করা! পুলিশকে সে কী বোঝাবে? চটজলদি সে বাসায় একটা সিঁদ কাটল। চুরি যে হয়েছে বোঝাতে হবে না পুলিশকে! যথারীতি খবর পেয়ে পুলিশ এল। দেখল বাড়িতে সত্যিই সিঁদ কাটা! তার মানে চোর যে বন্দুক নিয়ে গেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই! কিন্তু··· দারোগা সাহেব মুনশিকে কাছে ডাকলেন, ‘মুনশি সাহেব, চোর সিঁদ কেটে আপনার বন্দুক নিয়ে গেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই··· কিন্তু আমাকে বোঝান, সিঁদ কাটার মাটি আপনার ঘরের ভেতর এল কী করে?’ বলাই বাহুল্য, মুনশি সাহেব সিঁদ কেটেছেন তাঁর ঘরের ভেতর থেকেই!
দুজন স্কাই ডাইভার একবার ঠিক করল, প্লেন থেকে ঝাঁপ দেবে এবং মাটির খুব কাছে এসে তারা প্যারাসুট খুলবে। নতুন রেকর্ড করবে। তারপর তারা যথারীতি এক হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দিল। যখন ৭০০ ফুট নিচে এল, তখন একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার প্যারাসুট খুলি, কী বলো?’
‘না, আরও পরে।’
৪০০ ফুট নিচে নামার পর একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার প্যারাসুট খুলি, কী বলো?’
‘না, আরও নিচে নেমে।’
এরপর তারা যখন মাত্র ১০ ফুট ওপরে তখন একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার? মাত্র ১০ ফুট নিচে মাটি!’
‘আরে, ১০ ফুট কোনো ব্যাপার নাকি? ছোটবেলায় কত লাফিয়েছি!’
সীমান্ত এলাকায় এক লোক প্রায়ই সাইকেলে চেপে পিঠে দুটি বস্তা নিয়ে সীমান্ত পার হয়। সেনারা প্রতিদিন লোকটিকে থামিয়ে বস্তা দুটি খুলে তল্লাশি করে।
সব সময়ই দেখা যায়, বস্তায় শুধু বালু। লোকটিও অসংখ্যবার বালু আনা-নেওয়া করল এভাবে সাইকেলে চড়ে। অবশেষে একদিন তাকে আর দেখা গেল না। বহু দিন পর সীমান্তের এক সেনা ছুটি কাটাতে শহরে এসে দেখে, ওই লোকটি সামনে দিয়ে যাচ্ছে। সেনাটি বলল, ‘এই যে, আপনি! আমরা নিশ্চিত ছিলাম, আপনি কিছু চোরাচালান করছেন। কিন্তু কখনো বালু ছাড়া কিছুই তো আমরা পাইনি! বলুন তো, আসলে আপনি কী চোরাচালান করতেন?’
লোকটা বলল, ‘সাইকেল।’
গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!
গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।
ইকবালঃ
কাল একটা চোর আমাকে চাকু দেখিয়ে সবকিছু লুটে নিয়েছে।
বাবরঃ কিন্তু তোর কাছে তো বন্দুক আছে, এই তো কদিন আগে কিনলি!
ইকবালঃ হিঃ হিঃ হিঃ, সেটা আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম, না হলে ওটাও লুটে নিত।
একজন
সর্দারজি ডাক্তারকে ফোন করছেন!
সর্দারজিঃ ডাক্তার বাবু, আমার স্ত্রী গর্ভবতী, ওর খুব ব্যথা হচ্ছে।
ডাক্তারঃ এই কি তার প্রথম সন্তান?
সর্দারঃ না, আমি তার স্বামী কথা বলছি।
দুই
গরু কথা বলছে-
‘সেদিন ঘাস খেতে খেতে হঠাৎ করে সিনেমার টিকিট খেয়ে ফেলেছিলাম। তারপর দেখি, চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে।’
‘কেন?’
‘সিনেমাটি বোধহয় খুব দুঃখের ছিল।’
এক
স্বামী আর একটি গাধার তফাত কী? একজন স্বামী গাধা হতেও পারে, কিন্তু একটি গাধা এতটা গাধা নয় যে সে কারও স্বামী হবে।
ভিখারিঃ স্যার, পাঁচটা টাকা ভিক্ষা দেন। পথচারীঃ আরে একটু আগেই তো তোমাকে পাঁচ টাকা দিলাম।
ভিখারিঃ অতীতের কথা ভুলে যান। অতীত নিয়ে পড়ে আছেন বলেই তো দেশের এই অবস্থা।
একটা বাচ্চা জন্মানোমাত্র নার্সকে বলল, মোবাইল আছে?
নার্সঃ কেন?
বাচ্চাঃ ঈশ্বরকে ডেলিভারি মেসেজ পাঠাতে হবে যে।
গৃহকর্তাঃ (ঘুমের ঘোরে) কে ওখানে?
চোরঃ আমি হ্যাবলা চোর।
গৃহকর্তাঃ ওখানে কী করিস?
চোরঃ চুরি করছি।
গৃহকর্তাঃ চুরি করবি তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?
চোরঃ আমাদের সর্দার যা নেব সব বাজিয়ে (পরখ করে) নিতে বলেছে। তাই হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিচ্ছি।
নেতাঃ আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।
জনৈক ব্যক্তিঃ এ মাসে নয় কেন, স্যার?
নেতাঃ কারণ এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে আমার মেয়ের বিয়ে।
ছোট মামাকে নিয়ে ডাক্তারখানায় গেলাম। সারা শরীরে ব্যথা। ডাক্তার মামাকে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে হাতে ধরিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মামা আমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। বলল, ‘হায় হায়! তাড়াতাড়ি চল, আমার ব্যাগ রেখে এসেছি।’ বলেই দ্রুত প্রস্থান করল। বাইরে এসে মামা বলল, ‘আরে হাঁদারাম, ডাক্তার যখন প্রেসক্রিপশন লিখছিল, দেখলাম শুধু নাপা ট্যাবলেট দিয়েছে, দুই দিনে ছয়টি খাওয়ার জন্য। ছয়টি ট্যাবলেট খেলে যদি অসুখ ভালো হয়ে যায়, তাহলে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে লাভ কী? তাই বুদ্ধি করে চলে এলাম।’ কী জ্ঞান মামার!
এক মা রান্না করছেন এবং একই সঙ্গে তাঁর মেয়েকেও পড়াচ্ছেন। তিনি তরকারির ঝোল খেয়ে দেখলেন, তাতে লবণ কম হয়েছে। তিনি মেয়েকে একই সঙ্গে লবণ ও অঙ্ক বই আনতে বলতে চাইলেন।
মেয়েঃ মা, কী বই আনব?
মাঃ (অন্যমনস্কভাবে) বয়াম থেকে অঙ্ক বই নিয়ে আয়।
সিরাজদ্দৌলা নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। নাটকের পরিচালক নরেশ বিশ্বাস। নায়ক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিচালক তখন সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁর বন্ধুকে দিয়ে নাটক করাবেন। কিন্তু তাঁর বন্ধু কখনো অভিনয় করেননি। নরেশ বিশ্বাস অনেক বুঝিয়ে তাঁর বন্ধুকে রাজি করালেন এবং ভালো করে সব সংলাপ শিখিয়ে দিলেন। কিন্তু তাঁর বন্ধু মঞ্চে উঠে এত দর্শক দেখে সব ভুলে গেলেন। তার পরও নরেশের আশ্বাসে তিনি সংলাপ বলতে লাগলেন।
‘বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, বন্ধু নরেশ্যা, তোরে বলেছি আমারে মঞ্চে উঠায়চ্ছ্যা, হাঁটু কাঁপে পর্দা টান’-এই বলে তিনি কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেলেন।
চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান ক্লাস চলছে। স্যার উদ্ভিদ নিয়ে আলোচনা করছেন। এক ছাত্রকে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে দেখলেন।
স্যারঃ এই ছেলে, তুমি বলো তো, কোন জীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে?
ছাত্রঃ আমার আম্মু।
রফিকঃ জানিস, আমি এত হিসাবি যে আমার হানিমুনে বউকে নিয়ে যাইনি, হানিমুনের খরচ অর্ধেক করে ফেলেছি।
আবুলঃ হে হে হে! তোর থেকে আমি বেশি পয়সা বাঁচিয়েছি। আমি আমার বউকে আমার বন্ধুর সঙ্গে হানিমুনে পাঠিয়ে দিয়ে পুরো টাকাটাই বাঁচিয়েছি।
ছাত্রজীবনে একবার বুয়েটে গিয়েছিলাম এক ছাত্রনেতার সঙ্গে দেখা করতে (সেই নেতার নাম এখন আর লিখলাম না, সবাই চিনে ফেলতে পারে) কী একটা কাজে। সঙ্গে আমার আরেক বন্ধুও ছিল। তো এ কথা সে কথা চলছে, নেতা পকেট থেকে গোল্ডলিফের প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট ধরালেন। আমি বললাম, ‘···ভাই, আমাকে একটা দেন।’ নেতা প্যাকেটটা ঘরের কোনায় ছুড়ে ফেলে বললেন, ‘আর নেই, এটাই খেয়ো।’ তো আবার এই আলাপ, সেই আলাপ চলতে লাগল। একপর্যায়ে আমি ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করে শরীরটা চাঙা করে নিতে উঠলাম। কী মনে করে ঘরের কোনায় ফেলে দেওয়া নেতার খালি গোল্ডলিফের প্যাকেটটায় একটা লাথি দিলাম। দিয়েই বুঝলাম, ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়!’ মানে সিগারেটের প্যাকেট ভর্তি হ্যায়! আমি আর কোনো কথা না বলে প্যাকেটটা উঠিয়ে বাইরে চলে এলাম। বাইরে এসে প্যাকেট খুলে দেখি মাত্র দুটো সিগারেট খাওয়া হয়েছে। সেই নেতাকে মাঝেমধ্যে বড় বড় বক্তব্য দিতে দেখি। তখন মনে পড়ে যায় ছাত্রজীবনের ঘটনাটা। সাধারণ জনগণকে যিনি একটা সিগারেট দিতে কৌশল করেন, জাতি তাঁর কাছে আর কী আশা করতে পারে?
পত্রিকায় ‘লম্বা হোন’ বিজ্ঞাপন দেখে এক লোক গেল সেই অফিসে। কর্মচারী বলল, আপনাকে আগামীকাল আসতে হবে। কারণ, আমাদের ফরমগুলো কে যেন আলমারির ওপরে উঠিয়ে রেখেছে। আলমারিটা একটু উঁচু তো। আমরা কেউ নাগাল পাচ্ছি না।
ভিখারিকে দেখে গৃহিণী বললেন, ‘তোমাকে তো মনে হয় চিনি। মাস দুই আগে তোমরা কয়েকজন আমার এখানে খিচুড়ি খেয়ে গিয়েছিলে না?’
ভিখারি বলল, ‘হ, আম্মা। আমরা তিনজন আছিলাম। তার মধ্যে আমিই শুধু বাঁইচ্চা আছি। সেই খিচুড়ির ধাক্কা খালি আমিই সামলাইতে পারছিলাম।’
ছোট্ট স্টেশনে ট্রেনটা থামতেই এক যাত্রী প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলের হাতে চারটা টাকা দিয়ে বলল, ‘আমার জন্য দুটো শিঙাড়া নিয়ে এসো, আর দুটো তুমি খেয়ো।’ টাকা নিয়ে ছেলেটি ছুটে গেল, কিন্তু ফেরার নামটি নেই। ট্রেন যখন আবার চলতে শুরু করল, তখন ছেলেটি দৌড়াতে দৌড়তে এসে বলল, ‘দোকানে মাত্র দুইটা শিঙাড়াই ছিল। আমি আমার দুটো খেয়ে নিয়েছি। এই নিন আপনার বাকি টাকা।’
দুই ভাই লোভী দৃষ্টিতে মায়ের সদ্য তৈরি কেকটার দিকে তাকিয়ে আছে। সাত বছরের জিহাদ ছোট ভাই সোহানকে বলল, ‘এই, যা না, আম্মাকে গিয়ে বল আমরা এখন কেকটা কেটে খাব কি না।’
সোহান বলল, ‘তুমি বলো, ভাইয়া, তুমি তো আম্মাকে আমার চেয়ে বেশি দিন ধরে চেনো।’
ফায়ার সার্ভিস অফিসে একটা ফোন এল।
-হ্যাঁলো, এটা কি ফায়ার সার্ভিস অফিস?
-হ্যাঁ, বলুন।
-দেখুন, মাত্র কিছুদিন হলো আমি আমার ফুলের বাগান করেছি। ছোট্ট সুন্দর বাগান, নানা জাতের ফুল ফুটেছে···
-আগুন লেগেছে কোথায়?
-গোলাপের চারাগুলো খুব দামি, অর্ডার দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি···
-কোথায় আগুন লেগেছে তা-ই বলুন, শিগগির।
-তাই তো বলছি। আগুন লেগেছে আমার পাশের বাড়ি। আপনারা তো এক্ষুনি আসবেন। তাই আগে থেকেই অনুরোধ করছি, আগুন নেভানোর ফাঁকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়েন, অনেক দিন পানি দেওয়া যাচ্ছে না।
এক নব্য ধনীর সদ্য কেনা গাড়িটি অ্যাক্সিডেন্টে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। তিনি চিৎকার করতে লাগলেন, ‘হায় হায়! আমার শখের গাড়িটা গেল রে!’ এক পথচারী দেখল, লোকটার একটা হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে বলল, ‘গাড়ির জন্য চিৎকার করছেন, আপনার হাত যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে!’
নব্য ধনী আরও জোরে চিৎকার করে উঠলেন, ‘হায় হায়! আমার দামি রোলেক্স ঘড়িটাও গেল রে!’
ঃ কম পেট্রলে বেশি মাইল চলবে-এ রকম কোনো গাড়ি নেই?
ঃ আছে। এই যে, এটা নিন। পেট্রল ছাড়াই চলবে।
ঃ তাই নাকি? কীভাবে?
ঃ কেন? অকটেনে!
এক শ্রমিক তার মালিককে বলল, স্যার, আমি একা তিনজনের কাজ করি। এবার আমার মাইনে বাড়িয়ে দিন। মালিক বলল, অসম্ভব। মাইনে বাড়াতে পারব না। বাকি দুজনের নাম বলো। ওদের ছাঁটাই করব।
ঃ গোল্ডফিসকে নতুন পানি দিয়েছিস ?
ঃ না, মা। কালকের পানিই তো এখনো খেয়ে শেষ করতে পারেনি।
ডাক্তারঃ আপনার স্বামীর বিশ্রাম দরকার, তাই কিছু ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করলাম।
ভদ্রমহিলাঃ এগুলো আমার স্বামীকে কখন খাওয়াব?
ডাক্তারঃ এগুলো আপনার স্বামীর জন্য নয়, আপনার জন্য।
প্রথম ব্যক্তিঃ আমার তিন ছেলে। এর মধ্যে দুজন ডিগ্রি পাস। কিন্তু ছোট ছেলেটি মোটেও পড়াশোনা করেনি, তাই সে ভিখারি!
দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ তা হলে ছোটটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?
প্রথম ব্যক্তিঃ কী বলছেন, মশাই? একমাত্র ওই তো ভালো আয় করে!
রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকা এক লোকের গায়ে লেগে গেল গাড়িটা। গাড়ির ভদ্রলোক রেগেমেগে বেরিয়ে এলেন গাড়ি থেকে।
ঃ দোষ আপনারই। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ১০ বছরের।
ঃ মুখ সামলে কথা বলুন। অভিজ্ঞতা আমারও কম না। আমি ৫০ বছর ধরে রাস্তায় হাঁটছি।
ছেলেঃ বাবা, পোড়া আলু খেতে তোমার কেমন লাগে?
বাবাঃ কেন, ভালই তো!
ছেলেঃ একটু আগে ম্যানেজার ফোন করেছিল তোমার আলুর গুদামে আগুন লেগে সব আলু পুড়ে গেছে!
স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না
ছেলে : আমি আর স্কুলে যাব না বাবা।
বাবা : কেনরে খোকা, লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
ছেলে : তা নয়, স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না। সবসময় আমাকেই পড়া জিজ্ঞেস করে।
ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি
পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবা : কী কাজ?
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি।
বাবা : তাই নাকি! কী করে?
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।
শুধু একটা ভুল
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতে লিখতেই পারিনি।
অংকের ভুল
বাবা : কিরে, আমি যে তোর অংকের হোমওয়ার্কগুলো করে দিয়েছিলাম, সেটা স্যারকে দেখানোর পর তিনি কী বললেন?
ছেলে : স্যার বললেন, ‘তোর বাবার অংকের ভুলের জন্য তো আর তোকে শাস্তি দিতে পারি না!’
গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
ওজোন স্তর
প্রেমিকাঃ তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো ?
প্রেমিকঃ ওই বিশাল নিঃচ্ছিদ্র নিঃসীম আকাশের মতো।
প্রেমিকাঃ কিন্তু আকাশের ওজোন স্তরের ফুটোর ব্যাপারটা জানো তো?
ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন
বাড়ি থেকে পালাচ্ছে এক তরুণী। গেটের কাছে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক। উভয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রেমিক : তোমার বাবা টের পাননি তো?
প্রেমিকা : উনি বাসায় নেই।
প্রেমিক : বল কী? এত রাতে বাসার বাইরে?
প্রেমিকা : আমাদের জন্য ট্যাক্সি ডাকতে গেছেন।
পরী
- মা পরীরা কি উড়তে পারে ?
- পারে।
- কাল সন্ধ্যায় বাবা খালামনিকে বলছিল- তুমি একটা পরী। খালামনি তা হলে ওড়ে না কেন?
- উড়বে, আজই, এখনি!
বিশ্বসুন্দরী
ছোট বোন : আচ্ছা আপু আমি কি খুব সুন্দরী?
বড় বোন : কেন?
ছোট বোন : সাজলে নাকি আমাকে খুব সুইট লাগে।
বড় বোন : এই মিথ্যা কথা তোকে কে বলেছে?
ছোট বোন : দুলাভাই তো বলল আমি নাকি তার চোখে বিশ্বসুন্দরী।
ক্ষতি
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
দৌড়
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ….
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস্ , তুই- ই দৌড়ে পালা !!
ইনকামট্যাক্স
তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
মশা ও জোনাকী
এক লোক মশার যন্ত্রনায় অস্থির, মশারী খাটিয়ে ও নিজেকে বাচাতে পারছেনা, কারন, যে কোনভাবে মশারীর ভিতর মশা ঢুকে যায়। তারপর, একদিন লোকটা একটা লেপ দিয়ে পুরো শরীরটা ঢেকে শুয়ে আছে যাতে করে আর তাকে মশা কামরাতে না পারে । লেপের ভিতর হঠাত্ করে একটা জোনাকি পোকাকে দেখে লোকটা চিত্কার করে বলে উঠলো— বাবারে! বাবা, মশা তো আমাকে টচ্ লাইট দিয়া খুজতাছে!!!!!!
দুধ থেকে দই
শিক্ষকঃ আচ্ছা দুধ থেকে দই তৈরির একটি সহজ উপায় বল।
ছাত্রঃ ভীষন সহজ স্যার। গাভীকে তেঁতুল খাওয়ালেই হবে।
চেহারা দর্শণ
হালিমঃ কিরে মালাই, আয়নার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
মালাইঃ ঘুমিয়ে থাকলে চেহারাটা কেমন দেখায় একটু দেখছি, এই যা!
কথা সত্যি।
ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
উপন্যাস
চাকর: স্যার, আপনি রাত জেগে কি করেন?
সাহিত্যিক: গল্প-উপন্যাস লিখি।
চাকর: এত কষ্ট করে রাতজেগে লেখার দরকার কি? কয়টা টাকা খরচ করলেইতো বাজার থেকে ওগুলো কিনতে পাওয়া যায়।
তিরিশ দিন
জজঃ কী ব্যাপার, বারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে না?
আসামিঃ আমি তো হুজুর বছরে এক-দুইবার আসিঃ আপনি তো মাশআল্লাহ মাসের তিরিশ দিনই।
তালা এক্সপার্ট
বিচারকঃ আপনার পেশা কী?
আসামিঃ জি, আমি তালা এক্সপার্ট।
বিচারকঃ তালা এক্সপার্ট! আপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেন?
আসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!
গান
মেয়ের বাবাঃ এই মাত্র মেয়েটার যে গান শুনলেন এর জন্য আমার বহু টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
ছেলের বাবাঃ হ্যাঁ, তা তো হবেই। নির্ঘাত প্রতিবেশীদের সঙ্গে মামলা লড়তে হয়েছে।
স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
পরিবর্তন
পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?
ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা।
যৌতুক
১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষ করতা। এইখানে আইছ কেন?
২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
দান
সাহায্য দাতাঃ দশ টাকা দিচ্ছি দোকান থেকে কিছু কিনে খেও। ঠিক আছে, কিন্তু তোমার এ দশার কারণ কি?
সাহায্য প্রার্থীঃ আমিও আপনার মত ছিলাম কিনা। যে চাইত তাকেই দিয়ে দিতাম।
ভিক্ষুক
ভিক্ষুকঃ স্যার, দয়া করে আমাকে একটা টাকা দেন।
পথচারীঃ নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে আট আনা পয়সা দিন।
পথচারীঃ বললাম তো নেই।
ভিক্ষুকঃ তাইলে স্যার আমার সাথে নাইমা পড়েন
পাগল প্রেসিডেন্ট
পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি……
যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!
পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি–চিনি, প্রথম – প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !
প্রশংসা
চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই প্রশংসা করতে পারি
শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
বয়স
সাংবাদিকঃ সেকি! আপনার মা যে বললেন আপনার বয়স ত্রিশ।
নায়িকাঃ মা মিথ্যে বলেননি। তবে আমি গুনতে শিখেছিলাম ছয় বছর বয়সে।
প্রতিশ্রুতি
চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব
জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?
চেয়ারম্যান: …প্রথমে খাল করব তারপর ব্রিজ করব!
গাধা!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলেটা বলল, আমাদের বিয়ের এই খবরটা বিয়ের আগের দিন পযর্ন্ত কাউকে আমরা জানাবো না । খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাবো এবং এইটা একটা Surprise হবে।
মেয়েটা বলল, আমি শুধু একজনকে এই খবরটা জানাতে চাই।
ছেলে :- কেন?
মেয়ে :- পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোন গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবেনা। তাই ওকে জানাতে হবে।
স্বর্ণর খাট
মেয়ের বাবাঃ বেয়াই সাহেব আপনি তো বলেছিলেন আপনার ছেলে স্বর্ণর খাটে ঘুমায় কিন্তু এটা তো দেখছি কাঠের?
ছেলের বাবাঃ ঠিকই দেখছেন। এটা আমার বড় মেয়ে স্বর্ণর খাট। মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এই খাটে আমার ছেলেই ঘুমায়।
বাবার ‘পা’
১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার ‘পা’ ছিল!
ধার
প্রশ্নঃ কাউকে এড়িয়ে চলার সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ টাকা ধার দেয়া।
ইচ্ছে
ভদ্রমহিলাঃ তোমার নাম কি।
খুকিঃ অনিতা।
ভদ্রমহিলাঃ কি সুন্দর দেখতে তুমি। তোমার মতো মেয়ের মা হতে আমার খুব ইচ্ছে।
খুকিঃ কিন্তু আমার বাবা যে মারা গিয়েছেন।
কান্না
- জমিদার হাতিটা মরে যাওয়ায় কাঁদবে তো মাহুত আর জমিদারের লোকজন তুমি কাঁদছ কেন?
- আমি কাঁদছি শোকে না ভাই। ওটাকে যে কবর দেয়ার ভার পরেছে আমার উপর।
ইঁন্দুর
বুয়াঃ খালাম্মা, দুধের পাতিলে একটা ইঁন্দুর পড়ছে।
গৃহিণীঃ কী! তাড়াতাড়ি ইঁদুরটা সরা।
বুয়াঃ (হেসে) ইঁন্দুর সরানোর ব্যবস্থা কইরাই আফনেরে বলছি। পাতিলের ভিতরে একখান বিলাই রাইখা আসছি!
চার মাস পর
বাড়ীর কর্তা(নতুন কাজের লোক কে): ঠিক আছে তুমি আজ থেকে কাজে লেগে যাও। প্রতিদিন ২০ টাকা করে পাবে । চার মাস পর থেকে ৪০ টাকা করে পাবে।
কাজের লোক: আমি তাহলে চার মাস পরেই আসবো।
আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
আস্তে হাঁটা
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু’ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
নেপোলিয়ান
মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস ভাগনে?
ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।
মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে পড়তেন।
ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান সম্রাট হয়েছিলেন!
গরম চা
১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চাপাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!
ঘাড় ধরে বের করে দেব
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।
কুমীর
টুরিস্টঃ নদীতে নামতে পারি? কুমীরের ভয় নেই তো?
স্হানীয় লোকঃ নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমীরও নেই। গত দু বছরে সবকটি কুমীর হাঙর খেয়ে ফেলেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স
ট্রাফিকঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি।
চালকঃ কিন্তু স্যার, আমিতো খুব সাবধানে চালাচ্ছি,বেআইনি কোন কিছু করিনি।
ট্রফিকঃ সেজন্যইতো সন্দেহ হচ্ছে।
শত্রু নাই
প্রথম ভদ্রলোকঃ আমার বয়স পঁচাশি বছর হলো, পৃথিবীতে আমার কোন শত্রু নাই।
দ্বিতীয় ভদ্রলোকঃ আবাক কান্ড,এতো বছরেও পৃথিবীতে আপনার কোন শত্রু হয়নি!
প্রথম ভদ্রলোকঃ যারা হয়েছিল,তারা অনেক আগে মারা গেছে।
একটা বাচাল বাচ্চা বাসে উঠে ড্রাইভারের পাশে বসলো। বসেই এত্তো কথা বলা শুরু করলো যে ড্রাইভার বিরক্ত হয়ে গেল। বাচ্চার কথা গুলো এরকমের ‘
আমার আব্বা যদি মোরগ হোতো আর আমার আম্মা যদি মুরগী হোতো আমি একটা বাচ্চা ………….. মুরগী হোতাম‘
একটু পর ছেলেটি আবার বলতেছে
‘আমার আব্বা যদি একটা ছেলে হাতি হোতো আর আমার আম্মা যদি মেয়ে হাতি হোতো আমি একটা বাচ্চা হাতি হোতাম‘
আবার একটু পর
‘আমার আব্বা যদি একটা ষাঁড় হোতো আর আমার আম্মা যদি গরু হোতো আমি একটা বাচ্চা গরু হোতাম‘
এভাবে বলতে বলতে ড্রাইভারকে সহ্যের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেল।
ড্রাইভার শেষে থাকতে না পেরে ছেলেটিকে বললো
‘তোমার আব্বা যদি একটা মাতাল হতো আর তোমার আম্মা যদি পতিতা হতো তাহলে তুমি কি হুতে?’
ছেলেটি কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো
‘তাহলে আমি হোতাম বাস ড্রাইভার‘।
ডিম
১ম পাগলঃ জানিস, আজ আমি বাজার থেকে একটা আণ্ডাওয়ালা মোরগ নিয়ে এলাম।
২য় পাগলঃ ধুর বোকা, মোরগ কী ঘোড়া যে ডিম পাড়বে
কৌতুক সংগ্রহ-০৭
রোগীঃ ডাক্তার, আমার না ভুলে যাওয়ার ব্যামোয় ধরেছে।
ডাক্তারঃ কবে থেকে এই রোগের শিকার হয়েছেন?
রোগীঃ অ্যাই ডাক্তার, কোন রোগের কথা বলছিস? আমি দিব্যি সুস্থ। খালি পয়সা বের করার ধান্দা, না।
দুই বন্ধু গেছি পদ্মাপারের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে। পূর্ণিমার রাত। দুজনে চলে গেলাম পদ্মাপাড়ে। পা ঝুলিয়ে বসলাম। বন্ধুর কাব্য রোগ আছে, সে আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠল। না উঠেই বা উপায় কী? ওপরে ফিনিক ফোটা জ্যোৎস্মা···, নিচে জলের কল্লোল··· কবি বন্ধু বলে উঠল, ‘ইচ্ছে করে এই গহিন রহস্যময় প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাই···’ বলামাত্রই ‘ঝুপ’ করে একটা শব্দ! দেখি আমার পাশে কেউ নেই! নদীর পাড় ভেঙে সে আক্ষরিক অর্থেই নিচে হারিয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
আমি বড়লোকের এক ত্যাঁদড় ছেলেকে পড়াই। মহা ফাজিল ছাত্র! একদিন তাকে ট্রান্সলেশন পড়াচ্ছি। সে উল্টো আমাকে ট্রান্সলেশন ধরে বসল, ‘স্যার, বলেন তো, আমি হই কিন্তু দুই, এর ইংরেজি কী হবে?’
ঃ এটা আবার কী হলো?
ঃ বলেন না, স্যার।
ঃ আই অ্যাম বাট টু···
আমার ফাজিল ছাত্র দেখি হি হি হাসিতে ভেঙে পড়ছে। তখনই আমার খেয়াল হলো, আরে, সে তো আমাকে বোকা বানানোর জন্য কাজটা করেছে! বলাই বাহুল্য, আমি একটু খাটোই!
এক বুড়ো গাছ থেকে পড়ে হাত ভেঙে ডাক্তারের কাছে গেলেন-
ডাক্তারঃ গাছ থেকে পড়লেন কীভাবে?
রোগীঃ তোরা কে আছিস, আমাকে ধরে গাছে তুলে দে। আমি স্যারকে বুঝিয়ে দিই কী করে পড়লাম।
বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী করে বলব?
প্রথম বন্ধুঃ আমি কখনো পুলিশের মার খাইনি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আমি প্রায় রোজই খাই।
প্রথম বন্ধুঃ বলিস কিরে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন, জানিস না, আমার আব্বু একজন পুলিশ অফিসার?
বহুদিন পর আমার পুরোনো প্রেমিকার চিঠি পেলাম। চিঠির ভাষা ছিল এ রকম-
প্রিয় মজনু, তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙাটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। আজ আমি বুঝতে পেরেছি, পৃথিবীতে তুমিই আমায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে। আমরা কি পারি না পুরোনো সম্পর্কটা নতুন করে তৈরি করতে? তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি-তোমার জুলি
পুনশ্চঃ লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
একজন ক্রেতাঃ সর্দারজি, লসসিতে মাছি!
সর্দারজিঃ এত ছোট মন তোমার? একটা মাছির জন্য চেঁচাচ্ছ? ওই একটা ছোট্ট মাছি তোমার কতটা লসসিই বা খাবে।
বাবলু একদিন টিভি কিনতে দোকানে গেল। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করল, এখানে কালার টিভি পাওয়া যায়?
দোকানদারঃ হ্যাঁ, আপনি নেবেন?
সর্দারজিঃ নেব বলেই তো এসেছি। আমাকে একটা সবুজ রঙের টিভি দাও তো?
দীপ্রঃ জানিস মিশু, আমার বাবা না ভীষণ ভীতু।
মিশুঃ তুই কী করে বুঝলি?
দীপ্রঃ যখনই রাস্তা পার হয়, তখনই আমার হাত শক্ত করে ধরে, আর বলে, হাত ছেড়ো না।
একদিন তুমুল ঝগড়ার পর গিন্নি তাঁর কর্তাকে বললেন, আমি মনে হয় পাগল ছিলাম যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলাম।
কর্তা বললেনঃ আর আমিও তোমার প্রেমে তখন এত হাবুডুবু খেয়েছিলাম যে খেয়াল করিনি তুমি পাগল।
ঃ শুনেছিস, সেই
লেখক ভদ্রলোক গাড়িচাপা পড়ে মারা গেছেন।
ঃ কোন লেখক?
ঃ ওই যে, যিনি ‘পায়ে হেঁটে নিরাপদে রাস্তায় চলার নিয়মাবলি’ বইটা লিখেছিলেন।
একটা লোককে কয়েকজন ধরে আচ্ছামতো মারছে। কিন্তু এত মার খেয়েও লোকটা হি হি করে হাসছে। মার শেষে লোকগুলো চলে গেলে এক পথচারী লোকটার হাসির কারণ জানতে এগিয়ে গেল, ‘এত মার খেয়ে আপনি হাসছেন কেন?’
লোকটা হাসতে হাসতে বলল, ‘হাসব না, লোকগুলো তো সব গাধা। ওরা ফজলু শেখ ভেবে আমাকে মারল। ফজলু শেখ তো আমার শত্রু, আমার নাম তো বজলু শেখ!’
ফাঁসির আসামিকে আগের দিন জেলখানার একজন কর্মচারী কথায় কথায় বললেন, ‘কাল তোমাকে ফাঁসি দিতে সরকারের ৫০০ টাকা খরচ হবে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী আসামি অবাক হয়ে বললেন, ‘এত টাকা কেন?’ কারা-কর্মচারী হিসাব দিলেন, জল্লাদ আর তার সহকারীরা পাবে ৩০০ টাকা, ফাঁসির পোশাক বাবদ ১০০ টাকা, দড়ি-ফাঁসির অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য আরও ১০০ টাকা।
খরচের বর্ণনা শুনে আসামি ব্যবসায়ীটি খানিকক্ষণ কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, ‘এত খরচের দরকার কী? কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে ১০০ টাকা দিক, আর দুই টাকা দিয়ে একটা দড়ি কিনে দিক। আমি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে মরি। আমারও কিছু লাভ হবে, সরকারেরও সাশ্রয় হবে।’
একদা সচ্ছল, এখন সর্বস্বান্ত এক মহাজনকে সন্ধ্যার অন্ধকারে দুজন ছিনতাইকারী পাকড়াও করল। মিনিট পনেরোর মতো মহাজন প্রাণপণে লড়ে গেলেন ছিনতাইকারী দুজনের সঙ্গে। অবশেষে কাবু হলেন। অনেক খুঁজে ছিনতাইকারী তাঁর শার্টের পকেট থেকে একটা আধুলি পেল মাত্র।
এক ছিনতাইকারী তখন অন্য ছিনতাইকারীকে বলল, ‘সর্বনাশ! এর কাছে যদি পুরো একটা টাকাও থাকত, তাহলে আমাদের আর প্রাণে বাঁচতে হতো না!’
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য দুই সৈনিক দুটি বোমা নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। একটি বোমা ছিল একজনের কোলে। সে চালক সৈনিককে বলল, ‘আস্তে চালাও, যেকোনো মুহূর্তে বিস্কোরণ ঘটতে পারে।’
চালক সৈনিক আশ্বস্ত করল, ‘চিন্তা কোরো না, গাড়ির পেছনে আরেকটা বোমা তো আছেই।’
এক ছেলে মিষ্টি খেতে খেতে পেট ভরে একেবারে অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর-
ডাক্তারঃ একটু হাঁ করে এই ট্যাবলেটটা খাও তো, বাবা।
রোগী ছেলেঃ এই ট্যাবলেট খাওয়ার জায়গা থাকলে আমি আরেকটি মিষ্টি খেতাম।
বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
ঃ আ-আপনি?
ঃ বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।
একদিন আজিমপুর থেকে বাসে এক খিটখিটে মহিলা উঠে কন্ডাক্টরকে বললেন, ‘আমি কল্যাণপুর নামব।’ পাছে কন্ডাক্টর ভুলে যান, এই ভয়ে প্রতি স্টপেজে তাঁকে প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ গাড়িটা যখন সিটি কলেজের কাছে এসেছে, মহিলা আগের মতোই ধৈর্য রাখতে না পেরে কন্ডাক্টরের পিঠে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কল্যাণপুর?’ কন্ডাক্টর চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘জি না, ওটা আমার পিঠ।’
ঠাকুর মা বেপরোয়া রাস্তা পার হচ্ছে দেখে পুলিশ সিটি বাজাল। কিন্তু ঠাকুরমা থামল না। পুলিশ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ঠাকুমা, এই গাড়িঘোড়ার মধ্যে তুমি রাস্তা পার হচ্ছ! আমি সিটি বাজালাম, তা-ও তুমি থামলে না কেন?’ ঠাকুরমা একগাল হেসে বলল, ‘বাবা, সিটি শুনে দাঁড়াবার বয়স কি আমার আছে?’
চীনারা বাচ্চাদের নামকরণ কীভাবে করে জানেন? বাচ্চা হলে নাকি তারা ঘরের হাঁড়িকুড়ি, বাসনপত্র সব আকাশে ছুড়ে দেয়। তারপর ওগুলো একটা একটা করে পড়তে থাকে। কোনোটা ‘ট্যাং’ শব্দে পড়ে, কোনোটা ‘চ্যাং’ আর কোনোটা ‘প্যাং’ শব্দে···। ওই শব্দ থেকে তারা একটা নাম পছন্দ কের নেয়।
মাঃ ডিনার খেতে অনেক গেস্ট আসবে এখন। যাও, তাড়াতাড়ি হাত-মুখ ধুয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তৈরি হয়ে এসো।
ছেলেঃ গেস্টরা কি আমাকেই খাবে!
এক ইংরেজ ভদ্রলোক বাংলাদেশের কাঁঠালবাজারে কাঁঠাল দেখছেন-
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আহেন স্যার, ভালা কাঁডাল আছে।
ভদ্রলোকঃ আই সি।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ আইছেন যহন, বহেন (পিঁড়ি এগিয়ে দেয়)।
ভদ্রলোকঃ ওকে, ওকে।
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ ও আমার ভাতিজা, স্যার। নেন, স্যার, কাঁডাল মিষ্টি বেশি।
ভদ্রলোকঃ মিটসুবিশি? ইজ ইট এ কার?
কাঁঠাল ব্যাপারিঃ বিশ্বাস করেন, স্যার, এগুলো আমার!
কাস্টমারঃ আমাকে একটা পান দেন তো।
দোকানদারঃ আপনি কি খয়ার খান?
কাস্টমারঃ নাহ্! আমার নাম ইমরান খান।
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমি না একটা চীনা রেডিও কিনেছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তুই কী বোকা, তুই তো চীনা ভাষাই জানিস না।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধুঃ আচ্ছা, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে বাচাল কে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কে?
প্রথম বন্ধুঃ ঘড়ি! সব সময় টক টক···।
ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।
স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আরম্ভ হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে।
শিক্ষকঃ তুমি কাঁদছ কেন?
ছাত্রীঃ আমার রচনা কমন পড়েনি।
শিক্ষকঃ কেন? কী এসেছে?
ছাত্রীঃ এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখব কীভাবে।
ঃ সবাই বলে আমার বুদ্ধি নাকি নামতে নামতে অনেক নিচে নেমে এসেছে। এখন কী করি ?
ঃ কী আর করবি, মাথা ব্যথা হলে জুতার ভেতরে আøাসপিরিন ট্যাবলেট ভরে রাখিস।
একজন ছাত্র পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখল, সে কোনো উত্তর পারে না। তখন ছাত্রটি খাতায় লিখল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, নম্বর দেওয়া স্যারের কাম।’
পরীক্ষার কাগজ পেয়ে শিক্ষকও খাতায় লিখে দিলেন, ‘হরে হরে হরে, নম্বর কি গাছে ধরে?’
প্রথম দিন
একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, দ্বিতীয় দিন ওই ছেলেটিই অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পার্কে গেল, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও ওই ছেলেটির সঙ্গে অন্য দুটি নতুন মেয়েকে দেখা গেল।
নীতিবাক্যঃ মেয়েরা পালটে যায়। ছেলেরা পাল্টায় না।
আসাদঃ
আমি বিয়ে করলাম কেন, জানিস?
সাগরঃ কেন রে?
আসাদঃ আরে! রান্নাবান্না, জামাকাপড় কাচা, বাড়িঘর পরিষ্কার করা, বাজার করা···উফ! এত কাজ আর একলা করতে পারছিলাম না, তাই বিয়ে করে নিলাম।
সাগরঃ দারুণ! তুই কি জানিস এই একই কারণে আমার ডিভোর্স হয়েছে?
শিক্ষক
ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষকঃ ‘বৃষ্টি পড়ছে’-এর Translation করো।
ছাত্রঃ Rain is reading.
একদিন
এক স্ত্রী তার স্বামীর জন্য খুব যত্ন নিয়ে চটপটি তৈরি করল। স্বামী এক চামচ মুখে দিয়েই ওয়াক করে ফেলে দিল আর বলল, ‘এটা কী রেঁধেছ? খেতে গরুর গোবরের মতো!’ স্ত্রী আঁচল দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে বলল, ‘ও মা! কত কিছু টেস্ট করে রেখেছে!’
ভদ্রমহিলাঃ
আজ একটা জরুরি কাজ আছে। সব রান্না একটার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে।
বুয়াঃ বাড়িতে কোনো বড় পাতিল নেই তো! তাহলে রান্না একটার মধ্যে শেষ করব কীভাবে?
তাসদিক হোসেন, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম
তাঁর সামনে কখনো আমি মুখ খোলার সুযোগ পাই না, একমাত্র হাই তোলা ছাড়া।
বাবুলঃ আসলাম, তোর বাড়িতে দেখলাম তোর বউ তোর এক বন্ধুর হাত ধরে বসে আছে!
আসলাম রেগেমেগে অফিস থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর সে ফিরে এসে বাবুলকে জোরে এক থাপড় মেরে বলল, ‘ওটা আমার বন্ধু নয়, কেন আমাকে শুধু শুধু বাড়ি পাঠালি?’ দীপান্বিতা, সূত্রাপুর, ঢাকা
শাশুড়িঃ
ঈশ্বর দুটো চোখ দিয়েছে কী করতে? চাল থেকে দুটো কাঁকর বাছতে পার না? রোজ খেতে বসে এক জিনিস- দাঁতে কাঁকর।
বউমাঃ ঈশ্বর বত্রিশটা দাঁত দিয়েছে কী করতে? দুটো কাঁকর চিবোতে পারেন না?
বাবুর বান্ধবীর হাতের নখ কামড়ানোর নোংরা একটা অভ্যেস ছিল। ওই বদ অভ্যেসটা কাটানোর জন্য বাবু বান্ধবীকে যোগব্যায়ামের ক্লাসে ভর্তি করে দেয়। কয়েক দিন পর বাবু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেল। দেখল, ওর হাতের নখগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। তখন বাবু বেশ হাসিমুখে বলল, ‘দেখলে তো, যোগব্যায়ামে ভর্তি করে তোমার নখ খাওয়া কেমন বন্ধ করলাম।’ বাবুর প্রেমিকা বলল, ‘না, সোনা, আমি নখ খাওয়া ছাড়িনি। যোগব্যায়াম করে আমি এখন পায়ের নখও মুখে আনতে পারি।’
শিক্ষকঃ বলতে পার, ধূমপান কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ছাত্রঃ স্যার, ধূমপান ক্ষতিকারকে পকেটশূন্য বিভক্তি।
ছেলেঃ দেখ, আমার মনে হয় এবার আমাদের বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
মেয়েঃ সেটা মানছি, কিন্তু কারা এমন মানুষ আছে যে আমাদের বিয়ে করতে রাজি হবে?
পম্পিঃ
বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলুঃ কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
পম্পিঃ তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলুঃ তখন এসি অন করি।
টিটুঃ জানিস, আমি একদিন রাস্তায় খেলা করছিলাম, তখন একটা গাড়ি এসে আমাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
তিন্নিঃ এ বাবা! তারপর কী হলো? তুই কি বেঁচে গিয়েছিলি?
টিটুঃ ঠিক মনে নেই রে। তখন আমার মাত্র তিন বছর বয়স ছিল।
এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে জোরে একটা চড় মেরে বললেন, ‘যাকে মানুষ ভালোবাসে তাকেই মারে।’
তাঁর স্ত্রী তাঁর গালে দ্বিগুণ জোরে এক চড় মেরে বললেন, ‘তুমি কি ভাব, আমি তোমাকে ভালোবাসি না?’
শাহেদঃ কিরে! ছুরিটা গরম জলে ফোটাচ্ছিস কেন?
পলাশঃ আমি আত্মহত্যা করব ওই ছুরি দিয়ে।
শাহেদঃ তার জন্য ওটাকে গরম করার কী দরকার?
পলাশঃ উফ! যাতে ইনফেকশন না হয়, তাই ওটাকে ফুটিয়ে নিচ্ছি।
ভিখারি
বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।
ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে, আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
প্রতিদিন মেয়েকে ভোর সাতটায় স্কুলে দিয়ে তার কাজে চলে যায় আমার স্ত্রী (সে একটা স্কুলের টিচার)। আর ১০টায় আমি মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে বাসায় রেখে অফিসে যাই। এই হচ্ছে প্রতিদিনকার ডিউটি। একদিন সর্বনাশ হলো! আমার যেটা কখনোই হয় না। ঘুম ভাঙল সাড়ে ১০টায়! আমি প্রায় লাফিয়ে উঠলাম!! মেয়ের স্কুল ছুটি হয় ১০টায় আর আমি সাড়ে ১০টায় উঠলাম! কোনোরকমে শার্টটা পরে প্রায় ছুটে বেরোলাম। বাসা থেকে স্কুলে এমনিতে রিকশায় যাই, সেদিন স্কুটার নিলাম। গুলির মতো স্পিডে স্কুলে পৌঁছালাম, গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ! শুক্রবার! আমি হতভম্ভ হয়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি, আমার মেয়ে আমার পাশেই তখনো ঘুমাচ্ছে। স্ত্রী বাথরুমে। আমি সমস্ত ব্যাপারটাই চেপে গেলাম।
অফিসে
বসে কম্পিউটারে একটা বাংলা দরখাস্ত টাইপ করছিলাম। টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিলাম, প্রিন্ট বের হচ্ছে না। ব্যাপার কী ঠিক বুঝলাম না। যা-ই হোক, বের যখন হচ্ছে না, এটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না আমি; অন্য একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এ সময় আমার পাড়াতো ছোট ভাই মুরাদ এল (সে মাঝেমধ্যে এসে আমার অফিসে টুকটাক কাজ করে নিয়ে যায়)। সে এসেই কী একটা ইংরেজি দরখাস্ত টাইপ করতে লেগে গেল। আমি আমার কাজে ব্যস্ত রইলাম। মুরাদ টাইপ শেষ করে প্রিন্ট দিল এবং সে দেখি আঁতকে উঠল, ‘একি, টাইপ করলাম ইংরেজিতে, বেরোচ্ছে বাংলায় দরখাস্ত!’ আমি তখন বুঝে গেছি দরখাস্তের ভাষা তো প্রায় একই। আমার বাংলা দরখাস্তটা তখন বের হয়নি কোনো কারণে, মেমোরিতে রয়ে গিয়েছিল, এখন সেটা বেরোচ্ছে। মুরাদ আমায় জিজ্ঞেস করল, আমি এমন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছি কি না, যেটা ইংরেজিতে টাইপ করলে বাংলায় অনুবাদ হয়ে যায়। আমি এবার একটা ভাব নিলাম, ‘হ্যাঁ, নতুন একটা সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, তুই জানিস না?’ মুরাদ বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে রইল!
ঃ ডাক্তার সাহেব, চশমা নেওয়ার পর কি আমি এ বি সি ডি পড়তে পারব?ঃ অবশ্যই পারবেন।
ঃ এবার দেখব, কোন শালায় কয় আমি ইংরেজি পারি না।
এক ভদ্রলোকঃ স্যার, আমার বউ হারিয়ে গেছে।
ডাক্তারঃ এটা হাসপাতাল, এখানে বলে কোনো লাভ নেই। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে কমপ্লেন করুন।
ভদ্রলোকঃ আসলে আনন্দের চোটে মাথাটা ঠিক কাজ করছে না।
নসু মামা নতুন লেমিনেশনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাই যা-ই পান, তাই লেমিনেশন করে ফেলেন। যেমন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সার্টিফিকেট, বাসার ইলেকট্রিক বিল, টেলিফোন বিল-কোনো কিছু বাদ নেই লেমিনেশনের। আমরা তাঁকে নিয়ে আড়ালে হাসাহাসিও করতাম। যা-ই হোক, সেই নসু মামা প্রেমে পড়লেন এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বাসায় এনে পরিচয়ও করিয়ে দিলেন। এর কয় দিন পর আমি দুই বছরের জন্য বিদেশ চলে যাই। ফিরে এসে শুনি, মামা ছ্যাঁক খেয়েছেন; লেমিনেশনের ব্যবসাও আর নেই। এর মধ্যে একদিন এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ে খেতে গেছি। গিয়ে দেখি নতুন বউ আর কেউ নয়, সেই নসু মামার প্রেমিকা! এর কয় দিন পর একদিন বন্ধুর বাসায় গিয়ে নতুন ভাবিকে (মানে ভূতপূর্ব নসু মামি) সুযোগমতো পেয়ে জানতে চাইলাম, আমাদের নসু মামাকে কেন তিনি ত্যাগ করেছিলেন? উত্তরে তিনি একটু অপ্রস্তুত হলেন। তারপর সামলে নিয়ে বলেন, ‘দেখো, সে আমাকে প্রেমপত্র দিত লেমিনেশন করে···’ বাকিটা আমি আর শুনতে চাইনি। কোনোমতে হাসি চেপে বাসায় ফিরেছি।
দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ব্যক্তিঃ ভাই, আপনি বিয়ে করেছেন?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ।
১ম ব্যক্তিঃ কাকে?
২য় ব্যক্তিঃ একটা মেয়েকে।
১ম ব্যক্তিঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?
২য় ব্যক্তিঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।
এক ভদ্রলোকঃ আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাই।
আইনজীবীঃ কারণ কী?
ভদ্রলোকঃ আমার বউ আমার সঙ্গে গত ছয় মাস কোনো কথা বলেনি।
আইনজীবীঃ ব্যাপারটা ভালো করে ভেবে দেখুন। এ রকম নীরব স্ত্রী কিন্তু খুব একটা সহজে পাওয়া যায় না।
এক এলাকায় আগুন লেগেছে। বিশাল আগুন! সঙ্গে সঙ্গে গুলির বেগে ছুটে এল দমকল বাহিনী। এবং দ্রুত এসে ধুপধাপ তারা আগুন নিভিয়ে ফেলল। তাদের এই কাজ দেখে খুশি হয়ে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দিল। তারপর তারা জানতে চাইল, এই যে পাঁচ হাজার টাকা পেল; এ দিয়ে তারা কী করবে। উত্তরে দমকল বাহিনীর লোকেরা জানাল, তাদের কোনো গাড়িতেই ব্রেক নেই! ব্রেক লাগাবে!
এক ছেলে তার বান্ধবীকে বলল, যখন ওই ইংরেজ ছেলেটা তোমার হাত ধরল, তুমি তাকে ধমক দিলে না কেন? বান্ধবী বলল, কীভাবে দেব। আমি তো ইংরেজি জানি না।
আমার বন্ধু সদ্য ডাক্তারি পাস করেছে। সে বেচারা প্রেমে পড়ে হঠাৎ একদিন বিয়ে করে বসল। বাসাতেও জানাজানি হলো; কেউ খুব একটা আপত্তি করল না। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সে বউ নিয়ে কোথায় উঠবে? একান্নবর্তী পরিবার, সে নিজেই থাকে ড্রইংরুমের সোফায়! গার্জেনরা বলল, ‘আলাদা বাসা নে।’ সেই সংগতি তার এই মুহূর্তে নেই! কী করা, অন্তত বাসর রাতটা তো করা চাই! শেষ পর্যন্ত সে নিজেই একটা বুদ্ধি বের করল! সে জন্ডিসের রোগী হিসেবে সাত দিনের জন্য এক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেল! ওই হাসপাতালের ডাক্তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করল। সব ঠিক, বউ এসে থাকবে; জন্ডিস রোগীর সেবা তো দরকার!
তা অবশেষে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট কেবিনে বউও এসে হাজির। বেশ রোমান্টিক অবস্থা! হঠাৎ রাত ১০টায় তার মা আর দুই বোন এসে হাজির! তিনি কীভাবে কীভাবে খবর পেয়েছেন, তাঁর ছেলে সিরিয়াস জন্ডিস বাধিয়ে হসপিটালাইজড। এসেই হুলস্থুল লাগিয়ে দিলেন, ‘তোর এত খারাপ অবস্থা, আমাদের জানালি না···বউমা, তুমিও তো জানাতে পারতে। বিয়ে করেই ভুলে গেলি··· বউমা, তুমি বাড়ি যাও, নতুন বউয়ের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই, আমরা আছি···’ সে রাত মা আর বোনদের সেবা নিয়েই আমার ডাক্তার বন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে পরদিনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। জন্ডিস রোগের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এত দ্রুত কাউকে পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
ঃ তা ভাবার কি আছে ? সবাইকে তো মরতে হবে।
ঃ না, ভাবছি, শেষে যে মরবে তাকে নিয়ে যাবে কে ?
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন
-, আমার নাম মফিজ। -, আমি একটা
পাগল। -, আমার মতো পাগলের কোনো ওষুধ নেই। -, আমিই বলদ। -, আমাকে দেখে সবাই মজা পায় এবং হাসে। কিন্তু -, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
স্বামী ও স্ত্রী বসে আছে। এমন সময় ছেলে এসে বলল, বাবা তুমি আম্মুকে বিয়ে করেছ কেন? স্বামী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললঃ দেখেছ, আমাদের ছেলেও এটাতে বি্নিত!
আমাদের স্কুলের আজিজ স্যার এত কড়া যে তুই যদি পরীক্ষায় ফুলস্টপ উল্টো করে লিখিস, তবুও তোকে ফেল করিয়ে দেবে।
রতন তার বন্ধুকে ডেকে বললেন, ওরে, তোর মেয়ে সুইটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, এইমাত্র খবর এসেছে।
বন্ধুটি এক কথা শুনেই দুঃখের চোটে দশতলার জানালা থেকে ঝাঁপ দিল। যখন সে আটতলার কাছে এল, তখন তার মনে হলো, তার তো কোনো মেয়েই নেই! যখন ছয়তলায় এল তখন মনে পড়ল, তার তো বিয়েই হয়নি। আর যখন সে একতলার কাছাকাছি এল, তখন তার মাথায় এল, আরে, আমার নাম তো জসবিন্দর সিংহ!
একদিন মধ্যরাতে মাথাব্যথার কারণে স্ত্রী সম্পাকে ডেকে তুললাম। চা খাব। সম্পা চোখে ঘুম নিয়েই চা করতে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দিয়েই শুয়ে পড়ল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই দৌড়ে গিয়ে বেসিনে বমি করলাম। হঠাৎ সম্পা বলে উঠল, ‘সবারই এই সময়টাতে এমন বমি বমি ভাব হয়।’
আমি আজও বুঝিনি সম্পা কেন ওই কথা বলেছিল। তবে পরে ও বলেছিল, ‘হয়তো ঘুমের ঘোরে বলেছিলাম।’ আমিও বলেছিলাম, ‘সেদিন তুমি ঘুমের ঘোরে আমাকে শুধু প্রেগন্যান্টই ভাবোনি, চায়ের মধ্যে চিনির বদলে আয়োডিনযুক্ত লবণ দিয়েছিলে।’
শিক্ষক ছাত্রের খাতা দেখে মন্তব্য লিখেছেন, ‘হাতের লেখা ভালো করতে হবে।’
ছাত্রঃ স্যার, আপনি কী লিখেছেন পড়তে পারছি না।
মেয়েঃ মা, তুমি কি বিয়ের আগে ‘ড্রিল মাস্টার’ ছিলে?
মাঃ না তো, কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
মেয়েঃ দাদু, ফুপি সবাই বলে যে বাবা তোমার কথায় উঠ-বস করে।
ঃ বোকার মতো অভিনয় করবে না।
ঃ আমি অভিনয় করছি না।
গ্রামের শিক্ষিত এক ছেলেকে অশিক্ষিত লোক জিজ্ঞাসা করছে-
এই ছেলে, তুমি কত দূর পড়ালেখা করেছ? শিক্ষিত লোকঃ বিএ পাস করেছি।
অশিক্ষিত লোকঃ দুই অক্ষর পড়েছে, তা-ও আবার উল্টো।
স্বামী স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল, বিয়ের আগে তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করেছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ। স্বামী রেগে বলল, তাহলে ওই হতচ্ছাড়ার নাম বলো। এক্ষুনি গিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়ে আসি। স্ত্রী বলল, ওগো, তুমি একা কি তাদের সবার সঙ্গে পারবে?
বাবাঃ তোমাকে এবার পরীক্ষায় ৯৬ ভাগ নম্বর পেতেই হবে।
ছেলেঃ না বাবা, আমি ১০০ ভাগ নম্বরই পাব।
বাবাঃ আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারছ তুমি?
ছেলেঃ কে প্রথম শুরু করেছে বাবা?
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা। অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচণ্ড গরমে এক দুপুরে কোনো একটা প্রেক্ষাগৃহে এক বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘটনাক্রমে সেদিন এয়ারকন্ডিশনার যন্ত্র বিকল থাকায় শুধু পাখার ব্যবস্থা ছিল। তবু গরমের প্রচণ্ডতায় কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হঠাৎ এক বুড়োমতো ভদ্রলোককে মেঝেতে হামাগুড়ি খেয়ে পড়তে দেখলেন তাঁরই পাশে বসা ফার্স্ট এইডের ট্রেনিং নেওয়া ভদ্রমহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উবু হয়ে বসে ভদ্রলোককে পরামর্শ দিলেন, ‘মাথাটা দুই হাঁটুর মধ্যে গুঁজে চুপচাপ বসে থাকুন। মাথায় রক্ত চলাচল হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
ভদ্রলোক যতবারই উঠে বসতে চান, মহিলাটি ততবারই তাকে জোর করে দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকতে বাধ্য করেন আর বলেন, ‘এই তো এক্ষুনি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
না পেরে ভদ্রলোক শেষে চেঁচিয়ে উঠে বললেন, ‘একটা লোকের চশমা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার কোনো অধিকারও কি থাকবে না? আমি তো আমার চশমা খুঁজছিলাম মেঝেতে।’
ঃ ভুল করে সবচেয়ে বেশি কী খোলা হয়, জানো?
ঃ মুখ।
রহিমঃ
তুই নাকি টাকা ধার নিয়েছিস জহিরের কাছ থেকে।
করিমঃ হ্যাঁ, প্রয়োজন হয়েছিল তাই।
রহিমঃ তা এখন টাকা ফেরত দিচ্ছিস না কেন?
করিমঃ প্রয়োজন বোধ করছি না বলে।
ঘটনাটা
আমার বন্ধুর খালার, তাঁর কাছেই শোনা। তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাঁর স্বামী মানে, খালুজান বাইরে কোথাও গেছেন। বাসা খালি, এ সময় তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এমনই অবস্থা, উঠে যে ফোন করবেন কাউকে, সেই শক্তিও নেই। এ সময় তাঁর খুব পানির পিপাসা পেল। তিনি চিঁ চিঁ করে তার তিন বছরের মেয়ে পিংকিকে এক গ্লাস পানি দিতে বললেন। একটু পর পিংকি সত্যি টুকটুক করে হেঁটে এক গ্লাস পানি নিয়ে এল। তিনি আর দেরি করলেন না, ঢকঢক করে খেয়ে ফেললেন পানিটুকু। খেয়েই তাঁর মনে হলো, পিংকি কী করে পানি আনল, তার পক্ষে তো ফ্রিজ খোলা বা ডাইনিং টেবিল থেকে পানি আনা সম্ভব না; মানে তার নাগালের মধ্যে কোনো পানির সোর্স নেই। তাহলে? হঠাৎ তার মনে পড়ল, একটা সোর্স তো আছে! এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর চিঁ চিঁ করে পিংকিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মা, পানি কোথা থেকে এনেছ?’ পিংকি আঙ্গুল তুলে টয়লেট দেখাল। তখন খালার ওয়াক ওয়াক শুরু হয়ে গেছে। যা সন্দেহ করেছিলেন তা-ই···।
ডেন্টিস্ট
দাঁত দেখে বললেন-
‘আপনার দাঁতের যে অবস্থা, তাতে মোট খরচ পড়বে পাঁচ হাজার পাউন্ড।’
‘কী বলছেন? এ টাকায় তো একটা পুরোনো জাহাজ কিনে ফেলা যাবে!’
‘হ্যাঁ, আমার বেশ কয়েকটি জাহাজ আছে।’
আমার
পাঁচ বছরের ভাগ্নি তিথি ক্রমেই যেন ইঁচড়ে পাকা হয়ে উঠছে। আর হবে না-ই বা কেন? তার সখ্য বাড়ির কিশোরী বুয়ার সঙ্গে। আর কিশোরী বুয়ার কাজ হচ্ছে ফাঁক পেলেই টিভি চ্যানেলে প্রেমের যাবতীয় ‘হাম তোম’ মার্কা ছবি দেখা। যা-ই হোক, একদিন তাকে স্কুল থেকে আনতে গেলাম। তার টিচার আমাকে ডেকে বললেন, ‘সে সব দিক থেকেই চৌকস। শুধু একটা সমস্যা, সে অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সংগীত গাইতে চায় না, বাসায় নিয়ে বলে দেখবেন তো সমস্যাটা কোথায়।’ বাসায় এসে আমি তাকে চেপে ধরলাম। ‘কি, সমস্যা কী? তুমি স্কুলে জাতীয় সংগীত গাও না কেন?’ সে কিছু বলে না, মুখ গোঁজ করে থাকে। অনেক চাপাচাপি করে জানা গেল, যেহেতু জাতীয় সংগীতে ‘আমি তোমায় ভালেবাসি···’ কথাটা আছে, তাই তার বলতে লজ্জা লাগে!
প্রেমিকঃ
কী ব্যাপার? অত দূরে দাঁড়িয়ে গল্প করছ কেন?
প্রেমিকাঃ মা আমাকে ছেলেদের থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
হাবলুঃ
তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো, তাহলে আমি নির্ঘাত আত্মহত্যা করব।
বান্ধবীঃ ছি, আত্মহত্যা করবে কেন? পৃথিবীতে কত সুন্দরী মেয়ে আছে।
হাবলুঃ বাপ রে, তুমিই বিয়ে করতে চাইছ না, আবার সুন্দরী মেয়ে!
ট্রেনে
করে যাচ্ছিলাম মোহনগঞ্জ। যা-তা অবস্থা ট্রেনের। রাতের জার্নি। অন্ধকারে বসে আছি। হঠাৎ হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। কী ব্যাপার? ব্যাপার দেখি, জানালা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে লেগে গেছে! একজন জানালা খোলা রাখতে চাইছে, একজন বন্ধ রাখতে চাইছে; একজন হুট করে লাগাচ্ছে, আরেকজন হুট করে খুলে ফেলছে। মহা গ্যাঞ্জাম! গোলমাল দেখে টিটি এলেন। নির্বিকার মুখে টর্চ জ্বালিয়ে জানালায় ধরলেন। সবাই হতবাক হয়ে দেখল, যে জানালা নিয়ে এত কাণ্ড, সেটাতে কোনো কাচই নেই!
এক
বিখ্যাত বক্তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, মৃত্যুর আগে তাঁর কিছু বলার আছে কি না। তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আমি এখানে মরতে এসেছি, ভাষণ দিতে নয়!’
ফায়ারিং
স্কোয়াডে নেওয়া হলো এক কুখ্যাত খুনিকে। গুলি করে মারার আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো তার শেষ ইচ্ছা কিছু আছে কি না। সে বলল-আছে।
‘কী সেটা?’
‘আমাকে একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হোক।’
বিন্তির
পোষা কাকাতুয়া রাত-দিন বলে, ‘আমার জীবনে সঙ্গী চাই। একটু স্পাইস চাই!’ কাকাতুয়ার এমন দাবির মুখে জেরবার হয়ে বিন্তি তার কাকাতুয়াকে একদিন এক কাউন্সেলরের কাছে নিয়ে বলল, এই কাকাতুয়াটা হরদম নিজের পুরুষ সঙ্গী খোঁজে। একে একটু ভদ্র-সভ্য করা যায় না? বিন্তির কথায় কাউন্সেলর বললেন, ‘চিন্তা করবেন না, আমার পোষা কাকাতুয়াটা খুব ধার্মিক। সারাক্ষণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখে, শ্লোক আওড়ায়। ওর সঙ্গে থাকলে আপনার কাকাতুয়া শুধরে যাবে।’ কাউন্সেলর ভদ্রলোক নিজের পোষা কাকাতুয়া নিয়ে এলেন এবং দ্বিতীয় কাকাতুয়াটি দেখেই বিন্তির পোষ্য যথারীতি বলে উঠল, ‘আমার জীবনে একটু স্পাইস চাই!’
এ কথা শোনামাত্র দ্বিতীয় কাকাতুয়া ওপরের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ঈশ্বর, তুমি আছ। এদ্দিনে আমার আকুতি শুনলে।’
মেয়েরা পরশ্রীকাতর, আর ছেলেরা পরস্ত্রীকাতর।
প্রথম পুলিশঃ স্টেডিয়ামে দর্শকেরা যেন দাঙ্গা না বাধায় তা দেখার জন্য কনস্টেবল মালেক সাদা পোশাকে ছিল।
দ্বিতীয় পুলিশঃ তারপর?
প্রথম পুলিশঃ দাঙ্গা পুলিশের মার খেয়ে এখন সে হাসপাতালে।
এক মহিলা স্বামীকে নিয়ে সাইকিয়াটিস্টের কাছে গিয়েছে।
মহিলাঃ আমার স্বামী রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে খাবারের সঙ্গে কাগজের ন্যাপকিনগুলোও খেয়ে ফেলে।
সাইকিয়াটিস্টঃ সেকি! কাগজের ন্যাপকিনের চাইতে কাপড়েরটাই তো টেস্ট বেশি।
ঃ স্যার, পিসিতে ২০ বছর আগের প্রচুর ডাটা আছে, ওগুলো ডিলিট করে দিই?
ঃ অবশ্যই, তবে কপি রেখে ডিলিট কোরো কিন্তু।
এক
মাতাল রাতে বাড়ি ফিরে ঘরের তালা খোলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছুতেই চাবি তালার ভেতর ঢোকাতে পারছিল না। পাশের বাসার ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন, ‘চাবিটা আমাকে দিন, আমি খুলে দিচ্ছি।’
মাতাল বলল, ‘না না, আমিই পারব। আপনি বাড়িটা শুধু একটু শক্ত করে ধরুন।’
হিমেলঃ
সব সময় মনে রাখবি, বুদ্ধিমানদের মনে সর্বদা সন্দেহ থাকে। বোকারাই শুধু সব ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে।
তুষারঃ ঠিক বলেছিস?
হিমেলঃ হ্যাঁ।
তুষারঃ একদম?
হিমেলঃ হ্যাঁ, একদম ঠিক।
হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন(বাকি অংশ)
কুচকাওয়াজ
পরিদর্শনে এসেছেন কমান্ডার। সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ছোট করে চুল ছাঁটা এবং ক্লিন শেভড। হঠাৎ এক সৈনিকের সামনে গিয়ে থেমে গেলেন কমান্ডার। সৈনিকটি ছোট করে গোঁফ রেখেছে। কমান্ডার বললেন, তোমার নাকে এমন কী বিশেষত্ব আছে যে এটাকে আন্ডার লাইন করে রাখতে হবে?
কৌতুক সংগ্রহ-০৮
ব্যাঙ
নিয়ে গবেষণা করছিলেন এক অধ্যাপক। টেবিলের ওপর ব্যাঙটা রেখে প্রথমে তিনি ব্যাঙের পেছনের ডান পা-টা কাটলেন। পা কেটে একটা তালি দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙটা লাফিয়ে উঠল। এরপর পেছনের বাঁ পা কেটে একটা তালি দিলেন। ব্যাঙটা আবার লাফিয়ে উঠল। এরপর সামনের ডান পা কাটলেন এবং তালি দিলেন। ব্যাঙটা এবারও লাফিয়ে উঠল। সবশেষে নিপুণ হাতে কাটলেন সামনের বাঁ পা। কাটা শেষে যথারীতি তালি দিলেন, কিন্তু এবার ব্যাঙ আর লাফাল না।
কাটাছেঁড়া শেষ করে অধ্যাপক তাঁর থিসিসে লিখলেন, চার পা কেটে দিলে ব্যাঙ কানে শোনে না।
গোপাল
ভাঁড় একবার তার ছেলেকে নিয়ে মেলায় বেড়াতে গিয়ে ছেলেকে হারিয়ে ফেলে। ছেলে তখন একটুও না ঘাবড়ে ‘গোপাল, গোপাল’ বলে চেঁচাতে থাকে। ছেলের চিৎকার শুনে গোপাল ছুটে এসে ধমক দেয় ছেলেকে, ‘ছিঃ ছিঃ, আমার নাম ধরে ডাকছিস, বাবা বলে ডাকতে পারিস না?’
ছেলে তখন বলল, ‘হুঁ, বাবা বলে ডাকি আর মেলার সব লোক ছুটে আসুক!’
গোপালের
ভাইপো আর তার স্ত্রীর মধ্যে ভীষণ ঝগড়া হচ্ছে দেখে গোপাল তাদের থামাতে গেল। গোপালকে দেখে তার ভাইপো বলতে লাগল, ‘দেখুন তো কাকা, আমি আগামী বছর একটা দুধেল গাই কিনব আর তাই শুনে আমার বউ বলছে, সে নাকি গাইয়ের দুধ দিয়ে পায়েস বানিয়ে তার বাপের বাড়ির গুষ্টিকে খাওয়াবে···।’ গোপাল হাত তুলে তাদের থামাল। ‘আস্তে···’ ভাইপো থামল। এবার গোপাল ভাঁড় খেঁকিয়ে উঠল, ‘বদমাশ, তোর বউয়ের পায়েস তো পরে···বাড়ির পিছে আমি যে শাক-সবজির বাগান করেছি, সেগুলো যে তোর গরু খাবে, সে খেয়াল আছে?’
প্রেমিক
তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। শুনে প্রেমিকা বলল, তাই নাকি! তাহলে আগের সাতজন কে কে শুনি।
গোপাল
একবার গ্রামের মোড়ল হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’
এটাকে
কি বলব, রিয়েল লাইফ জোক? ঘটনাটা আমাদের জীবনেরই। আজ থেকে ১০-১২ বছর আগের কথা। আমরা কয়েক বন্ধু আরেক বড়লোক বন্ধুর বাসায় আড্ডা মারতাম। সেই বন্ধুর একটা বোন ছিল অপরূপ সুন্দরী। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ্নার্ট বন্ধুটি তার প্রেমে পড়ে গেল। সবাই ব্যাপারটা জেনেও গেল। এর মধ্যে হঠাৎ জানা গেল, সেই অপরূপ সুন্দরী বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। খবর পেয়ে আমাদের ্নার্ট বন্ধুটি তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল। মেয়েটি ছিল অসম্ভব অহংকারী। সে বলল, ‘দেখো মাহমুদ, (পাত্র-পাত্রীর ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে) তুমি আমার যোগ্য নও··· তবে তোমার যোগ্য একজন পাত্রী আমি ঠিক করে রেখেছি।’ বলে সে তাদের কাজের বুয়াকে ডাকল। ‘এই তোমার পাত্রী।’
অসম্ভব অপমানিত হয়ে ফিরে এল মাহমুদ। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিলাম। সে কোনো মন্তব্য করল না। তারপর যথারীতি সেই রূপসী মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল একজন ডাক্তারের সঙ্গে। মাহমুদের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা কেউ পিয়ার বিয়েতে গেলাম না। চমকটা ঘটল তার পরই, হঠাৎ শুনি মাহমুদের বিয়ে! পাত্রী কে? পাত্রী আর কেউ না, সেই পিয়াদের বাসার কাজের বুয়া আছিয়া!
বহুদিন পর আমি মাহমুদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুই এটা কী করলি? নিজের জীবনটা···।’ সে বলেছিল, ‘তোরা আসলে ভুল বুঝেছিস আমাকে, আমি পিয়ার ওপর প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটাইনি··· সেদিন আমি যতটা অপমানিত হয়েছিলাম, এর থেকে বেশি অপমানিত হয়েছিল আছিয়া মেয়েটি! সেই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছিল, এ মেয়েটিকে তার সম্মান আমার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত···। আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছি।’ এখনো মাঝেমধ্যে যখন মাহমুদের কথা ভাবি, বুকটা ভরে যায়। এটা কি রিয়েল লাইফ জোক হলো? না ট্র্যাজেডি?
গোপাল
যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না।
ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে। হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করতে পারি···।’ আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বগত বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?
সম্প্রতি রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকা বিশ্বের কয়েকটি দেশের সেরা কৌতুক প্রকাশ করেছে। তার ভেতর বেশির ভাগই আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে তেমন জুতসই কৌতুক নয়। যে কয়েকটি মোটামুটি চলনসই সে কয়েকটি এখানে দেওয়া হলো।
আর্জেন্টিনা
একজন বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী একদিন একটি ফাস্টফুডের দোকানে গেলেন। তাঁরা একটি বার্গারের অর্ডার দিলেন এবং বার্গারটি সমান দুই ভাগ করে সামনে রাখলেন। পাশের টেবিলের লোকটির এটি দেখে খুব মায়া হলো ও তার নিজের বার্গারটি মহিলাকে খেতে দিলেন।
তখন বৃদ্ধ বললেন, ‘ধন্যবাদ, কিন্তু আমরা সবকিছু ভাগাভাগি করেই করি।’
কিছুক্ষণ পর লোকটি দেখল বৃদ্ধা একটি কামড়ও দেননি। অর্ধেক বার্গার সামনে নিয়ে বসে আছেন। তখন লোকটি আবার বলল, ‘আমি সত্যি খুশি হব, যদি আপনি আমার বার্গারটা নেন।’
বৃদ্ধ তখন বলে উঠলেন, ‘ও খাবে, চিন্তা করবেন না। আমরা সব ভাগাভাগি করে করি।’ তখন লোকটি অবাক হয়ে বৃদ্ধার কাছে জানতে চাইল, ‘তাহলে আপনি খাচ্ছেন না কেন!’
বৃদ্ধা আস্তে করে বললেন, ‘আমি দাঁতের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সুইজারল্যান্ড
স্ত্রীঃ ওগো, তুমি কি দেখেছ? আমাদের বাথরুমের জন্য নতুন টয়লেট ব্রাশ এনেছি।
স্বামীঃ হ্যাঁ, কিন্তু টয়লেট পেপারটাই আমার বেশি পছন্দ।
ক্রোয়েশিয়া
একটি বাচ্চা মন খারাপ করে একটি ভিডিও দোকানের সামনে বসে আছে। এক পুলিশ সেটা দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে? মন খারাপ কেন?’
বাচ্চাটি কাঁদো কাঁদোভাবে বলল, ‘সুপারম্যান এখনো বের হয়নি।’
‘দাঁড়াও, আমি দেখছি ব্যাপারটা’, সঙ্গে সঙ্গে বলল পুলিশ। তারপর চিৎকার করে বলতে থাকল, ‘এই যে সুপারম্যান! তাড়াতাড়ি বের হয়ে এসো, তোমার বাচ্চা কান্না করছে।’
চেক প্রজাতন্ত্র
একজন লোক রেডিওর একটি অনুষ্ঠানে ফোন করে জঔ-কে বলল, ‘আমি একটি মানিব্যাগ পেয়েছি, যাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিল এবং একটি কার্ড ছিল, যাতে লেখা আব্দুস সুবাহান, ভূতের গলি, ঢাকা।’
জঔ বলল, ‘তো, আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’
‘আমি ওনাকে একটি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ গান ডেডিকেট করতে চাচ্ছি।’ লোকটি বলল।
জার্মানি
এক লোক মেলায় ঘোরাঘুরি করে এক জায়গায় এসে দেখল ভাগ্য গণনা করা হচ্ছে। মজা করার জন্য সেও সেখানে গেল। জ্যোতিষী লোকটিকে দেখেই বেশ বিজ্ঞের মতো বললেন, ‘আপনি দুই সন্তানের বাবা।’
‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা? আমার তিনজন সন্তান।’ লোকটি বলল।
জ্যোতিষী তখন হেসে বললেন, ‘হা-হা, আপনার কি তাই-ই ধারণা?’
থাইল্যান্ড
‘তাড়াতাড়ি করো সবাই, দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের তাড়া দিয়ে বললেন।
‘এত তাড়া কেন, স্যার!’ একজন ছাত্র জিজ্ঞেস করল।
স্যার বললেন, ‘আমরা দেরি করলে পরের ক্লাস মিস করব।’
এক ছাত্র বলে উঠল, ‘স্যার, আপনার তাড়া থাকলে আপনি আমাদের ছাড়াই চলে যান।’
বাবরঃ এই আয়নার কোনো গ্যারান্টি আছে?
দোকানদারঃ এটা আপনি ১০০ তলা বাড়ির ছাদ
থেকে ফেলে দিন, একতলা পর্যন্ত আয়নাটা
আস্ত থাকবে।
এক মেয়েকে কেন্দ্র করে দুজন যুবক প্রতিদ্বন্দ্বী হলো। তারা ঠিক করল, উভয়ে পিস্তল দিয়ে যুদ্ধ করবে। তারপর যে বেঁচে থাকবে, সেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারবে। যুবক দুজনের একজন ছিল ভীষণ মোটা এবং অন্যজন বেশ চিকন। মোটা যুবকটি বলল, ‘আমি তো আয়তনে তোমার ডাবল, আমার দিকে তাক করতে তোমার খুবই সুবিধে হবে। সুতরাং পিস্তলের যুদ্ধে আমারই হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা।’
‘ঠিক আছে, একটি উপায় বের করছি।’ পাতলা লোকটি পকেট থেকে চক বের করে মোটা লোকটির শরীরে দাগ দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করল এবং বলল, ‘তোমার শরীরের ডান পাশের দাগের বাইরে গুলি লাগলে তা ধরা হবে না।’
একবার এক পরিদর্শক পাগলাগারদ পরিদর্শনে গেলেন।
পরিদর্শকঃ আপনারা কীভাবে বোঝেন যে একজন রোগী সুস্থ হয়েছে?
ডাক্তারঃ প্রথমে আমরা রোগীদের বাথরুমে বাথটাবের কাছে নিয়ে যাই। বাথটাবটা পানি দিয়ে পূর্ণ করি। তাদের আমরা একটি চামচ, একটি মগ ও একটি কাপ দিই। তারপর তাদের বাথটাবটি পানিশূন্য করতে বলি। তাদের পানিশূন্য করার নিয়ম দেখেই আমরা বুঝি কে সুস্থ হয়েছে।
পরিদর্শকঃ যদি তারা মগ দিয়ে পানি ফেলে দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা তাকে সুস্থ বলেন?
ডাক্তারঃ না, যদি তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়, তবে বাথটাবের পানি বের করার প্লাগ তুলে ফেলবে, তবেই আমরা ধরে নেই, সেই রোগী এখন সুস্থ হয়েছে। তা, আপনার জন্য কী এখানকার একটা রুম বুক করব?
আমার বন্ধু জাকির পত্রমিতালি করত এক মেয়ের সঙ্গে। মঝেমধ্যে তাদের মধ্যে উপহার লেনদেনও হতো। তবে সব লেনদেনই হতো বাই পোস্টে। যেমন, একবার বন্ধু পাঠাল পারফিউম, মেয়ে পাঠাল কোলাপুরি স্যান্ডেল! এই করতে করতে তাদের মধ্যে একটু প্রেম প্রেম ভাব চলে এসেছিল। তারা ঠিক করল, এবার দেখা হওয়া দরকার। ঠিক হলো, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তারা দেখা করবে। মেয়ে পরে আসবে নীল শাড়ি আর জাকির পরে আসবে হলুদ শার্ট। নির্দিষ্ট দিনে মেয়ে ঠিকই নীল শাড়ি পরে এল, কিন্তু জাকির পরে গেল অন্য শার্ট (তার ধান্দা মেয়ে বেশি সুন্দরী না হলে খোদা হাফেজ···)। মেয়েকে দেখে জাকির হতাশ! সে কেটে পড়ার তাল করছে। এমন সময় দেখে মেয়ে গটগট করে তার দিকেই আসছে। এসেই চার্জ করল? ‘অন্য শার্ট পরে এসেছ কেন?’ বন্ধু তখন তোতলাতে শুরু করেছে, ‘তু-তুমি বুঝলে কী করে?’ মেয়ে জাকিরের পায়ের দিকে দেখাল। জাকির তাকিয়ে দেখে মেয়ের দেওয়া স্যান্ডেলটাই পরে এসেছে! (বলাই বাহুল্য, তারা এখন সুখী দম্পতি)।
বুবাই পিৎজা অর্ডার করল।
দোকানদারঃ স্যার, পিৎজাটা কটা টুকরো করব? চারটে, না আটটা?
বুবাইঃ চারটেই করে দাও, আটটা খেতে পারব না, বেশি হয়ে যাবে।
থানায় গিয়ে এক ভদ্রমহিলা ইন্সপেক্টরকে বললেন, ‘আমার স্বামী গতকাল আলু কিনতে বাজারে গেছে, এখনো ফেরেনি।’
ইন্সপেক্টরঃ আলুই রান্না করতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই, অন্য সবজি রান্না করুন।
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমার মামার বাড়িতে এত বড় আম হয় যে দুটিতেই এক কেজি হয়ে যায়!
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আরে তুই জানিস, আমার মামাবাড়িতে এত বড় বড় আম হয় যে চারটিতেই এক ডজন হয়ে যায়!
এক লোক কিছু কাগজ ফটোকপি করে খুব মন দিয়ে অরিজিনাল কাগজগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে লাগল। আরেকজন প্রশ্ন করল, ‘এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন?’ লোকটি বলল, ‘দেখছি, ফটোকপিতে কোনো ভুল হয়েছে কি না ?’
প্রথম ভেড়াঃ আশ্চর্য, আজ আমরা মাত্র দুজন যে?
দ্বিতীয় ভেড়াঃ আর বলো না, সবাই গেছে পাশের গ্রামে।
প্রথম ভেড়াঃ কেন?
দ্বিতীয় ভেড়াঃ পাশের গ্রামের লোকের ঘুম আসে না বলে ভেড়া গুনতে হয় যে!
ছোট মামুর ভুঁড়ি হয়ে গেছে। কে তাঁকে বুদ্ধি দিল পেটে ভুঁড়ি কমার বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করলে ভুঁড়ি কমবে। মামু তা-ই শুরু করলেন; পেটে চওড়া বেল্ট বেঁধে চলাফেরা করেন। একদিন ওই অবস্থায় কাঁচাবাজারে গেলেন। কিছু কেনাকাটা করছেন হয়তো··· হঠাৎ খেয়াল করলেন, সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না। বিষয় কী? হঠাৎ খেয়াল করলেন, তাঁর লুঙ্গিটা গোল হয়ে মাটিতে পড়ে আছে! তিনি বুঝতেই পারেননি। পেটে বেল্ট বাঁধা আছে বলে তিনি ভেবেছেন, লুঙ্গি বাঁধা আছে। ভাগ্য ভালো বলতে হবে, নিচে একটা হাফপ্যান্ট পরা ছিল!
জাহাজডুবি হয়ে এক লোক এক নির্জন দ্বীপে এসে উঠল। অনেক বছর কেটে গেল, কেউ তাকে উদ্ধার করতে এল না। লোকটির দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে প্রায় জঙ্গল হয়ে গেল। হঠাৎ একদিন লোকটি দেখল, অনেক দূর দিয়ে একটি জাহাজ যাচ্ছে। অনেক হাত-পা নেড়ে কাছের ডালপালা দুলিয়ে অবশেষে সে সক্ষম হলো জাহাজটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। জাহাজটি থেকে একটি ছোট নৌকা নামানো হলো। নৌকাটি দ্বীপের পাশে এসে থামল। নৌকা থেকে একজন নাবিক গত কয়েক বছরের দৈনিক সংবাদপত্র নিয়ে নামাল দ্বীপে।
‘এত সব খবরের কাগজ কেন?’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল লোকটি।
নাবিক বলল, ‘ক্যাপ্টেন আপনাকে অনুরোধ করেছেন গত কয়েক বছরের এ সংবাদপত্রগুলো পড়তে। তার পরও যদি আপনার লোকালয়ে ফেরার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।’
প্রেমিকঃ তুমি আমার জীবনে বাঁচার রসদ, আমার প্রেরণা, আমার সবকিছু।
প্রেমিকাঃ তুমিও আমার প্রাণ গো।
প্রেমিকঃ আমি খুব একটা বড়লোক নই। রোহিতের মতো আমার বড় বাড়ি, বড় গাড়ি কিছুই নেই। কিন্তু একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার মতো তোমায় কেউ ভালোবাসবে না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
প্রেমিকাঃ সে তো আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু রোহিত সম্বন্ধে আরও কিছু কথা বলো তো শুনি।
আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মুহসীন হলে থাকি। তখনকার মুহসীন হলের ঘটনা। এক ছাত্র ডাইনিংয়ে খেতে গেছে। আরেকজন ছাত্রের পাশে খেতে বসেছে। হঠাৎ দেখে ঘিয়ের ডিব্বা। সে তো মহা খুশি! ‘বাহ, আজকাল ডাইনিংয়ে ঘিও দিতে শুরু করেছে? বাহ, ভালো তো!’ বলে সে দিব্যি বোতল উপুড় করে ঘি ঢালতে লাগল তার প্লেটে। খাওয়া প্রায় শেষ, হঠাৎ সে খেয়াল করে দেখে তার পাশের ছাত্রটি মিনমিন করে বলছে, ‘বোতলটা নিতে পারি?’ তখন পরিষ্কার হলো, ওই ঘিয়ের বোতলটা আসলে পাশের ছাত্রের ব্যক্তিগত! তবে বোতল তখন মোটামুটি ফকফকা!
এক লোক তার বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছে।
গতকাল বাড়ির পেছনের জঙ্গলে ঢুকতেই দেখি, বিশাল এক বাঘ। আমি সঙ্গে সঙ্গে পেছন ফিরে দিলাম এক দৌড়। বাঘও আমার পেছন পেছন দৌড়াতে শুরু করল। কিন্তু বাঘ আমাকে ছুঁই ছুঁই করেও ছুঁতে পারছিল না। বারবার পিছলে পড়ে যাচ্ছিল। আর সেই সুযোগে আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এমনি করে শেষমেশ দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরেই ঢুকে গেলাম।
শুনে বন্ধু মন্তব্য করল-
‘তোমার তো দারুণ সাহস! আমি হলে তো ভয়ে হিসু করে দিতাম।’
প্রথম বন্ধু তখন বলল-
‘আরে, বাঘ তো বারবার পিছলে পড়ছিল সে কারণেই।’
ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো এক লোকের। লোকটা তার বন্ধুকে চিনতে পারছিল না। বন্ধুটি বলল, আমাকে চিনতে পারছিস না? আরে আমি তোর সঙ্গে ক্লাস ফোরে পড়েছি। লোকটা কঠিন গলায় বলল, অসম্ভব। ক্লাস ফোরে আমার কোনো দাঁড়িওয়ালা বন্ধু ছিল না।
ঃ একজন চুলওয়ালা ভদ্র্রলোক আপনাকে ডাকছেন।
ঃ বলে দাও যে, আমার এখন চুলের দরকার নেই।
এক
স্কুল শিক্ষক স্কুলের বাইরে বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর সামনে কাঁচুমাচু হয়ে একটি ছেলে এসে জানাল, সে নদীতে কুলি ফেলেছে এবং এর জন্য সে ক্ষমা করতে চায়। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘এ আর এমন কী, নদীর পানি সামান্য ময়লা হতে পারে হয়তো, কিন্তু এর জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরি নয়।’
কিন্তু ছেলেটি নাছোড়বান্দা। অবশেষে স্কুল শিক্ষক তাকে দুটো উপদেশ দিয়ে বিদায় করলেন। কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছেলে এসে নদীতে কুলি ফেলার কারণে তওবা করে গেল। তারপর আরেকজন। স্কুল শিক্ষক বেশ অবাক হলেন। এমন সময় চতুর্থ জন প্রবেশ করল। স্কুল শিক্ষক বললেন, ‘তুমিও কি নদীতে কুলি ফেলে এসেছ?’ চতুর্থজন রাগে চিৎকার করে উঠল, ‘রাখেন আপনার জ্ঞানের কথা। আমিই কুলি। পাশের স্টেশনে কাজ করি। তিন বদমাশ ছেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে। তাদের এদিকে আসতে দেখলাম মনে হয়।’
সাদেক
সাহেব অসুস্থ হয়ে কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ সময়টুকু একজন হাসপাতালকর্মী তাঁকে খুব সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে রিলিজ হওয়ার দিন সাদেক সাহেব তাঁকে বেশ ভালো বকশিশ দিলেন। এত বকশিশ পেয়ে ওই কর্মচারী আনন্দে কেঁদে ফেলে বলল, ‘আবার আসবেন, স্যার।’
আম
চুরি করতে একটি ছেলে গাছে উঠেছে। গাছের মালিক হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলল।
‘ওই বদমাশ, আমার আমগাছে কী করছিস?’ ‘ইয়ে··· আঙ্কেল··· মানে কয়েকটি আম মাটিতে পড়েছিল, ওগুলো গাছে তুলে রাখছি।’
পাগলা
গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরীক্ষায় পাস করলে তিনজনকে পাগলাগারদ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু ফেল করলেই পাঁচ বছরের জন্য তাদের আটকে দেওয়া হবে। ডাক্তার তিন পাগলকে একটা ফাঁকা, জলবিহীন সুইমিং পুলের সামনে নিয়ে গিয়ে ঝাঁপাতে বললেন। প্রথম পাগলটি তৎক্ষণাৎ তাতে ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙে ফেলল। দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের নির্দেশমতো পুলে ঝাঁপ দিল এবং হাত ভেঙে ফেলল। তৃতীয় পাগলটি কিন্তু কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হলো না। ডাক্তারটি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আরে, তুমি তো কামাল করে দিয়েছ! যাও, তুমি মুক্ত। তবে একটা কথা বলো, তুমি পুলে ঝাঁপ দিলে না কেন?’
নির্দ্বিধায় পাগলটি জবাব দিল, ‘দেখুন ডাক্তারবাবু, আমি সাঁতারটা একেবারে জানি না!’
দুই
বন্ধু কথা বলছে-
‘শোন, কিপটেমিরও একটা সীমা আছে। এই একটা শার্ট তুই তিন বছর ধরে পরছিস!’
‘অসম্ভব! মাত্র দুই বছর ১১ মাস হয়েছে!’
রিডার্স ডাইজেস্টের কৌতুক(বাকি অংশ)
দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ঠিক করেছে আত্মহত্যা করবে। উঁচু পাহাড় থেকে প্রথমে ছেলেটি ঝাঁপ দিল, কিন্তু মেয়েটি দিল না। সে চোখ বন্ধ করে বলল, ভালোবাসা অন্ধ।
এদিকে ঝাঁপ দেওয়ার পর ছেলেটি প্যারাসুট খুলে বলল, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো মরে না!
ঘটনাটা আমাদের গ্রামের। যাকে নিয়ে এই ঘটনা, তার নাম রিয়াজউদ্দীন মুনশি। পৈতৃক সূত্রে প্রচুর পয়সার মালিক। কিন্তু মাথায় বুদ্ধি নেই এক ফোঁটা। তো, তার একবার শখ হলো বন্দুক কেনার। গ্রামের লোকও তাল দিল ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমার একটা বন্দুক না থাকলে চলে?’ যা-ই হোক, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সে একটি বন্দুক কিনল। লাইসেন্স করল। কয়দিন গ্রামে বন্দুক নিয়ে ঘুরল। গ্রামবাসী জানল, মুনশি বন্দুক কিনেছে। শুধু গ্রামবাসী নয়, ডাকাতেরাও জানল এই ঘটনা! এবং যা হয় তা-ই হলো, এক রাতে ডাকাতেরা এসে তাকে আচ্ছামতো প্যাঁদিয়ে বন্দুকটা ছিনিয়ে নিয়ে গেল। পাকিস্তান আমলের ঘটনা; সে সময় বন্দুক চুরি হওয়া মানে ভয়ংকর ব্যাপার, তার ওপর বন্দুক চলে গেছে ডাকাতদের হাতে! কী করা! পুলিশকে সে কী বোঝাবে? চটজলদি সে বাসায় একটা সিঁদ কাটল। চুরি যে হয়েছে বোঝাতে হবে না পুলিশকে! যথারীতি খবর পেয়ে পুলিশ এল। দেখল বাড়িতে সত্যিই সিঁদ কাটা! তার মানে চোর যে বন্দুক নিয়ে গেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই! কিন্তু··· দারোগা সাহেব মুনশিকে কাছে ডাকলেন, ‘মুনশি সাহেব, চোর সিঁদ কেটে আপনার বন্দুক নিয়ে গেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই··· কিন্তু আমাকে বোঝান, সিঁদ কাটার মাটি আপনার ঘরের ভেতর এল কী করে?’ বলাই বাহুল্য, মুনশি সাহেব সিঁদ কেটেছেন তাঁর ঘরের ভেতর থেকেই!
দুজন স্কাই ডাইভার একবার ঠিক করল, প্লেন থেকে ঝাঁপ দেবে এবং মাটির খুব কাছে এসে তারা প্যারাসুট খুলবে। নতুন রেকর্ড করবে। তারপর তারা যথারীতি এক হাজার ফুট ওপর থেকে লাফ দিল। যখন ৭০০ ফুট নিচে এল, তখন একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার প্যারাসুট খুলি, কী বলো?’
‘না, আরও পরে।’
৪০০ ফুট নিচে নামার পর একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার প্যারাসুট খুলি, কী বলো?’
‘না, আরও নিচে নেমে।’
এরপর তারা যখন মাত্র ১০ ফুট ওপরে তখন একজন আরেকজনকে বলল-
‘এবার? মাত্র ১০ ফুট নিচে মাটি!’
‘আরে, ১০ ফুট কোনো ব্যাপার নাকি? ছোটবেলায় কত লাফিয়েছি!’
সীমান্ত এলাকায় এক লোক প্রায়ই সাইকেলে চেপে পিঠে দুটি বস্তা নিয়ে সীমান্ত পার হয়। সেনারা প্রতিদিন লোকটিকে থামিয়ে বস্তা দুটি খুলে তল্লাশি করে।
সব সময়ই দেখা যায়, বস্তায় শুধু বালু। লোকটিও অসংখ্যবার বালু আনা-নেওয়া করল এভাবে সাইকেলে চড়ে। অবশেষে একদিন তাকে আর দেখা গেল না। বহু দিন পর সীমান্তের এক সেনা ছুটি কাটাতে শহরে এসে দেখে, ওই লোকটি সামনে দিয়ে যাচ্ছে। সেনাটি বলল, ‘এই যে, আপনি! আমরা নিশ্চিত ছিলাম, আপনি কিছু চোরাচালান করছেন। কিন্তু কখনো বালু ছাড়া কিছুই তো আমরা পাইনি! বলুন তো, আসলে আপনি কী চোরাচালান করতেন?’
লোকটা বলল, ‘সাইকেল।’
গুল্লু আর গাবলু একদিন একটা রেস্তোরাঁয় গেছে। সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পর গাবলু বলল, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, গুল্লু!
গুল্লু উত্তর দিল, কিন্তু আমি তো তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, ভালো করে ভেবে দেখেছ তো?
গুল্লু বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, বললাম তো আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসি না।
গাবলু বলল, আচ্ছা, ঠিক আছে। ওয়েটার, দুটো আলাদা বিল নিয়ে এসো তো।
গুল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলল, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।
ইকবালঃ
কাল একটা চোর আমাকে চাকু দেখিয়ে সবকিছু লুটে নিয়েছে।
বাবরঃ কিন্তু তোর কাছে তো বন্দুক আছে, এই তো কদিন আগে কিনলি!
ইকবালঃ হিঃ হিঃ হিঃ, সেটা আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম, না হলে ওটাও লুটে নিত।
একজন
সর্দারজি ডাক্তারকে ফোন করছেন!
সর্দারজিঃ ডাক্তার বাবু, আমার স্ত্রী গর্ভবতী, ওর খুব ব্যথা হচ্ছে।
ডাক্তারঃ এই কি তার প্রথম সন্তান?
সর্দারঃ না, আমি তার স্বামী কথা বলছি।
দুই
গরু কথা বলছে-
‘সেদিন ঘাস খেতে খেতে হঠাৎ করে সিনেমার টিকিট খেয়ে ফেলেছিলাম। তারপর দেখি, চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে।’
‘কেন?’
‘সিনেমাটি বোধহয় খুব দুঃখের ছিল।’
এক
স্বামী আর একটি গাধার তফাত কী? একজন স্বামী গাধা হতেও পারে, কিন্তু একটি গাধা এতটা গাধা নয় যে সে কারও স্বামী হবে।
ভিখারিঃ স্যার, পাঁচটা টাকা ভিক্ষা দেন। পথচারীঃ আরে একটু আগেই তো তোমাকে পাঁচ টাকা দিলাম।
ভিখারিঃ অতীতের কথা ভুলে যান। অতীত নিয়ে পড়ে আছেন বলেই তো দেশের এই অবস্থা।
একটা বাচ্চা জন্মানোমাত্র নার্সকে বলল, মোবাইল আছে?
নার্সঃ কেন?
বাচ্চাঃ ঈশ্বরকে ডেলিভারি মেসেজ পাঠাতে হবে যে।
গৃহকর্তাঃ (ঘুমের ঘোরে) কে ওখানে?
চোরঃ আমি হ্যাবলা চোর।
গৃহকর্তাঃ ওখানে কী করিস?
চোরঃ চুরি করছি।
গৃহকর্তাঃ চুরি করবি তো হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?
চোরঃ আমাদের সর্দার যা নেব সব বাজিয়ে (পরখ করে) নিতে বলেছে। তাই হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিচ্ছি।
নেতাঃ আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।
জনৈক ব্যক্তিঃ এ মাসে নয় কেন, স্যার?
নেতাঃ কারণ এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে আমার মেয়ের বিয়ে।
ছোট মামাকে নিয়ে ডাক্তারখানায় গেলাম। সারা শরীরে ব্যথা। ডাক্তার মামাকে দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে হাতে ধরিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মামা আমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। বলল, ‘হায় হায়! তাড়াতাড়ি চল, আমার ব্যাগ রেখে এসেছি।’ বলেই দ্রুত প্রস্থান করল। বাইরে এসে মামা বলল, ‘আরে হাঁদারাম, ডাক্তার যখন প্রেসক্রিপশন লিখছিল, দেখলাম শুধু নাপা ট্যাবলেট দিয়েছে, দুই দিনে ছয়টি খাওয়ার জন্য। ছয়টি ট্যাবলেট খেলে যদি অসুখ ভালো হয়ে যায়, তাহলে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে লাভ কী? তাই বুদ্ধি করে চলে এলাম।’ কী জ্ঞান মামার!
এক মা রান্না করছেন এবং একই সঙ্গে তাঁর মেয়েকেও পড়াচ্ছেন। তিনি তরকারির ঝোল খেয়ে দেখলেন, তাতে লবণ কম হয়েছে। তিনি মেয়েকে একই সঙ্গে লবণ ও অঙ্ক বই আনতে বলতে চাইলেন।
মেয়েঃ মা, কী বই আনব?
মাঃ (অন্যমনস্কভাবে) বয়াম থেকে অঙ্ক বই নিয়ে আয়।
সিরাজদ্দৌলা নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। নাটকের পরিচালক নরেশ বিশ্বাস। নায়ক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিচালক তখন সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁর বন্ধুকে দিয়ে নাটক করাবেন। কিন্তু তাঁর বন্ধু কখনো অভিনয় করেননি। নরেশ বিশ্বাস অনেক বুঝিয়ে তাঁর বন্ধুকে রাজি করালেন এবং ভালো করে সব সংলাপ শিখিয়ে দিলেন। কিন্তু তাঁর বন্ধু মঞ্চে উঠে এত দর্শক দেখে সব ভুলে গেলেন। তার পরও নরেশের আশ্বাসে তিনি সংলাপ বলতে লাগলেন।
‘বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, বন্ধু নরেশ্যা, তোরে বলেছি আমারে মঞ্চে উঠায়চ্ছ্যা, হাঁটু কাঁপে পর্দা টান’-এই বলে তিনি কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেলেন।
চতুর্থ শ্রেণীর বিজ্ঞান ক্লাস চলছে। স্যার উদ্ভিদ নিয়ে আলোচনা করছেন। এক ছাত্রকে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে দেখলেন।
স্যারঃ এই ছেলে, তুমি বলো তো, কোন জীব নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে?
ছাত্রঃ আমার আম্মু।
রফিকঃ জানিস, আমি এত হিসাবি যে আমার হানিমুনে বউকে নিয়ে যাইনি, হানিমুনের খরচ অর্ধেক করে ফেলেছি।
আবুলঃ হে হে হে! তোর থেকে আমি বেশি পয়সা বাঁচিয়েছি। আমি আমার বউকে আমার বন্ধুর সঙ্গে হানিমুনে পাঠিয়ে দিয়ে পুরো টাকাটাই বাঁচিয়েছি।
ছাত্রজীবনে একবার বুয়েটে গিয়েছিলাম এক ছাত্রনেতার সঙ্গে দেখা করতে (সেই নেতার নাম এখন আর লিখলাম না, সবাই চিনে ফেলতে পারে) কী একটা কাজে। সঙ্গে আমার আরেক বন্ধুও ছিল। তো এ কথা সে কথা চলছে, নেতা পকেট থেকে গোল্ডলিফের প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট ধরালেন। আমি বললাম, ‘···ভাই, আমাকে একটা দেন।’ নেতা প্যাকেটটা ঘরের কোনায় ছুড়ে ফেলে বললেন, ‘আর নেই, এটাই খেয়ো।’ তো আবার এই আলাপ, সেই আলাপ চলতে লাগল। একপর্যায়ে আমি ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করে শরীরটা চাঙা করে নিতে উঠলাম। কী মনে করে ঘরের কোনায় ফেলে দেওয়া নেতার খালি গোল্ডলিফের প্যাকেটটায় একটা লাথি দিলাম। দিয়েই বুঝলাম, ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়!’ মানে সিগারেটের প্যাকেট ভর্তি হ্যায়! আমি আর কোনো কথা না বলে প্যাকেটটা উঠিয়ে বাইরে চলে এলাম। বাইরে এসে প্যাকেট খুলে দেখি মাত্র দুটো সিগারেট খাওয়া হয়েছে। সেই নেতাকে মাঝেমধ্যে বড় বড় বক্তব্য দিতে দেখি। তখন মনে পড়ে যায় ছাত্রজীবনের ঘটনাটা। সাধারণ জনগণকে যিনি একটা সিগারেট দিতে কৌশল করেন, জাতি তাঁর কাছে আর কী আশা করতে পারে?
পত্রিকায় ‘লম্বা হোন’ বিজ্ঞাপন দেখে এক লোক গেল সেই অফিসে। কর্মচারী বলল, আপনাকে আগামীকাল আসতে হবে। কারণ, আমাদের ফরমগুলো কে যেন আলমারির ওপরে উঠিয়ে রেখেছে। আলমারিটা একটু উঁচু তো। আমরা কেউ নাগাল পাচ্ছি না।
ভিখারিকে দেখে গৃহিণী বললেন, ‘তোমাকে তো মনে হয় চিনি। মাস দুই আগে তোমরা কয়েকজন আমার এখানে খিচুড়ি খেয়ে গিয়েছিলে না?’
ভিখারি বলল, ‘হ, আম্মা। আমরা তিনজন আছিলাম। তার মধ্যে আমিই শুধু বাঁইচ্চা আছি। সেই খিচুড়ির ধাক্কা খালি আমিই সামলাইতে পারছিলাম।’
ছোট্ট স্টেশনে ট্রেনটা থামতেই এক যাত্রী প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলের হাতে চারটা টাকা দিয়ে বলল, ‘আমার জন্য দুটো শিঙাড়া নিয়ে এসো, আর দুটো তুমি খেয়ো।’ টাকা নিয়ে ছেলেটি ছুটে গেল, কিন্তু ফেরার নামটি নেই। ট্রেন যখন আবার চলতে শুরু করল, তখন ছেলেটি দৌড়াতে দৌড়তে এসে বলল, ‘দোকানে মাত্র দুইটা শিঙাড়াই ছিল। আমি আমার দুটো খেয়ে নিয়েছি। এই নিন আপনার বাকি টাকা।’
দুই ভাই লোভী দৃষ্টিতে মায়ের সদ্য তৈরি কেকটার দিকে তাকিয়ে আছে। সাত বছরের জিহাদ ছোট ভাই সোহানকে বলল, ‘এই, যা না, আম্মাকে গিয়ে বল আমরা এখন কেকটা কেটে খাব কি না।’
সোহান বলল, ‘তুমি বলো, ভাইয়া, তুমি তো আম্মাকে আমার চেয়ে বেশি দিন ধরে চেনো।’
ফায়ার সার্ভিস অফিসে একটা ফোন এল।
-হ্যাঁলো, এটা কি ফায়ার সার্ভিস অফিস?
-হ্যাঁ, বলুন।
-দেখুন, মাত্র কিছুদিন হলো আমি আমার ফুলের বাগান করেছি। ছোট্ট সুন্দর বাগান, নানা জাতের ফুল ফুটেছে···
-আগুন লেগেছে কোথায়?
-গোলাপের চারাগুলো খুব দামি, অর্ডার দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি···
-কোথায় আগুন লেগেছে তা-ই বলুন, শিগগির।
-তাই তো বলছি। আগুন লেগেছে আমার পাশের বাড়ি। আপনারা তো এক্ষুনি আসবেন। তাই আগে থেকেই অনুরোধ করছি, আগুন নেভানোর ফাঁকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়েন, অনেক দিন পানি দেওয়া যাচ্ছে না।
এক নব্য ধনীর সদ্য কেনা গাড়িটি অ্যাক্সিডেন্টে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। তিনি চিৎকার করতে লাগলেন, ‘হায় হায়! আমার শখের গাড়িটা গেল রে!’ এক পথচারী দেখল, লোকটার একটা হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে বলল, ‘গাড়ির জন্য চিৎকার করছেন, আপনার হাত যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে!’
নব্য ধনী আরও জোরে চিৎকার করে উঠলেন, ‘হায় হায়! আমার দামি রোলেক্স ঘড়িটাও গেল রে!’
ঃ কম পেট্রলে বেশি মাইল চলবে-এ রকম কোনো গাড়ি নেই?
ঃ আছে। এই যে, এটা নিন। পেট্রল ছাড়াই চলবে।
ঃ তাই নাকি? কীভাবে?
ঃ কেন? অকটেনে!
এক শ্রমিক তার মালিককে বলল, স্যার, আমি একা তিনজনের কাজ করি। এবার আমার মাইনে বাড়িয়ে দিন। মালিক বলল, অসম্ভব। মাইনে বাড়াতে পারব না। বাকি দুজনের নাম বলো। ওদের ছাঁটাই করব।
ঃ গোল্ডফিসকে নতুন পানি দিয়েছিস ?
ঃ না, মা। কালকের পানিই তো এখনো খেয়ে শেষ করতে পারেনি।
ডাক্তারঃ আপনার স্বামীর বিশ্রাম দরকার, তাই কিছু ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করলাম।
ভদ্রমহিলাঃ এগুলো আমার স্বামীকে কখন খাওয়াব?
ডাক্তারঃ এগুলো আপনার স্বামীর জন্য নয়, আপনার জন্য।
প্রথম ব্যক্তিঃ আমার তিন ছেলে। এর মধ্যে দুজন ডিগ্রি পাস। কিন্তু ছোট ছেলেটি মোটেও পড়াশোনা করেনি, তাই সে ভিখারি!
দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ তা হলে ছোটটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?
প্রথম ব্যক্তিঃ কী বলছেন, মশাই? একমাত্র ওই তো ভালো আয় করে!
রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকা এক লোকের গায়ে লেগে গেল গাড়িটা। গাড়ির ভদ্রলোক রেগেমেগে বেরিয়ে এলেন গাড়ি থেকে।
ঃ দোষ আপনারই। গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ১০ বছরের।
ঃ মুখ সামলে কথা বলুন। অভিজ্ঞতা আমারও কম না। আমি ৫০ বছর ধরে রাস্তায় হাঁটছি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)